খাদ্য সংকটে ভেনেজুয়েলাতে দুধ অথবা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? এ কাজে এই অ্যাপ্লিকেশনটি সাহায্য করতে পারে

"Contribute... Click on the map on the location of a product's sale, enter the name of the establishment and the type of price, then click on the green button and that's it! Your fellow citizens will thank you." Screenshot of the Abastéceme app for contributors.

অনুমতিক্রমে এবাস্টিসিম অ্যাপের একটি স্ক্রিনশট দেখানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “অবদান রাখুন… যেখানে পণ্য বিক্রি করা হয়, সেখানে ক্লিক করুন, সে জায়গাটির নাম সংজোযন করুন এবং মূল্য তালিকা দিন। তারপর সবুজ বোতামে টিপ দিন এবং দেখুন হয়ে গেছে! আপনার সহকর্মী নাগরিকবৃন্দ আপনাকে ধন্যবাদ জানাবেন।”

আঁটা, দুধ বা টয়লেট পেপারের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো যখন দেশের অধিবাসীরা খুঁজে পান না, তখন আপনার দেশের সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে আপনি কি করেন ?

ভেনেজুয়েলার মারাকাইবো শহরের এক তরুণ প্রকৌশল শিক্ষার্থী হচ্ছেন জোসে অগাস্টো মনটিয়েল। আপনি যদি তাঁর মতো হয়ে থাকেন তবে “এবাস্টিসিমে” [স্প্যানীশ] নামে একটি এ্যাপ তৈরি করতে পারেন। যার অর্থ “আমাকে সরবরাহ কর”।

মনটিয়েল ২০১৩ সালে এবাস্টিসিমে এ্যাপটি চালু করেন। একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে তিনি এ্যাপটি তৈরি করেন। এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে যা ভেনেজুয়েলার সে সব অধিবাসীদের অবস্থান জানিয়ে একটি মানচিত্র তৈরি করবে যারা তাদের কাছে থাকা বিভিন্ন মৌলিক পণ্যদ্রব্যের বাড়তি অংশটুকু অন্যান্য যাদের প্রয়োজন তাদেরকে সরবরাহের প্রস্তাব দিবে। সামাজিক নেটওয়ার্কটি তৈরি করা হয়েছে যেন এসব পণ্যদ্রব্য খুঁজে পেতে অধিবাসীরা একটি সহজ রাস্তা পেয়ে যান।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভেনেজুয়েলা খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। আর বিশেষজ্ঞরা খাদ্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাব, কৃষি পণ্যের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং খাদ্য আমদানির উপর নির্ভরতা বাড়ানোকে এই খাদ্য সংকটের প্রধান কারন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সরকারি ভর্তুকি দিয়ে বাজারজাত করা খাদ্য সামগ্রী কোন কোন ভেনেজুয়েলান লাভের আশায় কালো বাজারে পুনরায় বিক্রি করছেন। ২০১৩ সালে এ্যাপটি যখন চালু করা হল তখন দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রদেশ জুলিয়াতে ২০ টি নিত্যপন্যের জন্য রেশন ব্যবস্থা শুরু করা হয়। এই ২০টি পণ্যের ভিতরে টয়লেট পেপারও অন্তর্ভুক্ত আছে। স্পেনীয় সংবাদ প্রচারকারী ওয়েবসাইট ভক্সি’এর খবর অনুযায়ী, খাদ্য পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।  

সোশ্যাল টেক গাইড গত বছর রিপোর্ট করে, এবাস্টিসিমে এ্যাপটি “কয়েক হাজার ভেনেজুয়েলানকে তাদের প্রয়োজনীয় টয়লেট পেপার পেতে” সাহায্য করছে। এ সময়ের মাঝে এ্যাপটি খুব দ্রুত বিস্তৃত হয়েছে এবং সীমানা পেরিয়ে অন্যান্য দেশেও পৌঁছে গেছে। মনটিয়েল এ্যাপটির অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেছেনঃ 

Abastéceme ha seguido creciendo en numero de usuarios, alcanzando casi los 40 mil usuarios tan sólo en su versión móvil. Con la adición de su versión Web se fortaleció aun más la plataforma, permitiéndole aun más personas el acceso a la misma, sin importar su status socioeconómico, lo cual es lo más importante para mí.

এবাস্টিসিমের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র এর মোবাইল সংস্করন ব্যবহার করছেন প্রায় ৪০ হাজার লোক। তাঁর পাশাপাশি এমনকি এটির অনলাইন সংস্করণ [স্প্যানিশ] খ্যাতি ছাড়িয়ে আরও উপরে উঠে গেছে। এতে করে আরও বেশি সংখ্যক লোক তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে এ্যাপটি ব্যবহার করছেন। এটি আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

মনটিয়েল ব্যাখ্যা করেছেন, সুপার মার্কেটে যাওয়ার আগে লোকজন এ্যাপটি ব্যবহার করে দেখতে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত লোকজন যে পণ্যগুলো খুঁজছেন তাঁর মধ্যে দুধ হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য।   

Screenshot of the Abastéceme app, used with permission. It reads, "Find... Products shared around your location will automatically pop up, indicated with pointers. Click on these to receive information on the product."

অনুমতিক্রমে এবাস্টিসিম অ্যাপের একটি স্ক্রিনশট।  সেখানে বলা হয়েছে, “খুঁজুন… আপনার আশেপাশে যেখানে দ্রব্যাদি শেয়ার করা হবে, সেখানে আপনাআপনি নির্দেশনা পয়েন্ট নির্দেশ করবে। পণ্যের তথ্য পেতে সেগুলোর উপর ক্লিক করুন।”

এবাস্টিসিমের পরিধি সম্পর্কে তিনি আরও বলেছেনঃ 

La mayoría de sus usuarios se siguen situando en la zona central del país, en especial Caracas. Desde el comienzo, Abastéceme ha estado disponible en otros países, su única limitante es que sólo puedes localizar productos en un perímetro no mayor a 100 km, lo cual es mucho. 

দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চল, বিশেষ করে কারাকাসে এ্যাপটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুরু থেকেই অন্যান্য দেশেও এবাস্টিসিম সচরাচর ব্যবহৃত হচ্ছে। এ্যাপটির একটি সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, কেবল আপনার ১০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা পণ্যদ্রব্যের খোঁজ পেতে এটি ব্যবহার করা যাবে, এর বাইরে নয়। তবে এটিই যথেষ্ট।   

আজ পর্যন্ত মনটিয়েল এ্যাপটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আর এটির ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশ কিছু নতুন নতুন লক্ষ্য ঠিক করেছেন। আরও বেশি মোবাইল প্ল্যাটফর্মে যেন এটি ব্যবহার করা যায় সে চেষ্টাও তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এ্যান্ড্রয়েড এবং ব্ল্যাকবেরি মোবাইল যন্ত্রে এ্যাপটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। 

Mi gran empeño es por poder llevar Abastéceme a los dispositivos Apple, y espero lograrlo antes que termine el 2014.

এবাস্টিসিম এ্যাপটিকে এ্যাপল মোবাইলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে আমার জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আশা করি ২০১৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই আমি এই চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করতে পারবো। 

এবাস্টিসিমের পাশাপাশি বিটওয়াগন নামে আরও একটি প্রকল্প নিয়ে মনটিয়েল কাজ করছেন। এটি প্যানডোরার মতো একই ধরনের বিরতিহীনভাবে চলমান একটি মঞ্চ। এটি পুরোপুরিভাবে স্বাধীনচেতা শিল্পী এবং ব্যান্ডগুলোর প্রতি উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এটি এমন একটি স্থানে পরিণত হবে যেখানে লোকজন নিত্য নতুন গান খুঁজে পেতে ধরনা দিবে। 

এবাস্টিসিমের ওয়েবসাইট এবং গুগল প্লে স্টোরে আপনি এই এ্যাপটি সম্পর্কে আরও বেশ কিছু জানতে পারবেন। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .