জাপানের মাউন্ট অনটেক-এর অগ্ন্যুৎপাতের সময় যা ঘটেছে তার ভিডিও

মধ্য জাপানের জনপ্রিয় পর্বতারোহণ কেন্দ্র মাউন্ট অনটেক (御嶽山, অনটেক সান) বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম উদ্‌গিরণ শুরুর ঘটনায় একজন পর্বত আরোহীর নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, এছাড়াও এই ঘটনায় প্রায় পঞ্চাশ জন আরোহী আহত হয়েছে এবং দশজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। সংবাদে দেখা যাচ্ছে তরঙ্গায়িত ছাই-এর মেঘ,পাহাড়ের চূড়ার উপর অবস্থিত আরোহণের জন্য নির্মিত এক কুটির ধূসর ভস্মে-এ ঢেকে গেছে।

চলমান এই ঘটনার তাজা সংবাদের জন্য টুইটারে অনটেক অন টুইটার হ্যাশট্যাগ অনুসন্ধান করুন।

ইউটিউবে পোস্টকারী কুরোদা তেরুতোশি প্রাথমিক অগ্ন্যুৎপাতের এই ভয় ধরানো স্মার্টফোন ভিডিও দৃশ্য আপলোড করেছে, যা পাহাড় চূড়ায় ঘটেছিল। যখন পর্বতারোহীদের মাথায় ছাই-এর মেঘ জড় হয়, তখন তিনি উচ্চারণ করেন “এবার এখান থেকে কেটে পড়া যাক!”

মাউন্ট অনটেক-এ প্রচণ্ড উদ্‌গিরণ

পাহাড় থেকে আতঙ্কিত পর্বতারোহীদের দ্রুত নেমে আসার ছবি এপি ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে।

৩০৬৭ মিটার উচ্চতার মাউন্ট অনটেক পাহাড় মাউন্ট ফুজির পর জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচচ পর্বত। এটি মধ্য জাপানের বিশাল শহর নাগোয়ার কাছে গিফু নামক এলাকায় অবস্থিত, এবং এটি গ্রীষ্ম এবং শীতের শুরুতে এটি এক জনপ্রিয় হাইকিং বা পায়ে হেঁটে বেড়ানোর এলাকায় পরিণত হয়।

অনেক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ায় এবং আহত হওয়ায়, অনেকে এই ঘটনার তাজা সংবাদ এবং তাদের বন্ধু এবং প্রিয় মানুষটি অগ্নি উদগিরণ-এর সময় কি পাহাড়ে আটকা পড়েছে কি না সে সম্বন্ধে জানতে চাইছিল।

আমাদের জনপ্রিয় টুইটগুলো এই ঘটনার এক পাইরোক্লাস্টিক ফ্লো চার্ট (গরম গ্যাস এবং পাথরের ওঠানামা)–এর খসড়া মানচিত্র তৈরী করেছে:

 জাপানের হাইকিং সম্প্রদায় হচ্ছে ঘনিষ্ঠ বন্ধনে আবদ্ধ দল যা প্রায়শ টুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে। অনেক ব্যক্তি আরো তথ্যের জন্য মরিয়া হয়ে ছিল।

স্থানীয় অগ্নি নির্বাপক বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে অনটেক আগ্নেয়গিরির অগ্নি উদগিরণ-এর ঘটনায় একজন নারী নিহত হয়েছে ।

গিফু অঞ্চলের তাজিমি এলাকার একজন অতি পরিচিত পরিব্রাজক অনটেকের চুড়া থেকে তোলা অনেক বেশী আনন্দদায়ক কিছু ছবি পোস্ট করার পরের দিন এই ঘটনা ঘটল:

আমি পায়ে হেঁটে মাউন্ট অনটেক-এর চূড়ায় পৌঁছে নিজে চমৎকার এক দিন অতিবাহিত করলাম।

এখন পর্যন্ত তার হদিস অজানা।

আশা করি এটা যেন সাতোরি না হয়

 

তাজা সংবাদ

পাহাড় চূড়ায় যারা আটকে পড়ে আছে তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে, যেখানে এখনো অগ্নি উদগিরণ চলছে।

 

ফিচার ছবি কুরোদা তেরুতোশির সৌজন্যে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .