
নামি দামি ব্র্যান্ডের কনভারস জুতা দিয়ে তৈরি চিলিয়ান পতাকা। ছবিঃ ফ্লিকার ব্যবহারকারী গঞ্জালো বায়োজা এইচ (সিসি বাই ২.০)।
“এল দিয়েসিওচো” (অষ্টাদশ) নামে সুপরিচিত চিলির জাতীয় ছুটির দিবসটি প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ এবং ১৯ তারিখে পালিত হয়। কবিদের এই চারণ ভূমিতে অন্যতম মজাদার এবং প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী একটি ধারা হচ্ছে দ্ব্যর্থক এর ব্যবহার। এই নামকরণ খেলার ধারা অনুযায়ী ভোজনকারীদের ফনডাস নামে অভিহিত করা হয়। “ফিয়েস্তাস পাতরিয়াস” (জাতীয় ছুটির দিন) এর সময় তাৎক্ষনিকভাবে তৈরিকৃত খাবার এবং নৃত্যশালাগুলোতে নাচ গানের আয়োজন করা হয়।
এ উৎসবের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক বিভিন্ন আকস্মিক ঘটনা, স্থানীয় হাস্যরস, তারকাদের নাম অথবা যৌন কটাক্ষ নিয়ে ইঙ্গিত পূর্ণ বাক্যাংশ তৈরি করা হয়। সবাইকে আনন্দ দিতে এই নামগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা এবং ইন্টারনেটে শেয়ার করা হয়। প্রতি বছর এমন একটি প্রীতি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়, যেখানে যাচাই করা হয় যে কে সবচেয়ে উদ্ভাবনীমূলক এবং সৃজনশীলভাবে নামকরণ করতে পারে। এমনকি এদের কেউ কেউ ভীষণ বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। অন্যতম একটি উদাহরণ হল “ইয়েন ফনডা” (এটি অভিনেত্রী জেন ফনদার স্পেনীয় উচ্চারণ) নৃত্যশালা। বিখ্যাত গানের দল লস ট্রেস নৃত্যশালার এই নামকরণ করে ১৯৯৬ সালে।
এ বছরের এল দিয়েসিওচোতে সবচেয়ে জনপ্রিয় হওয়া কয়েকটি নাম নিচে দেয়া হলঃ
#NombresDeFondas Esta en Valparaiso, en el sector Alejo Barrios pic.twitter.com/ZQdTt6vJIK
— Hans Villagrán Vidal (@hvillagran) septiembre 17, 2014
[ছবিতেঃ মিশেল হাদা রেস্তোরার নাম দেয়া হয়েছে “ভূমিকম্প ধেয়ে আসছে”।]
ভালপারাইসোতে অবস্থিত আলেজো ব্যারিওসের পার্শ্ববর্তী এলাকা।
“এল তেরেমতো” (যার অর্থ ভূমিকম্প) হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী মিশ্রিত চিলিয়ান পানীয়। এ পানীয়টি ১৯৮৫ সালের ভূমিকম্পের পর তৈরি করা হয়। তখন থেকেই পানীয়টির নাম এল তেরেমতো। এই মিশ্রিত পানীয়টি মূলত চিলিয়ান টেবিল ওয়াইন, আনারস, আইসক্রিম এবং ফারনেট, গ্রেনাডাইন বা তিক্ত লিকারের মাংশল অংশ দিয়ে তৈরি করা হয়। বিয়ার এবং লেবু দিয়ে আরেক ধরনের মিশ্র পানীয় তৈরি করা হয়, যার নাম “মিশেলাদা”।“হাদা” শব্দটির সাথে চিলিয়ান প্রেসিডেন্ট মিশেলে বাচেলেটের নাম যোগ করে মিশেল-হাদা শব্দটি এসেছে। স্প্যানীশ ভাষায় “হাদা” শব্দটির অর্থ হচ্ছে “পরী”।
#NombresDeFondas “La fonda de Lavín”, todo a tan solo dos lucrecias! pic.twitter.com/qC6piD6dei“
— Hiper Dressand (@asbelhiper) septiembre 17, 2013
[ছবিতেঃ লাভিনের রেস্তোরা দেখা যাচ্ছেঃ এখানে দরিদ্র লোকেরা শুকরের মতো করে খাচ্ছে… তবে তারা শুকর খাচ্ছেন না। জনপ্রিয় সুস্বাদু সব খাবারঃ পাশের দোকানের বিড়াল (অথবা কুকুরের) মাংসের কাবাব; জানজোন ডি লা আগুয়াদা চ্যানেলের ইঁদুর ভাঁজা, মার্জারিনের সাথে দু’পাশ পোড়ানো রুটি; (ভিয়েনিজ সসেজ) দিয়ে তৈরি “শুকরের” রোস্ট; দুঃস্থদের জন্য খাবারের তালিকাঃ (আক্ষরিকভাবে) “গরুর” রোস্ট। পানীয়ঃ ওয়াইন (আঙুরের স্বাদ মিশ্রিত পাউডার পানীয় + কৃত্রিম এলকোহল); ট্যাপের সুস্বাদু পানি।]
“লাভিনের রেস্তোরা”, ২টি হরিণের জন্য যেকোন কিছু!
একজন বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নামে “লাভিনের রেস্তোরা” নামটি রাখা হয়েছে। সাবেক সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী জোয়াকুয়িন লাভিন ২০১৩ সালে একটি রান্নার বই প্রকাশ করেছিলেন। দরিদ্র পরিবারগুলোকে মাসিক ২,০০০ চিলিয়ান পেসো (প্রায় ৪ মার্কিন ডলার) খরচ করে প্রতিদিনের সুষম খাবার তৈরি করতে এটি সাহায্য করবে। কথ্য ভাষায় ১,০০০ পেসো মূল্যমানের নোটটিকে বলা হয় “লুকা”। সেই থেকেই লুকরেসিয়া নামটি এসেছে।
#NombreDeFondas jaaaahajaja excelentee pic.twitter.com/vzUyBkOhv9
— HEMBRA (@lanotable1) septiembre 17, 2014
[ছবিতেঃ “ডিমঃ আপনি যদি উচ্চ তাপমাত্রায় না থাকেন, তবে আপনি মাতাল হয়ে যাবেন।” (আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, “ডিমটি যদি সিদ্ধ না হয়ে বের হয়, তবে ডিমটি বেশি তাপে অতিমাত্রায় সিদ্ধ হয়ে যাবে।”)]
- হা, হা, হা! দারুণ।
Que tal el nombre de esta fonda ???!?…jajajaja….weeena pic.twitter.com/LHvGAOEH4Z
— chistosoto (@Chistosoto) septiembre 10, 2014
এই ফন্ডার নাম নিয়ে আপনি কি ভাবছেন [পিনিলার পোস্ট]???!?…হা, হা, হা! … চমৎকার!
“এল পালো ডি পিনিলা” (পিনিলার পোস্টে) চিলিয়ান জাতীয় দলের ফুটবল খেলোয়াড় মাউরিসিও পিনিলার কথা উল্লেখ করেছেন। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে একটি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার সময় তিনি একটি গোল করতে ভুল করেছিলেন। তাঁর মারা বলটি গোলপোস্টের গাঁয়ে লেগে ফেরত আসে। গোল না দিতে পারায় সে ম্যাচটিতে হেরে চিলি টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পরেছিল।
IPhonda #100CosasTipicasDeMiPais pic.twitter.com/U1rS7xc78X
— Victoria Aranibar (@vickyaranibar) septiembre 17, 2014
আইপিহোন্ডা, আমার দেশের ১০০টি বৈশিষ্ট্য সূচক বস্তু।