জাপানিদের মতো কেউ-ই এতো টুইট করে না। সম্প্রতি ওয়্যারড ম্যাগাজিন এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে। তাছাড়া জাপানে টুইটার এতো বেশি জনপ্রিয় যে, অতীতে এটা কয়েকবার ক্রাশ-ও করেছে।
ক্রাশ করার পিছনের কারণ হিসেবে টুইটার জানিয়েছে, প্রতিবছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে এতো বেশি মানুষ একসাথে আপডেট শেয়ার করেন যে, টুইটার সেই চাপ নিতে পারে না।
যেমন ২০১২ সালের নতুন বছর উদযাপনের দিনটির কথাই ধরুন, ঠিক বারোটার সময়ে এতো বেশি টুইটার ব্যবহারকারী একসাথে আপডেট শেয়ার করেছিলেন যে, টুইটারের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল।
তবে এটা শুধু নতুন বছর উদযাপনের সময়ে ঘটে, তা নয়। অন্য সময়েও ঘটে:
Last August, it also held firm when the Japanese helped set a new tweets-per-second record as they all tweeted at the arrival of a particular moment in the television airing of an animated movie called Castle in the Sky.
গত আগস্টে প্রতি সেকেন্ড নতুন টুইট করার রেকর্ড করে জাপানিরা। ঘটনাটি ঘটেছিল, অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ক্যাস্টল ইন দ্য স্কাই টেলিভিশনে পরিবেশনের সময়ে।
প্রতি সেকেন্ডে টুইট করার আগের রেকর্ড-ও জাপানিদের দখলে। সেটা ঘটেছিল পুরুষ এবং নারীদের বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন সময়ে।
আর এ কারণেই টুইটারের আর্কিটেকচার নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে। এজন্য টুইটারের জাপানি ব্যবহারকারীদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।
কমস্কোর-এর ২০১৩ সালের জাপানের ডিজিটাল ফিউচার ইন ফোকাস রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৩ সালের মে মাস পর্যন্ত জাপানের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ টুইটার ব্যবহার করেন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী টুইটার ব্যবহার করেন।
ওয়্যারড ম্যাগাজিনে টুইটারের আর্কিটেকচার পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে আরো পড়ুন এখানে।