ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা এলিস লেকার এর একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘চাকার পেছনের গল্প’। যারা তাজিকিস্তান থেকে রাশিয়ায় পুরুষ শ্রম অভিবাসীদের চলমান অভিবাসন প্রবাহে মানিয়ে নিতে পারেননি, সেসব নারী এবং তাঁদের পরিবারের কঠিন জীবন চলচ্চিত্রটিতে তিনি তুলে ধরেছেন। বর্তমানে চলচ্চিত্রটি ইউরোপ জুড়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন উৎসবে প্রশংসা অর্জন করেছে এবং ৩০ জুলাই তারিখে উইমেন্স ভয়েসেস নাউ চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে।
২০১৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ছবিটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ, নীচে দেয়া হল:
প্রতি বছর, শত শত হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাজের খোঁজে তাজিকিস্তান ছেড়ে যায়। তাঁদের পাঠানো টাকা দেশটির অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখে। আসলে, তাজিকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে রেমিটেন্স নির্ভর একটি দেশ। এই অভিবাসীদের অধিকাংশই পুরুষ। যার অর্থ দাঁড়ায়, তাজিক জনসংখ্যা আরো বেশি মহিলা নির্ভর হয়ে উঠছে, যেখানে পুরুষদের সংখ্যা সীমিত। তাহলে যেসব নারীরা দেশে রয়ে গেলেন তাঁদের কি অবস্থা? ‘চাকার পেছনের গল্প’ নিগোরাদের নৈতিক এবং মানসিক অশান্তির চিত্র তুলে এনেছে। নিগোরা হচ্ছে [জাতিগত] উজবেক মহিলা, যার ঐতিহ্যগতভাবে একজন গৃহিনীর জীবন বেঁছে নেয়। কিন্তু তাদের স্বপ্ন বা জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, যখন তাঁদের অভিবাসী স্বামী যথেষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতে ব্যর্থ হয় এবং অবশেষে দেখে যে তাঁর স্বামী অন্য মেয়ের সাথে আবারও পরিণয়ে জড়িয়ে পড়েছে। তারা তখন আর তাঁদের স্বামীর উপর নির্ভর করতে পারে না। নিগোরারা তখন লিঙ্গ নিয়ম নিয়ন্ত্রক উপেক্ষা করে এবং গাড়ির চাকা স্থাপন করার কাজে নিয়োজিত হয়।
যদিও ছবিটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২০ মিনিট, তবে সেখানে নিগোরা এবং তার পরিবারের জীবনধারার চিত্রায়ন একই সাথে হৃদয়বিদারক এবং উদ্দীপনায় ভরপুর। ছবিটি শেয়ার করেছে সিটিজেন ডট টিভি, নিচে সেটি দেখা যাবে:
আরএফই / আরএল এর সহযোগিতায় সেনিয়া ডীয়োডোরোভার তৈরি একটি ছবির প্রবন্ধেও অভিবাসন আক্রান্ত তাজিক পরিবারের অভিজ্ঞতা আরেকটি উইন্ডোতেও উপলব্ধি করা যাবে।