নেপালের দরিদ্রতম জেলা মুগুতে কোন ফুটবল স্টেডিয়াম নাই, কিন্তু এ জেলায় রয়েছে আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় সন্তান লিওনেল মেসির [2] চাইতেও বেশি জনপ্রিয় ফুটবল তারকা। তিনি একজন নারী।
নেপালের জনপ্রিয় ব্লগ মাইসংসার [3] এর প্রতিবেদনে জানা যায় জাতীয় প্রমীলা ফুটবলে জয়লাভের পর সুনাকালী ও তাঁর দলকে এমন ভাবে তাদের এলাকায় স্বাগত জানানো হয়েছে যেন তারা ব্রাজিলে বিশ্বকাপ জয় করেছে।
কাইলালিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য এ তরুণীরা তাদের জীবনে প্রথমবারের মত তাদের পাহাড়ি জেলার বাইরে যায়। তাঁদের এ পরিভ্রমণ ছিল হাজার কিলোমিটারেরো বেশি। ছোট বিমানবন্দরে পৌঁছাতে তাঁদের দুইদিন [4] হাটতে হয়েছে এবং তারপর জীবনে প্রথমবারের মত প্লেন, রিকশা ও গরুর গাড়িতে চড়তে হয়েছে। কাইলালি ও মুগুর মধ্যে কোন সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই, আর যেটা আছে সেটার অবস্থা খুবই খারাপ।
প্রতিযোগিতায় মুগু দল ললিতপুর জেলার বড়িখেল দলের সাথে খেলে। ফাইনালে টিকাপুর দলের সাথে খেলার আগে তারা কাইলালির বালিয়া দল ও পাথারিয়া দলকে পরাজিত করে। ফাইনালে মুগু দল বিজয়ী হয় এবং সুনাকালি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। [5]
নানা কারনে এ অর্জন তাৎপর্যপূর্ণ [6], এর মধ্যে অন্যতম হল এই নারীরা ২০১১ সালে খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করে। মুগুতে মানুষের গড় আয়ু ৪৭ বছর, পুরুষের ৪৯ আর নারীদের ৩৯। ১৫- ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিবাহিত, নারী শিক্ষার হার ৯ শতাংশ।
বিজয়ী দল প্রত্যাবর্তনের পর স্থানীয়রা এয়ারস্ট্রীপে তাদের সাথে দেখা করতে আসে এবং স্লোগান দেয়, “সুনাকালি মেসির মত!” গ্রামে যাওয়ার জন্য তাদের জন্য ঘোড়ার আয়োজন করা হয়, মুগুর জন্য এটা অনেক সম্মানের বিষয়, কারন সেখানকার নারীরা কোন প্রাণীর উপর আরোহণ করেননা।
নারীদের এই সফর নিয়ে সাংবাদিক ভোজরাজ ভাট একটি ডকুমেন্টারি [1] তৈরি করেছেন, এ ডকুমেন্টারিটি জুলাই-এ মুক্তি পাবে। “সুনাকালীঃ গৌরবের পথে কিশোরী মেয়ের যাত্রা” শিরোনামে ইউটিউব প্রমোতে মুগুর জীবনযাত্রার এক ঝলক দেখা যাবে।
প্রতিযোগিতায় জয়লাভের পর, সুনাকালী মুগুর সাধারণ নামে পরিণত হয়েছে, এবং সামাজিক প্রচার মাধ্যমে তাঁর কাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে। নেপালী সাপ্তাহিক পত্রিকা সাপ্তাহিক ইকান্তিপুর সুনাকালীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে [5] তার ইন্টারনেট সুনামকে অনুসরণ করে। ভোজরাজ ভাট প্রকাশনা কভারটি টুইট করেনঃ
Sunakali, the Nepali #Messi [7]! The most heat news of #Mansar [8](75,139), came on @saptahik [9] 2dy http://t.co/R4Zj6TkA4o [10] pic.twitter.com/qBg107YSf4 [11]
— Bhojraj Bhat (@bhojbhat) July 4, 2014 [12]
সুনাকালী নেপালী #মেসি [13]! #মাইসংসার [8]- এর(৭৫,১৩৯) সবচেয়ে গরম খবর আসছে @সাপ্তাহিক [9] ২ ডে তে http://t.co/R4Zj6TkA4o) [10] pic.twitter.com/qBg107YSf4 [11]
– ভোজরাজ ভাট (@@bhojbhat)
স্বঘোষিত মুভি পাগল এবং ক্রিকেট ভক্ত টুইটার ব্যবহারকারী সুরজ সুনাকালী ও তাঁর মায়ের ট্রফি হাতে নিয়ে তোলা ছবি টুইট করেছেনঃ
मुगुकी मेस्सी- सुनकली बूढा आफ्नी आमाका साथ pic.twitter.com/rmFNGsiIlN [14]
— Everest OS Suraj (@Criceverest) July 10, 2014 [15]
Mugu's Messi: Sunakali Budha with her mother
মগুর মেসিঃ সুনাকালী বুধা ও তার মা
প্রখ্যাত নেপালী ব্লগার লেক্স লিম্বু সুনাকালীকে নিয়ে তাঁর ব্লগে লিখেন [16], তাঁর এ লেখা বিশ্বের নেপালীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
সুনাকালীর গ্রাম মুগুতে টেলিভিশন ইন্টারনেট এখনও স্বপ্ন, সমাজতত্ত্বের শিক্ষার্থী সরোজ চাপাগাই সুনাকালী ও মেসির তুলনা করে বিস্মিত হনঃ
@bhojbhat [17] किसुनकलीले हिजो Messi को खेल हेरिन कि नाइ खेल हेर्ने बेला मा त्यो कुरो चाँहि मन मा लागी रा'थ्यो
— सरोज चापागाई (@saroj_Chapagai) July 10, 2014 [18]
Whether Sunakali watched Messi's game yesterday or not, I was pondering while watching the match.
গতকাল সুনাকালী মেসির খেলা দেখতেও পারে নাও পারে কিন্তু খেলা দেখে আমি আলোড়িত হয়েছি।