হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনের পিছনে আমেরিকার হাত আছে বলে মনে করে রাশিয়া। পাশাপাশি তারা এ-ও অভিযোগ করেছে, ইউক্রেনের ঘটনায় রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় চীনকে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে। যদিও রাশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, হংকংয়ের বর্তমান গণআন্দোলনের পিছনে এলিয়েনরা রয়েছে।
রাশিয়ার বেসরকারি টিভি চ্যানেল রেন-টিভি'র ওয়েবসাইটে একটি রোমাঞ্চকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি তাতে সেপল টিভির লোগো-সহ একটি ভিডিও যোগ করা হয়েছে। এবং সেখানে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের মাথার ওপরে ইউএফও দেখা গেছে।
রাশিয়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সংবাদ প্রতিবেদন দেখে আমোদিত হওয়ার পাশাপাশি হতাশও হয়েছেন। এটা কেন এখানে এলো তাও বুঝতে পারছেন না। প্রথম দেখায় তারা এটিকে রেন-টিভি'র ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মনে করেছিলেন। কিন্তু ঘটনা হলো, উক্ত চ্যানেলটি রাশিয়ার সবচে’ বড়ো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নেটওয়ার্ক। চ্যানেলটির দেশজুড়ে ৪০০ স্টেশন এবং ১২০ মিলিয়নের মতো দর্শক রয়েছে। এ ধরনের সংবাদ দেথে দর্শকরা বিস্ময়ে বিমুঢ় হয়েছেন।
@ponny1 каааак это может быть федеральным каналом???
— Игорь Никонов (@nikonov_igor) October 1, 2014
একটি ফেডারেল টিভি চ্যানেল এটি কীভাবে করতে পারলো?
অন্যদিকে কিছু টুইটার ব্যবহারকারী মনে করেন, এর মাধ্যমে পশ্চিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা থেমে যাবে।
@tjournalru ну так хоть американцы невиноваты
— Sergey (@fluffyberserk) October 1, 2014
ভালো। এটা আমেরিকার দোষ না।
এর আগে রেন-টিভি দাবি করেছিল, আমেরিকা নিজেদের জন্য বহির্জাগতিক প্রাণীদের পরিচালনা করে। এবং এটা প্রমাণ করতে তারা সব-ই করেছিল।
@tvrain @tjournalru те самые инопланетные нацисты http://t.co/mKcu1noS2a pic.twitter.com/M7aMZAzbAv
— Anisim (@anisim) October 1, 2014
এগুলো অবশ্যই নাজি এলিয়েন।
এ ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন নিয়ে রাশিয়ার জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল যদি লক্ষ লক্ষ দর্শকদের সামনে এমন বিদেশি প্রতিবদেন প্রচার করে, তাহলে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া রাশিয়ান ওয়েবসাইটে থাকার প্রয়োজনীতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। রাশিয়ার ইন্টারনেট ভুয়া এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বে ভরপুর থাকলে, প্রকৃত তথ্যের জন্য মানুষজন অন্যত্র চলে যাবে।