মেক্সিকোর গুয়েরেরো [2]উপকূলীয় অঙ্গরাজ্য থেকে গত ৮ অক্টোবর, বুধবারে কয়েক ডজন আয়টজিনাপা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। এই অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার লোক মেক্সিকো সিটিতে বিক্ষোভ করেছেন।
অপহৃতদের পরিবারগুলো এ সপ্তাহে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কারন এ সপ্তাহে গুয়েরেরোর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে একটি গোপন গণ কবর থেকে কর্তৃপক্ষ ২৮টি মৃতদেহ [3](এখনও শনাক্ত না হওয়া) উদ্ধার করেছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এ ধরনের খবর মেক্সিকোতে একেবারে নতুন নয়। বিশেষকরে দুইটি সান ফারনান্দো নৃশংস হত্যার ঘটনা [4]ঘটার পর এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
এখনও যেসব শিক্ষার্থী জীবিত আছেন তাদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। আর যারা বেঁচে নেই তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে পাওয়া যাবে। বিক্ষোভকারীরা এমনটাই বলেছেন। সারাদেশ জুড়ে জনগণ রাজপথ দখল করে রাখার কারণে মেক্সিকোর নেটিজেনরা এই প্রচারাভিযান নিয়ে টুইটারে আলোচনা করেছেন।
প্রতিবাদস্থল থেকে ব্যবহারকারী তানিয়া নিচের ছবিটি তুলে পোস্ট করেছেনঃ
En el ángel se siente la hermandad y la indignación. @epigmenioibarra [5] pic.twitter.com/4397Nojzt1 [6]
— Tania (@Tania_mafalda) October 8, 2014 [7]
এঞ্জেলে আপনি ভ্রাতৃত্ব এবং ক্ষোভ অনুভব করতে পারবেন। [দ্রষ্টব্যঃ মেক্সিকো সিটিতে স্বাধীনতার এঞ্জেল অত্যন্ত স্বীকৃত একটি স্থান। এটি যেকোন উৎসব উদযাপন এবং প্রতিবাদ জানানোর এক আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।]
টুইটেরাএমএক্স একজন ব্যবহারকারী, যার টুইটারে ১৩,৬০০ অনুসারী রয়েছে। তিনি ঘোষণা দিয়েছেনঃ
El dolor por la desaparición de los normalistas es desmesurado. #Ayotzinapa [8] pic.twitter.com/8iSp0m9qaQ [9]
— TuiteraMx (@TuiteraMx) October 8, 2014 [10]
“নরমালিস্টাস”দের [শিক্ষণ শিক্ষার্থী] গুম হওয়ার যন্ত্রণা অবর্ননীয়।
বিভিন্ন শহরে পালিত প্রতিবাদ কর্মসূচী তুলে ধরতে টুইটার ব্যবহারকারী পাউ ছবিগুলো শেয়ার করেছেনঃ
Protestan en Alemania, Noruega, Argentina y Bolivia x #Ayotzinapa [8] #JusticiaParaAyotzinapa [11] #TodosSomosAyotzinapa [12] pic.twitter.com/Xksddi1iU0 [13]“
— ♥ Pau ♥ (@Pau_Mttl) October 8, 2014 [14]
আয়টজিনাপা শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে জার্মানি, নরওয়ে, আর্জেন্টিনা এবং বলিভিয়াতে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। আমরা সবাই আয়টজিনাপা।
মাউরিসিও টরেস প্রতিবাদ কর্মসূচীতে দৃশ্যটি বর্ননা করেছেনঃ
Los padres caminan al frente de la marcha, cargando una manta con los rostros de los 43 jóvenes desaparecidos.
— Mauricio Torres (@mau_torres) October 8, 2014 [15]
বাবা মায়েরা সামনের সারিতে একটি ব্যানার হাতে ধরে হেঁটে যাচ্ছেন। ব্যানারে গুম হওয়া ৪৩ জন তরুণ শিক্ষার্থীর মুখ।
র্যালীতে জনসমাগম দেখে জর্ডি এম. ওয়াই. বেশ মোহিতঃ
Verdaderamente grande e impactante la marcha por #Ayotzinapa [8] Siguen llegando contingentes a Reforma. pic.twitter.com/yojYBnyxsV [16]
— Jordy M.Y. (@jordy_my) October 8, 2014 [17]
আয়টজিনাপাদের আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচীটি বেশ বড় আকারে পালন করা হচ্ছে এবং এতে আমি মোহিত। আরও অনেক সংগঠন রিফর্মাতে [মেক্সিকো সিটির অন্যতম একটি প্রধান রাজপথ] এসে জড়ো হয়েছেন।
বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনা থেকেও লোকজন এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেনঃ
#Ayotzinapa [8]: solidaridad en la embajada mexicana en Buenos Aires, Argentina. vía @masde131 [18] pic.twitter.com/CdIECON5I4 [19]
— ContingenteMX (@ContingenteMX) October 8, 2014 [20]
আয়টজিনাপাঃ মেক্সিকোতে অবস্থিত বুয়েন্স আয়ার্স এবং আর্জেন্টিনা দূতাবাসের সংহতি প্রকাশ।
শিক্ষার্থীরা অপহৃত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে সেগুলোর মূল কারন বর্ননা করেছেন ডাঃ জন এম. একারম্যানঃ [21]
মৃতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে এসেছেন। তাঁর সাথে সাথে তারা সমাজের জন্য রাজনৈতিক এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি ভূমিকাও পালন করছেন।
৮ অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচী সম্পর্কে আরও কিছু জানতে এবং এ ঘটনার সর্বশেষ আপডেট জানতে আপনি #আয়টজিনাপা, [8]#আয়টজিনাপাস্পম্পসটডস [22], #জাস্টিসিয়াপারাআয়টজিনাপা [11]এবং #আয়টজিনাপাদেরজন্যন্যায়বিচার [23] শিরোনামের হ্যাশট্যাগগুলো অনুসরণ করুণ।