রাশিয়ার পুসি রায়ট আন্দোলনের দুই পুরোধা ব্যক্তি হলেন মারিয়া আলিওখিনা এবং নাজেডা তোলোকোনিকোভা। তারা নতুন প্রকল্প নিয়ে আবার ফিরে এসেছেন। গত সপ্তাহে তারা নতুন একটি মিডিয়া পোর্টাল চালু করেছেন। পোর্টালটির নাম মিডিয়াজোন। সেখানে রাশিয়ার জেল ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আলিওখিনা এবং তোলোকোনিকোভার দাতব্য সংস্থা জোনা প্রাভা অংশীদার হিসেবে সাহায্য করবে। রাশিয়ার খ্যাতনামা সাংবাদিক সার্গেই স্মিরনভ এই মিডিয়া প্রকল্পের এডিটর-ইন-চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পোর্টালটি ইতোমধ্যে বিখ্যাত ব্যক্তিদের গ্রেফতার, বিশেষজ্ঞ মতামত, রাশিয়ার জেল ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবদেন প্রকাশ শুরু করেছে।
সাইটে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তোলোকোনিকোভা বলেছেন, রাশিয়ার গণমাধ্যমের অভাব পুষিয়ে দিতেই এই নিউজ পোর্টাল চালু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার গণমাধ্যমের ওপর ব্যাপক সেন্সরশিপ বহাল রয়েছে। তাছাড়া অনেক গণমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ পরিবেশন করে।
Since our release from prison 6 months ago we've felt that Russian media are no longer able to cover what is going on. Because of the heavy censorship by authorities there is no space for anything in the media that criticizes Putin's policies and tracks human rights abuses by Russian courts and law enforcement.
ছ'মাস আগে আমরা জেল থেকে ছাড়া পেয়েছি। আমরা জানি, জেলের যে অবস্থা, তা নিয়ে রাশিয়ার গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারবেন না। কারণ তাদের ওপর ব্যাপক সেন্সরশিপ রয়েছে। এমন কোনো মিডিয়া নেই যারা পুতিনের নীতির সমালোচনা করে পার পাবেন। রাশিয়ার আদালত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করতে পারবেন।
পোর্টালটি রাশিয়ার কারাগারে আটকাবস্থা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
Мы стремимся к тому, чтобы сделать более зримым всё, что происходит в Российской Тюрьме. Преследования гражданских активистов и правозащитных организаций, полицейское насилие и пытки, рабская система ФСИН, коррупция, судебное бездушие и мужество, законодательный абсурд, голуби над зоной и конвойные собаки — все это только часть тех тем, которые попадают в сферу наших интересов и которые мы собираемся освещать.
আমরা চেষ্টা করবো রাশিয়ার জেল ব্যবস্থার চিত্র সবার সামনে তুলে আনার। আমরা বিভিন্ন ইস্যু যেমন নাগরিক অধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি রাজনৈতিক হয়রানী, পুলিশি নির্যাতন, কারাগারে দাসপ্রথা, দুর্নীতি, বিচারিক কড়াকড়ি, আইনি অস্পষ্টতা, পুলিশের কুকুর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রতিবদেন প্রকাশ করবো।
রুনেটের সবাই নিউজ পোর্টাল চালুর ঘটনাকে ইতিবাচকভাবে নেন। অনেকে আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে রাশিয়ার অপরাধ ব্যবস্থার মুখোশ উন্মোচিত হবে। সাংবাদিক কিরিল মারটিনভ টুইট করেছেন:
Я думаю, Медиазона отличный проект. Хватит уже валять дурака и делать вид, что в России есть политика без собак и конвоев.
— Кирилл Мартынов (@kmartynov) September 4, 2014
আমি মনে করি, মিডিয়াজোন প্রকল্প ফলপ্রসু হবে। রাশিয়ার রাজনীতিতে যে মিথ্যাচারিতা রয়েছে, তা বন্ধ করার এখনই সময়।
নিউজ পোর্টালটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বারের পিছন দিক দিয়ে দেখলে, সরকার কীভাবে কাজ করে তা সবচে’ ভালো দেখতে পাওয়া যায়। গত ডিসেম্বরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই আলিওখিনা এবং তোলোকোনিকোভা জোনা প্রাভা গঠন করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ায় বন্দিদের আইনি, মানসিক এবং অনানুষ্ঠানিক সমর্থন দেয়া। এবারের গ্রীষ্মে এই দুই নারী রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে ইউরোপের মানবাধিকার আদালতে মামলা করেছেন। গ্রেফতার করার জন্য তারা প্রত্যেকে ১৭০,০০০ মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।