এ সপ্তাহের শুরুতে কবি কারেন কুনাউইচ এসএম শপিং মলের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ছেলেদের শাখার একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। ফিলিপিনো নেটিজেনদের মাঝে ছবিটি শেয়ার করে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচনার ঝড় তুলেছেন।
কুনাউইচ জিজ্ঞাসা করেছেনঃ ‘এটা কি সত্যিই এসএম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর?’ ‘ছবিটি কি সেখানকার ছেলেদের শাখা থেকে তোলা?’ একটি টি-শার্টে নিচের বক্তব্যটি প্রিন্ট করে লেখা হয়েছেঃ ‘এটা ধর্ষন নয়, কাছে পেতে সংগ্রাম করা।’
ফিলিপাইনের সর্ববৃহৎ শপিং মল চেইন এসএম মলের সত্ত্বাধিকারী দেশটির সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাকে জনসাধারনের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তিনি কথা দিয়েছেন, শার্টটি তাদের বিক্রিয়যোগ্য মালামালের গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলা হবে।
বিতর্কিত এই শার্টটি নারী অধিকার বিষয়ক সক্রিয় কর্মীদের এসএম শপিং মলের একটি শাখায় ভাঙচুর করতে মদদ যুগিয়েছে। এরপর গেব্রিয়েলা মহিলা দল এই ইস্যুতে একটি সংসদীয় প্রস্তাব আনার আবেদন জানিয়েছেন।
কুনাউইচের ফেসবুক পোস্টে ১৮ শতেরও বেশি সংখ্যক লাইক পেয়েছেন এবং পোস্টটি ৪ হাজার ৭ শতেরও বেশি সংখ্যক বার শেয়ার করা হয়েছে। টুইটারে বেশ কয়েকটি পোস্টে ‘ধর্ষন সমর্থক’ শার্টটির বিরুদ্ধে লোকজন তাদের ক্রোধ প্রকাশ করেছেনঃ
Snuggle with a struggle? Really? SM wants boys to walk around wearing a shirt defining “rape” in the most distorted way? Ew.
— Pat (@PatriciaCruz_) September 22, 2014
কাছে পেতে সংগ্রাম করা? সত্যিই? এসএম স্টোরটি কি চায় “ধর্ষনকে” সবচেয়ে বিকৃতভাবে সংজ্ঞায়িত করা একটি শার্ট পড়ে ছেলেরা ঘোরাফেরা করুন? ও।
Having serious WTF moments today what with Bench and SM promoting #rapeculture. No means no. Rape is always rape. #stupid#stupid#dangerous
— Betty Romero (@BettyRome) September 23, 2014
আজ বেঞ্চ এবং এসএম স্টোরের প্রচারে জমজমাট ডব্লিউটিএফ খেলা চলছে। #ধর্ষনসংস্কৃতি। না অর্থ না। ধর্ষন অর্থ সবসময়ই ধর্ষন। #গর্দভ#গর্দভ#বিপদ
“It's not rape. It's struggle with a snuggle.” You actually sold a shirt with that line, @TheSMStore. Gross and unforgivable.
— Nina (@nunuuu) September 23, 2014
“এটা ধর্ষন নয়। এটি হচ্ছে কাছে পাওয়ার জন্য এক ধরনের সংগ্রাম।” এমন একটি বাক্য লেখা একটি শার্ট আপনারা বিক্রি করছেন, @দ্যাএসএমস্টোর। এটি অশ্লীল এবং ক্ষমার অযোগ্য।
“Snuggle with a struggle”? Seriously? Of all the things to put in a shirt, it just had to be a joke on rape. Just plain sick.
— Kammy (@_kamuntalan) September 23, 2014
“কাছে পেতে সংগ্রাম করা”? আসলেই? এমন একটি লেখাই শার্টে লিখতে হল। ধর্ষন নিয়ে এমন একটি কৌতুক করতে হল। এটি কেবল মানসিক বিকৃতি, আর কিছু নয়।
বেঞ্চ “নগ্ন সত্য” ফ্যাশন শো
একটি জনপ্রিয় পোশাক প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ডকেও জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছিল। একটি ফ্যাশন শো এর শেষে জনসম্মুখে কিছু গুজব সৃষ্টি হওয়ার কারণে তাদের ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।
নেটিজেনরা ‘নগ্ন সত্য ডেনিম এবং অন্তর্বাস ফ্যাশন শো’ চলাকালীন সময়ে নারীদের মর্যাদা পায়ে মাড়ানোর কারণে তৈরি পোষাকের খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড বেঞ্চের নিন্দা করেছিলেন। গেব্রিয়েলা মহিলা দলের সাবেক প্রতিনিধি লিজা মাজা ফেসবুকে পোস্ট করেছেনঃ
At the Naked Truth Bench show – Bench should be held accountable for this degrading and dehumanizing portrayal of women and should apologize.
বেঞ্চের নগ্ন সত্য ফ্যাশন শো’তে –নারীদের নিচুভাবে উপস্থাপন করার দায় স্বীকার করে নেয়া এবং অমানবিক উপায়ে নারীদের চিত্রায়িত করার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
#the naked truth. woman on a leash carried by coco martin. in 2014? #bench mistakes stupidity for wit. pic.twitter.com/jJYpHdlJ65
— Danton Remoto (@DantonRemoto) September 23, 2014
#নগ্ন সত্য। নারিকেল গাছে বাবুই পাখির বাসায় চড়ে নারী মডেলরা জীবজন্তুর চামড়ায় নির্মিত বন্ধনী পরে হেঁটেছেন। ২০১৪ সালে এসে এমনটি ভাবা যায়? #বেঞ্চ গর্দভের মতো কৌতুক করে ভুল করেছে।
শো’এর একটি দৃশ্যে একজন নারী মডেলকে চারজন হামাগুড়ি দিয়ে চলা লোকের পিঠে চড়ে মঞ্চে আসতে দেখা যায়। সে দৃশ্যে দেখা যায় একজন জনপ্রিয় অভিনেতাকে একজন নারী মডেলকে জীবজন্তুর চামড়া দিয়ে তৈরি বন্ধনী দিয়ে আঁটকে নিয়ে চলেছেন, যেন মনে হচ্ছে নারী মডেলটি তাঁর পোষা প্রানী। দানাহ এবং স্টেসির নিটোল পিনায় লিখেছেন, বেঞ্চ ফ্যাশন শো ‘সীমালঙ্ঘন’ করেছে এবং ‘এতে তাদের শরীরের রক্ত টগবগ করে ফুটছে’। তারা আরও বলেছেন, দৃশ্যগুলো যৌন দাসত্ব এবং মানব পাচারকে গর্বের সাথে উপস্থাপন করেছেঃ
এ কোম্পানির কেউ কি জানেন না যে একজন মানুষের সাথে কুকুরের (কথ্য ভাষায়) মতো আচরণ করা কতোটা জঘন্য! নাৎসিরা যুদ্ধবন্দীদের শিবিরে কোন মানুষের মর্যাদা এবং মানবিকতার আবরণ খুলে বিবস্ত্র করার জন্য এমন নিষ্ঠুর আচরণ করত, এটা কি সে কোম্পানির কেউ জানেন না? যুদ্ধবন্দীদের প্রচন্ড লজ্জিত এবং হীন অনুভব করানোর জন্য তারা যেসব নিষ্ঠুর আচরণ করত, তাদের মাঝে এটি অন্যতম এটা কি তারা জানেন না? প্রোডাকশন টিম থেকে এমন অস্বাচ্ছন্দ্যকর পরিবেশনাগুলো বাদ দিয়ে দেয়ার অনুভূতি কি কারও মাঝে উদয় হয়নি? এমনকি কারও কিছুই মনে হয়নি?