শক্তিশালী টাইফুন ভংফং –এর আঘাতে দুইজন নিহত, দশ জনের বেশী আহত

A destroyed house saw its walls and roof on the second floor collapse due to the strong winds in Makurazaki region in Japan. 13 October 2014. Photo by rieko uekama. Copyright Demotix.

১৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে জাপানাএর মাজুরাজাকি অঞ্চলে বয়ে যাওয়া এক শক্তিশালী বাতাসের কারণে বিধবংস হয়ে পড়া এক বাড়ির দেওয়াল এবং দ্বিতীয় তলার ছাদ ধ্বসে পড়ে। ছবি রিওকি ইউএকামা-এর। কপিরাইট ডেমোটিক্সের।

টাইফুন ভংফং (ওরফে টাইফুন ১৯) জাপানের উপর দিয়ে বয়ে গেছে, যার আঘাতে দুইজন ব্যক্তি নিহত এবং ৭০ জনের বেশী আহত হয়েছে

এই অতি শক্তিশালী টাইফুন, যা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তৈরী হওয়া বছরের অন্যতম শক্তিশালী এক ঝড়, তা জাপানের সবচেয়ে দক্ষিণের প্রধান দ্বীপ কিয়ুশু-এর দক্ষিণে আঘাত হানে, ১৪ অক্টোবরের শুরুতে সমুদ্রে গিয়ে পড়ার আগে জাপানে প্রবেশের সকল দিক দিয়ে প্রবেশ করে।

১৩ অক্টোবরে সকাল ৮টায় টাইফুনের সম্ভাব্য যাত্রা পথ (এনএইচকে বিপর্যয় সতর্কতা)।

এই ঘটনায় প্রায় ২০ লক্ষ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে কিছু অল্প কিছু নাগরিক বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে এবং তা ঘটেছে ওকিনাওয়ার মত গ্রাম্য এলাকায়:

টাইফুন ১৯, ওকিনাওয়ার সর্বত্র ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে, নাগরিকদের আহত হওয়ার এবং বন্যার সংবাদ পাওয়া গেছে – অক্টোবর ১২ (এএনএন সংবাদ)

সারা জাপান থেকে টুইটার ব্যবহারকারীরা এই টাইফুনের ছবি প্রদর্শন করেছে:

টাইফুনের এই ঝড়ের সময় বায়ুর চাপ নাটকীয় ভাবে কমাতে থাকার বিষয়টি গ্রাফিকসের মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য টুইটারে ওকিনাওয়ার এক ব্যবহারকারী টাইম ল্যাপস (ধীর গতির ক্যামেরায় তোলা) ভিডিওর ব্যবহার করেছে:

টাইফুন ১৯ এগিয়ে আসার সাথে সাথে কি ভাবে একটি আলুর চিপসের ব্যাগ তার আকার পরিবর্তন করছে, তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে…দারুন!

যখন টাইফুন কিয়ুশুতে পৌঁছায়, তখন মহাশূন্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে সেটি জাপানের অর্ধেক অংশে ছড়িয়ে পড়েছে:

মহাশূন্য থেকে দেখা যাচ্ছে, সুপার টাইফুন ১৯ কোগাশিমা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

ফুকুওকায় (কিয়ুশুর সবচেয়ে বড় দ্বীপ) ঝড় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সেখানে তা গাছ উপড়ে ফেলে:

ফুকুওকার এক দোকানের সামনে গাছ উপড়ে রয়েছে।

অনেক শহর, যেমন কিয়ুশুর অইটা এলাকায় নদী এবং কালভার্টের পানি উপচে পড়ে বন্যার মত বিপদের সৃষ্টি করে।

অইটা এলাকার সাইকি শহরের নদীর পানি উপচে পড়ে প্রবাহিত হয়েছে, যার ফলে এলাকা খালি করে দিতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল যে পানি প্রবাহের স্তর আরো বাড়তে পারে যার ফলে আশেপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হবার মত সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।

বেপ্পু শহরে, তার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিক্ষুব্ধ স্রোত দৃশ্যমান হয়:

যখন আমরা নদীর কাছে গেলাম, সে সময় নদীতে বিক্ষুব্ধ তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল ! আমার ছোট্ট প্লাস্টিকের ছাতা উড়ে গেল এবং আমরা সকলে ভিজে গেলাম (লোল)। এই অবস্থায় যদি আপনি নদীতে পড়ে যান তাহলে আপনার জীবনের সেখানে ইতি ঘটবে, কাজে সবচেয়ে ভাল কাজ হচ্ছে নদীর পাড় থেকে দূরে থাকা।

কাজে যখন টাইফুন কানটো এবং টোকিওতে অঞ্চলে পৌঁছল, তখন তা দুর্বল হয়ে নিঃশেষ হয়ে পড়ে, আর ঝড়ের শেষে চোখে ধরা পড়ল শরৎ-এর সুন্দর আবহাওয়া:

কাওয়াগুচি থেকে দেখা ফুজি পর্বতের দৃশ্য। টাইফুনের পর এক চমৎকার আবহাওয়া।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .