সৌদি আরবের একজন প্রখ্যাত মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ওয়ালিদ আবুলখায়ের। এই প্রখ্যাত আইনজীবীকে আজ ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাজতন্ত্রটিতে চালু হওয়া “সাধারণ আদেশ অমান্য” এবং “জনমত উস্কে দেওয়া”র মতো নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠার জন্য তার শ্যালক রাইফ বাদায়ির ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১,০০০ টি দোররায় দন্ডিত হওয়ার বিশ্বব্যাপী একটি এনজিও থেকে শোরগোল শোনার কমপক্ষে দুই মাস পরে তাঁর এই দণ্ডাদেশ হল।
আবুলখায়ের হলেন “সৌদি আরবে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ” প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তিনি সৌদি আরবের সামাজিক মিডিয়া জুড়ে ব্যাপক পরিচিত এবং @ওয়ালিদআবুলখায়েরের নামের তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ৭৬,০০০ এরও অধিক অনুসারী রয়েছে। তার দণ্ডাদেশের পর তার একাউন্টে তাকে উদ্ধৃত করে টুইট করা হয়েছে:
A final judgement against #WaleedAbuAlkhair has been announced early this day -1
— وليد أبوالخير (@WaleedAbulkhair) July 6, 2014
#ওয়ালিদআবুলখায়েরের বিরুদ্ধে একটি চূড়ান্ত রায় আজ দিনের প্রথম ভাগে ঘোষণা করা হয়েছে – ১
He was sentenced to 15 yrs and similar travel ban period and a 200 thousands riyals fine. A statement will be published tonight -2
— وليد أبوالخير (@WaleedAbulkhair) July 6, 2014
তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অনুরূপ সময় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং দুই লাখ রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। একটি বিবৃতি আজ রাতে প্রকাশ করা হবে – ২
” I object this judgement; God, history and people will make the true judgement between us” #WaleedAbuAlkhair reply in the final session.
— وليد أبوالخير (@WaleedAbulkhair) July 6, 2014
#ওয়ালিদআবুলখায়ের চূড়ান্ত সেশনে উত্তর দিয়েছেন, “আমি এই রায়ে আপত্তি জানাচ্ছি; ঈশ্বর, ইতিহাস ও মানুষ আমাদের মধ্যে সত্য বিচার করবে।”
ব্লগার আহমেদ আল ওমরান কি কি অভিযোগ রয়েছে তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে টুইট করেছেন:
Activist @WaleedAbulkhair convicted under new antiterrorism law for charges like “insulting general order” and “inflaming public opinion”.
— Ahmed Al Omran (@ahmed) July 6, 2014
সক্রিয় কর্মী @ওয়ালিদআবুলখায়ের “সাধারণ আদেশ অমান্য” এবং “জনমত উস্কে দেওয়ার” মতো নতুন সন্ত্রাসদমন আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এপ্রিলের ১৬ তারিখ থেকে অন্তরীন সক্রিয় কর্মী বলেছেন, নতুন ১৫ বছরের কারাদণ্ড আগের তিন মাসের সাজার অন্তর্ভুক্ত নয়। একাডেমিক গবেষক ডাঃ মাডায়ি আলরাশেদ এই কারাদণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তার ১,৮১,০০০ অনুগামীদের কাছে টুইট করেছেন:
باسم أي شريعة يتحول حكم بالسجن من ٣ اشهر الى ١٥ سنة؟ #وليد_أبوالخير
— Madawi Al-Rasheed (@MadawiDr) July 6, 2014
কোন ধর্মমতে তাঁরা ৩ মাসের একটি কারাদন্ড ১৫ বছরে পরিবর্তন করা হল ?
# وليد _ أبوالخير [আরবী ভাষায়] নামের খুব সক্রিয় হ্যাশ ট্যাগটিতে ওয়ালিদ আবুলখায়েরকে উল্লেখ করে বান্দের কাদের (@ফ্রিজেন) টুইট করেছেন যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়:
من يحمل السلاح ويكفر ويقاتل،،،يناصح ويخرج ومن يكتب وينتقد يحكم بسنين طويلة ،،،أنتم تحددون خيارات صعبة للشعب #وليد_أبوالخير
— بندر قِدير (@freetizen) July 6, 2014
ভাবাদর্শী চরমপন্থী, যারা অস্ত্র নিয়েছে এবং সংগ্রাম করেছে তাঁদের পুনর্বাসন, পরামর্শ এবং মুক্তি দেওয়া হবে, কিন্তু যারা কলম হাতে তুলে নিয়েছে এবং সমালোচনা করেছে তাঁরা লম্বা কারাদণ্ড পাবেন… আপনারা মানুষকে শক্ত বিকল্প প্রদান করছেন।
সিএনএন এর আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা মোহাম্মদ জামজুম তার ১৮,৬০০ অনুগামীদের কাছে টুইট করেছেন, আবুলখায়ের এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে কোন আপীল করবেন না:
Samar Badawi, wife of @WaleedAbulkhair, says “verdict was not just. Waleed was tried& sentenced simply 4 his work as rights activist” #Saudi
— Mohammed Jamjoom (@JamjoomCNN) July 6, 2014
@ওয়ালিদআবুলখায়েরের স্ত্রী সামার বাদায়ি বলেছেন, “এই রায় সঠিক নয়। ওয়ালিদের চেষ্টা করেছিলেন এবং একজন অধিকার কর্মী হিসেবে তাঁকে শুধুমাত্র তার কাজের জন্য দন্ডিত করা হয়েছে।”
Samar Badawi, wife of @WaleedAbulkhair, tells me Waleed does not recognize the legitimacy of the court that sentenced him in #Saudi Arabia
— Mohammed Jamjoom (@JamjoomCNN) July 6, 2014
@ওয়ালিদআবুলখায়েরের স্ত্রী সামার বাদায়ি আমাকে বলেছেন, সৌদি আরবে তাকে যে দন্ড দেওয়া হয়েছে ওয়ালিদ সে আদালতের বৈধতা স্বীকার করে না।
Samar Badawi, wife of @WaleedAbulkhair, tells me Waleed neither accepts nor will he appeal the verdict that was issued today in #Saudi court
— Mohammed Jamjoom (@JamjoomCNN) July 6, 2014
@ওয়ালিদআবুলখায়েরের স্ত্রী সামার বাদায়ি আমাকে বলেছেন, সৌদি আদালতে আজকের জারিকৃত এই রায়কে ওয়ালিদ মেনেও নিবেন না আবার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীলও করবেন না।
এই নতুন উন্নয়ন মানবাধিকার কর্মীদের উপর সৌদি আরবের চলমান কঠোর পদক্ষেপ এর একটি অংশ, যা এই বছরের শুরু থেকে ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে।