এই পোস্টটি পূর্বে অব্যক্ত সিরিয়াতে প্রকাশিত হয়।
কামানে শিল্পকর্ম আঁকা – এটাই দুমা ভিত্তিক শিল্পী আকরাম আবু আল ফয়েজ এর কাজ। তিনি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট শেল সংগ্রহ করেন এবং সেগুলোকে বিভিন্ন ধরণের শিল্প বস্তু এবং অলঙ্কারে রূপান্তরিত করেন।
শিল্পী আবু আল ফয়েজ সতাঁর সম্প্রদায়ে মোহাম্মদ দুমা হিসেবে পরিচিত। সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সৈন্যরা তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে ফেললে তিনি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। ৩৫ বছর বয়সী তিন সন্তানের পিতা ফয়েজ বিশ্বাস করেন, যে মাটিতে যুদ্ধ চলছে সেখানে তার এই কাজের গুরুত্বপূর্ণ কোন ভাবেই কম নয়।
“আমরা যে দাসত্তের মাঝে বসবাস করি তা থেকে পরিত্রাণ পেতে অস্ত্রই যথেষ্ট নয়।”, অব্যক্তসিরিয়ার একটি সাক্ষাত্কারে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “আমাদের স্বাধীনতার জন্য শিল্প, সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রয়োজন।”
দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত দুমা শহরটি গত মার্চ, ২০১১ সালে জনপ্রিয় বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে অধিকাংশ শাস্তির শিকার হয়েছে এবং সেখানকার এলাকাগুলো এখনো প্রাণবন্ত। প্রথমে সেখানে বড় ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হওয়ার পর ধীরে ধীরে তা একটি খোলা যুদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়। এটি তার ক্লান্তিহীন শৈল্পিক ও সৃজনশীল অবদানসমূহের জন্যও পরিচিত। আবু আলী আল বিতার যেমন রকেট এবং বুলেট কেসিং থেকে চুলা, মোটরসাইকেল, বাদ্যযন্ত্র ও চিকিৎসার সরঞ্জাম তৈরি করেছেন, ঠিক তাঁর মতো করে আবু আল ফয়েজ যেন মৃত্যু থেকে জীবন জাগিয়ে তুলেছেন।
আবু আল ফয়েজ তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে অনেক বাঁধা বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন। এসবের মধ্যে ছিল স্থানচ্যুতি থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর প্রচেষ্টার একটি মূল্য রয়েছে এবং বিশ্বাস করেন, এই হস্তনির্মিত শিল্পকর্মগুলো “একদিন সিরিয়ায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সাক্ষী দেবে।”
এই পোস্টটি পূর্বে অব্যক্ত সিরিয়াতে প্রকাশিত হয়।