ইরানের ২৩.৫ মিলিয়ন তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এদের ৬৯.৩% বৈশ্বিক ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে প্রক্সি এবং ভিপিএন-এর (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) মতো বেআইনি পন্থা অবলম্বন করেন। সম্প্রতি ইরানের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের জন্য ইরানি কর্তৃপক্ষ ফায়ারওয়াল ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। তাই ইসলামি আদর্শ কিংবা সরকারবিরোধীরা ইন্টারনেটে অবাধ প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হন। যদিও ফায়ারওয়াল এড়িয়ে ইন্টানেটে প্রবেশের পন্থাগুলো আইনসঙ্গত কী না প্রতিবেদনে তা বলা হয়নি। তবে ইরানের কম্পিউটার অপরাধের যে তালিকা আছে তার মধ্যে প্রক্সি এবং ভিপিএন প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিতরণ রয়েছে। এগুলোকে বেআইনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ যদি এই আইন লংঘন করেন, তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
ইরানের ইন্টারনেট নীতি নানা অসংলগ্নে পূর্ণ। এবং এটা নিয়ে প্রায় কথা উঠে। গত সপ্তাহে ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানের মতো দেশে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কখনোই কার্যকর করা সম্ভব নয়। যদিও এর কয়েকদিন পরেই ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স বিষয়ক মন্ত্রণালয় যথাযথ নিবন্ধন না থাকায় সংবাদ ভিত্তিক কয়েকটি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়। এদিকে রুহানি এবং তার মন্ত্রীসভার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটার ব্যবহার করেন। তবে এই দুই ওয়েবসাইট-ই ইরানের সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য নিষিদ্ধ।
মোবাইল এবং ফিক্সড লাইন ইন্টারনেট পরিকাঠামোর উন্নতি সত্ত্বেও কিছু মানুষ যুক্তি দেন, রুহানির ইন্টারনেট নীতি হলো বিরল এক নীতি যা বাগাড়ম্বরতায় পূর্ণ। আর এটাই দেশটির বহু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং মুক্ত ইন্টারনেটের পক্ষে প্রচারণাকারীদের জন্য সামগ্রিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।