
গত ১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে ব্রাজিলে ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফটবুল আয়োজনের বিরুদ্ধে রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিবাদ সমাবেশের একটি পোস্টার। পোস্টারটিতে লেখা আছে, “ফিফা বাড়ি যাও”। ছবিঃ নিক্সন অলিভার।
পেন আমেরিকেন সেন্টারে এই পোস্টটির প্রকৃত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। অনুমতিক্রমে এটি পুনরায় প্রকাশ করা হল।
চলমান ফুটবল বিশ্বকাপ যেহেতু উত্তেজনা বাড়িয়েই চলেছে, তাই চলুন আমরা এসব জ্বলজ্বলে শিরোনামের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার ইস্যুতে ফুঁসতে উঠা খবরের দিকে এক ঝলক নজর দিই।
এ সপ্তাহে দারুণ দক্ষ ঘানা দলের বিরুদ্ধে প্রচন্ড কষ্টে অর্জিত জয় উদযাপন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল দল। কিন্তু এনএসএ এর চরম গুপ্তচরবৃত্তির কারণে দেশটি এখনও বাক স্বাধীনতাকে লাল কার্ড দেখিয়ে রেখেছে। আর ক্যামেরুন বিগত বিশ্বকাপ খেলার আসরগুলোতে সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের মন জয় করে নিতে খেলার মাঠে যতোটা ভাল খেলেছে, দেশটি তাঁর সাংবাদিকদের এবং লেখক ইনহ মেয়োমেসির সাথে ততোটাই খারাপ আচরণ করেছে। বার বার বিচার কাজ স্থগিত করার কারণে এই লেখক এখনও কারাভোগ করছেন।
ব্রাজিলের স্টেডিয়ামগুলো আরও জাঁকজমক করে তুলতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে সেখানে এখনও প্রতিবাদ চলছে। তবে এক বছর আগে ঘটে যাওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের জোরালো প্রতিবাদের চেয়ে এই প্রতিবাদটি অনেকটাই স্তিমিত। উদ্বোধনী খেলা শুরুর আগেই প্রতিবাদটি প্রথম রাজপথে গড়ায়। বিশেষ করে, গুয়ারানির লেখক অলিভিও জেকুপের ছেলে যখন বনাঞ্চলের গাছ কাঁটা এবং অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে দেশীয় ভূমি অধিকারের জন্য একটি পোস্টার প্রচার করা শুরু করেন, প্রতিবাদটি তখন দানা বাঁধে। আন্তর্জাতিক টেলিভিশন সম্প্রচার সূচী থেকে পোস্টারটি সেন্সর করে বাদ দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিফা যেমন ক্যাঙ্গারু আদালত বাস্তবায়ন করেছে, তেমন ব্রাজিলকেও এমনটা করতে বাধ্য করছে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ২৪ ঘন্টার চেয়েও কম সময় থেকে শুরু করে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দিতে এই ক্যাঙ্গারু আদালত ব্যবহার করা হয়েছে। ফুটবল প্রেমীদের কাছ থেকে পাওয়া নিয়মবিরুদ্ধ অনেক অভিযোগ এখনও গুজব হয়েই রয়ে গেছে। যেমন অনেক ব্রাজিলিয়ান ঠকবাজি করে প্রতিবন্ধী সেজে টিকিট কিনেছেন। খেলার কোন এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে তাদেরকে হুইলচেয়ার থেকে লাফিয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। আবার আর্জেন্টিনার ভক্তদেরকে সাম্প্রদায়িক শব্দ ব্যবহার করে সমস্বরে উল্লাস ধ্বনি দিতে দেখা গেছে।
সফল হওয়ার জন্য বিশ্বকাপ দলগুলোর মাঝে বৈচিত্র্য থাকা জরুরী। এ ব্যাপারটি ধীরে ধীরে স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে। দ্যা ফিউশন নেটওয়ার্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলে অভিবাসীদের গুরুত্ব নিয়ে কিছু নথিপত্র তৈরি করেছে। আর আন্তর্জাতিক ক্লাবগুলোতে অভিবাসীদের অংশ গ্রহণ বাহ্যিক দৃষ্টিতে বিচার করেছে গ্লোবাল পোস্ট।
আর সেখানকার পাঠকদের জন্য বলছি, আপনারা থ্রি পার্সেন্টের সাহিত্যের বিশ্বকাপের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। এখানে রেফারিদের পর্যাপ্ত পরিমাণ লাফঝাঁপ এবং সাহসী আহ্বান নিয়ে একটি অশান্ত এবং গোলমেলে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় ৩২ টি দেশের লেখকদের লেখা বই তাদেরকে বেশ ঝামেলায় ফেলে দিবে।