গত তিনবছরের মধ্যে ৮ অক্টোবর ২০১৪-এ জাপানবাসী প্রথমবারের মতো পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখার সাক্ষী হলো। দীর্ঘদিন পরে চন্দ্রগ্রহণ দেখতে দ্বীপদেশের সব মানুষ পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে খোলা আকাশের নিচে নেমে এসেছিলেন।
জাপানের জাতীয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, আইসিগাকি দ্বীপ ছাড়া দেশের সবখান থেকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে।
আংশিক চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা তখনই ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চন্দ্র একই সরলরেখায় আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপরে পড়ে। উল্লেখ্য, কেবলমাত্র পূর্ণিমার সময়ে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের জন্য সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই রেখায় আসা জরুরি।
পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময়ে পৃথিবী সূর্যের আলো পুরোপুরি আটকে দেয়, এর ফলে চাঁদের উপরে পৃথিবীর ছায়া পড়ে। আর এই ছায়া পড়ার কারণেই পৃথিবীবাসী চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পান।
অক্টোবরের ৮ তারিখের চন্দ্রগ্রহণ একঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী হয়েছিল। ফলে সবাই পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিল এটা পর্যবেক্ষণ করার।
জাপানের মানুষজন নানাভাবে চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করেছিলেন। তবে এরমধ্যে সবচে’ বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল ইয়োগার মাধ্যমে চন্দ্রগ্রহণ দেখা।
東京ミッドタウンでは今年も皆既月食の日にあわせ、明日10/8(水)「月見ヨガ」を特別開催! 部分月食の始まりから皆既月食、部分月食の終わりまで皆既月食を観測できるのは2011年以来3年ぶり。http://t.co/JDtp9krxl3 pic.twitter.com/VJMyQLqlQM
— VOGUE JAPAN (@voguejp) October 7, 2014
টোকিও'র মিডটাউনে একদল মানুষ খোলা আকাশের নিচে “ইয়োগা চন্দ্রগ্রহণ” আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। আর শেষ হয়েছিল একঘণ্টা পরে, যখন চন্দ্রগ্রহণও শেষ হয়ে যায়।
সাধারণত ইয়োগা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ঘরের ভিতরে, অল্প কিছু লোক নিয়ে। কিন্তু এদিন বিপুল সংখ্যক ইয়োগা ভক্ত এসেছিলেন চন্দ্রগ্রহণের ইয়োগায় অংশ নিতে। উল্লেখ্য, এতে আনুমানিক ৫৬০ জন অংশ নেন।
ミッドタウンの月見ヨガ、肌寒いかなとおもったけどよかった 560人集まったんだって すごい
— mayols (@may_ols) October 8, 2014
বাইরে ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকায় আমার ধারণা ছিল কম মানুষ আসবেন। ৫৬০ জনের অংশ নেয়া সত্যিই বিশাল!
সম্প্রতি জাপানি নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের সম্মানে জাপানের সবচে’ উঁচু ভবন, টোকিও স্কাই ট্রি নীল রঙের এলইডি বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। এই আলোকসজ্জাও চন্দ্রগ্রহণের দিনে উৎসবের আমেজ এনে দিয়েছিল।
東京スカイツリーのてっぺんをかすめる皆既月食(19:57撮影) pic.twitter.com/44pydWCVLl
— てつ (@tetsu_skytree) October 8, 2014
জাপানিদের গর্ব টোকিও টাওয়ারও ভূমিকা রেখেছিল।
টোকিও টাওয়ারে নিচের দিকের অংশে যেসব গোলাপি বাতি ছিল, এগুলোকে “চাঁদের মুক্তা অবগুণ্ঠন” নামে ডাকা যায়। কমপক্ষে একমাস পূর্ণিমার স্মারক হয়ে থাকবে এগুলো। গ্রহণের কারণে টাওয়ারের ওপরের অংশের এলইডি বাতিগুলো চাঁদের আলো ছাড়াই আরো উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছিল। ফলে পুরো টাওয়ার এলাকাজুড়ে এক রোমান্টিক আবহ তৈরি হয়। তাছাড়া টাওয়ারের বাসিন্দারা ১০০টি জানালায় মোমবাতি জ্বেলেছিলেন, যা অন্যরকম এক দ্যোতনা এনে দেয়।
今夜は皆既月食。みるみるうちに月が変化していきます。 ピンク色の東京タワーと月食がとても綺麗です。 #皆既月食 pic.twitter.com/u2eMKO1RdS
— ❀Taki Hirata❀ (@kaorucojp) October 8, 2014
আমি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখেছি। টোকিও টাওয়ারের গোলাপি বাতিগুলো গ্রহণের সময়কে আরো সুন্দর করে তুলেছিল।