- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

থাইল্যান্ডে ‘ক্ষুধার্ত খেলা’ স্যালুট গণতন্ত্র সক্রিয় কর্মীদের জন্য দেখিয়েছে আশার বাণী

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, থাইল্যান্ড, আইন, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, রাজনীতি

একটি হলিউড চলচ্চিত্রের অনুকরণে তোলা একটি ছবিতে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার আপিওয়ান উইরিয়াচাইয়ের শবদাহের [1] সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা [2]কে তিন আঙ্গুলে স্যালুট করতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটিকে থাইল্যান্ডের জন্য একটি নীরব বার্তা বাহক আশার আলো হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

অনুগ্রহ পূর্বক জ্ঞাতব্যঃ এখনও থাইল্যান্ডে ক্যু-বিরোধী অনেক থাই আছেন যারা সেনাবাহিনী কর্তৃক শাসিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যাচ্ছেন।

বিবিসি থাইল্যান্ড ফেসবুক পেজে [5] ছবিটির আসল কপি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি ফেসবুকে ৬৫০ বারেরও বেশি এবং টুইটারে ৭০ বারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে। @টয়ইউবোমের [6] মতো অনেক থাই অনুসরণকারী ছবিটি টুইটারে পুনরায় টুইট করেছেন। বিবিসি এই ফেসবুক পেজটি এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং স্বাধীনতার উপর যেকোন আক্রমণ এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। কেননা মে মাসে হওয়া ক্যু এর পর তা এখনও স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি। দেশটিতে রাজনৈতিক সমাবেশ এখনও নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। শত শত রাজনীতিবিদ এবং ক্যু-বিরোধী সক্রিয় কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং কারাদন্ডে দন্ডিত করা হচ্ছে।

“ক্ষুধার্ত খেলা” নামক অত্যন্ত জনপ্রিয় এই বেসরকারি আয়োজনের উদ্যোগে [7] সশস্ত্র এই স্যালুটটি দেয়া হয়েছে। ক্যু-বিরোধী সক্রিয় কর্মী এবং গণতন্ত্রের স্বপক্ষে আদোলনের সমর্থকরা এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

দেশটিতে যখন ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে, তখন ফেসবুক এবং টুইটারে এই কার্যক্রম [8] শুরু করা হল। সামরিক জান্তা সরকার যখন থেকে দেশটিতে অনলাইন বাক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশের উপর গণহারে দমন পীড়ন চালিয়ে এসেছে, তখন থেকেই ফেসবুক ও টুইটারে মূলত এই কার্যক্রমের সূচনা হয়। জান্তা সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাগরিকদের সেন্সর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল ওয়েবসাইটটি [9] সহ শত শত আক্রমণাত্মক ওয়েবসাইট সে দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এশিয়ান সংবাদদাতা ওয়েবসাইট ব্যাংকক পন্ডিতে [10] গত সপ্তাহে প্রকাশিত থাইল্যান্ডের অন্যতম একটি রাজনৈতিক ব্লগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকক পন্ডিত ঘোষণা দিয়েছে, “ক্যু এর ফলাফল হিসেবে তাৎক্ষনিকভাবে থাই রাজনীতি নিয়ে জনসম্মুখে মন্তব্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক কিছু বাধাবিপত্তি” রয়েছে বলে এটি সাময়িকভাবে থাইল্যান্ডে কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।

থাই জনগণের বাক স্বাধীনতা রোধ করতে যে সময়ে একের পর এক নামহীন ব্লগ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, সে সময় এমন একটি ছবি প্রকাশ করা হল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিন আঙ্গুলে স্যালুট দেয়ার ছবিটি শেয়ার করার মাধ্যমে এক নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। এক সময়ের বেশ উদার এবং গনতন্ত্রপন্থী এই দেশটির জন্য বিষয়টি যেন আশার এক ছোট্ট ক্ষীণ আলো হিসেবে উদিত হয়েছে।