ক্লগহার প্রকল্প: কম্বোডিয়ার তরুণীরা তাদের ব্লগ শুরু করেছে

রাইজিং ভয়সেস ক্ষুদ্রঋণপ্রাপ্ত প্রকল্পের সংবাদ

Clogher participants write welcome messages for their blogs.

ক্লগহার প্রকল্পের অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্লগের জন্য শুভেচ্ছা বার্তা লিখছে।

১৭ আগস্ট, রবিবার ক্লগহার প্রকল্প শুরু হয়েছে। একদল উদ্যেমী তরুণী এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রথমবারের মতো এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রশিক্ষণ শুরুর আগে কম্বোডিয়ার সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস-এর নির্বাহী পরিচালক মিস চাক সোপহিপ প্রশিক্ষণার্থীদের একটি ভিডিও দেখান। এই ভিডিওটি মিস চাক এবং তার সহকর্মী ব্লগাররা জার্মানির বার্লিনে ব্লগার ট্যুরের সময় বানিয়েছিলেন। এতে ইন্দোনেশিয়ার, ফিলিপাইন এবং জার্মানির ৬ জন ব্লগার তাদের অভিজ্ঞতা এবং অনুপ্রেরণার কথা বলেছেন।

প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী তাদের প্রত্যাশার কথা বলেন। তাছাড়া বেশিরভাগই জানান, তারা নারী অধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই ব্লগ লিখতে চান। প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে তারা যা যা শিখেছেন, একজন ভালো ব্লগার হতে কী কী দরকার, তা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার কথাও তারা বলেছেন। যদিও প্রকল্প শুরুর আগে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা কী করবে, তা নিয়ে আমাদের নিজেদের পরিষ্কার ধারণা ছিল না। এখন তাদের কথা শুনে আমাদের ভালো লাগছে।

সোপহিপ তার ফেসবুকে লিখেছেন:

A productive Sunday, and I am impressed with these young women who have a clear mission to start their blogs with a clear social purpose!

রবিবার-টা আমাদের খুব ভালো গেল। আমি এই তরুণীদের নিয়ে খুবই অভিভূত, ব্লগ শুরু নিয়ে তাদের পরিষ্কার ধারণা আছে। সামাজিক একটা উদ্দেশ্যও আছে।

প্রশিক্ষণের শুরুর দিকটা ছিল একেবারে মৌলিক কিছু টেকনিক্যাল দক্ষতা অর্জন বিষয়ক আলোচনা। তারা জানতে চেয়েছিল ব্লগের সুন্দর একটা নাম কীভাবে হতে পারে, তারা ব্লগে কোন কোন বিষয় তুলে আনতে পারে। আর প্রশিক্ষণে তাদের সর্বশেষ কাজ ছিল তাদের ব্লগের জন্য একটি শুভেচ্ছা বার্তা লেখা। ফলে তারা যখন তাদের ব্লগ খুলবে, তখন তারা এটিকে তাদের প্রথম পোস্ট প্রকাশ করতে পারবে।

Participants brainstorm their blog name and issues of focus

অংশগ্রগণকারীরা তাদের ব্লগের নাম কী হবে, কোন কোন বিষয় নিয়ে লিখবে সেটা নিয়ে ব্রেইনস্টর্ম করছে।

প্রত্যেকে তাদের শুভেচ্ছা বার্তা লেখার পরে আমরা ব্লগ কীভাবে তৈরি এবং ডিজাইন করতে হয়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি।

প্রশিক্ষণের প্রথম দিকে কিছু কিছু অংশগ্রহণকারী একটু লজ্জা পেতে ছিলেন। সবার সাথে তারা কথা বলতেও অস্বস্তিবোধ করছিলেন। কিন্তু প্রথমদিনের পরেই তাদের জড়তা কেটে যায়। এমনকি একজন মেয়ে ফেসবুক পেজও খুলে ফেলেন। তারা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলার সময়েও সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে পরস্পেরের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। আর তারা এটা করেছেন, প্রশিক্ষণদানকারীদের জিজ্ঞেস না করেই।

পরবর্তী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে আগস্ট মাসের শেষ দিকে। আমরা আরো একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সুন্দর ভাবে শেষ করার জন্য বৈঠক করছি, দরকারি সব কাজ করে রাখছি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .