ফিলিস্তিনি নাগরিকরা বলছে গাজায় বৃষ্টির মত গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন ইজরায়েল আজ রাতে, দুটি দেশের মাঝে অবরুদ্ধ গাজায় স্থল পথে হামলা চালানো শুরু করে [1], গাজা, যাকে এক উন্মুক্ত বন্দীশালা বলে অভিহিত করা হচ্ছে, সেখানে ২০ লক্ষ ফিলিস্তিনি নাগরিকের আবাস, যাদের কোথাও যাবার জায়গা নেই। গাজার একদিকে ইজরায়েল-এর সীমান্ত, অন্য পাশে মিশর, যে এখন গাজার সাথে তার সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে।
জেহান এওয়ানফাররা, টুইটারে যার কিনা ৮০০০ অনুসারী রয়েছে, সে বলছে:
NOW: It's raining FIRE on #Gaza [2] tonight with an Israeli ground invasion on the wayyy! #PrayForGaza [3] pic.twitter.com/QMOTBduZ96 [4]
— Jehan Alfarra (@palinoia) July 17, 2014 [5]
এখন: যখন স্থলে পথে গাজায় হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে, তখন আজ রাতে গাজায় বৃষ্টির মত গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে!
গাজা রাইটস ব্যাক, টুইটারে যারা ৩৬৪০০ অনুসারী রয়েছে, তিনি বলছেন স্থল পথে হামলা শুরু হয়েছে এবং ভারি বোমা বর্ষণ “সমগ্র গাজাকে আগুনের এক কুণ্ডে” পরিণত করেছে”:
israel starts a land invasion and turns the whole Gaza Strip into a ball of fire… #GazaUnderAttack [6] pic.twitter.com/pnyFbdtcra [7] — Gaza Writes Back (@ThisIsGaZa) July 17, 2014 [8]
ইজরায়েল সীমান্ত দিয়ে স্থল পথে আক্রমণ শুরু করেছে এবং সমগ্র গাজা এলাকাকে আগুনের এক কুণ্ডে পরিণত করেছে…
এবং আইফালাস্তিন, যে কিনা গাজাতে বাসা করে, টুইটারে সে তার ২৬৮০০ অনুসারীর জন্য টুইট করেছে:
It's raining bombs across Gaza Strip now from sea, land and air… Israel is bombing everything… #GazaUnderAttack [6]
— فلسطين i (@iFalasteen) July 17, 2014 [9]
এখন সমুদ্র, মাটি এবং আকাশ সবখান থেকে গাজায় বৃষ্টির মত গোলা বর্ষণ করছে… সকল কিছুর উপর ইজরায়েল বোমাবর্ষণ করছে
এছাড়াও, গাজাতে, টুইটারে যার ১০,০০০ অনুসারী রয়েছে সেই প্যালেস্টাইন নামক টুইটার ব্যবহারকারী আজ রাতে গাজায় যে বোমা বর্ষণ ঘটেছে, তার এই ছবি প্রদর্শন করেছে:
it's the heaviest attack now !! #PrayForGaza [3] #GazaUnderAttack [6] pic.twitter.com/VNWN6Dlaui [10] — Palestine | פלסטינה (@iPalestinian91) July 17, 2014 [11]
এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা !!
তার অন্য এক ছবিতে সে উল্লেখ করেছে :
Even the moon is red in Gaza tonight… #GazaUnderAttack [6] pic.twitter.com/EtgQgkyyTX [12]
— فلسطين i (@iFalasteen) July 17, 2014 [13]
এমনকি, গাজায় আজ রাতে চাঁদ পর্যন্ত লাল হয়ে গেছে…
ফটোগ্রাফার জাভেদ শাফতাওয়াই, গাজা সীমান্ত থেকে তোলা একটি ছবি প্রদর্শন করেছে, যেটিতে হামলা শুরুর বিষয়টি উঠে এসেছে:
The Israeli ground invasion has started on Gaza Strip, here the borders of Gaza. #GazaUnderAttack [6] pic.twitter.com/ny7sEjhar0 [14]
— Jehad Saftawi (@Jehadsaftawi) July 17, 2014 [15]
ইজরায়েল–এর স্থল পথে হামলা চালানো শুরু, এই হচ্ছে গাজার সীমান্ত।
এদিকে গাজার বাসিন্দা, ফিলিস্তিনের সাংবাদিক, অনুবাদক এবং ফ্রি ল্যান্স ফটোগ্রাফার লারা আবু রামাদান ব্যাখ্যা করছে:
This is horrible I can see a huge fire from the Israeli tanks western Gaza strip. #GazaUnderAttack [6] pic.twitter.com/whpSbRmSpo [16]
— Lara (@laraaburamadan) July 17, 2014 [17]
এটা বীভৎস,পশ্চিম গাজায় আমি ইজরায়েল-এর ট্যাঙ্ক থেকে বিশাল বিশাল সব গোলা নিক্ষেপের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি।
আর ফিলিস্তিনি ব্লগার হাইথাম সাবাহ, গাজা থেকে এই সরাসরি স্ট্রিমিং-এর এই লিঙ্কটি তুলে ধরেছে:
Online Live Stream From #GazaUnderAttack [6] http://t.co/jg2PZQbXXK [18] — Haitham Sabbah (@sabbah) July 17, 2014 [19]
গাজা থেকে সপ্তাহের প্রতিদিনের প্রতি মূহূর্তের সংবাদ (২৪/৭) অনলাইনে সরাসরি স্ট্রিমিং করা হচ্ছে
এদিকে, প্যারিস ভিত্তিক সাংবাদিক রিচার্ড হাল, টুইটারে যার ৬৮০০ অনুসারী, তিনি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন:
Last time Israel invaded Gaza 1,387 Palestinians were killed. 773 were civilians, including 320 children and 109 women. (Source: B'Tselem)
— Richard Hall (@_RichardHall) July 17, 2014 [20]
গাজায় এর আগে সর্বশেষ যে বার ইজরায়েল হামলা চালিয়েছিল, সেবার ফিলিস্তিনের ৭৭৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৩২০ জন ছিল শিশু এবং ১০৯ ছিল নারী (সূত্রঃ বি’ৎসেলেম)
“অপারেশন ডিফেন্সিভ এজ” নামক ইজরায়েল-এর হামলা শুরুর পর আজ ১১ তম দিবস অতিক্রান্ত হল, যে হামলায় নারী ও শিশু সহ ২৩০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত এবং ১,৫০০ জন নাগরিক আহত হয়েছে।
২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা হামাস, ইজরায়েল-এ মিসাইল ছুঁড়েছে [21]। সেখানে ছোঁড়া তাদের বেশীরভাগ মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে নির্মিত ‘আয়রন ডোম’ বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে তেমন কোন গুরুতর ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়নি,গার্ডিয়ান পত্রিকার মতে যা ব্যবস্থা অন্তত ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয় [22]।
সামগ্রিক হামলার ফলে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।