MS- شكراً…مع محبتي….سأبقى معكم pic.twitter.com/2l3rSP43DW
— Michel Sleiman (@SleimanMichel) May 25, 2014
তোমাদেরকে আমার ভালোবাসা এবং ধন্যবাদ জানাই। আমি তোমাদের সাথেই থাকব।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল স্লেইম্যান গত ২৫ মে, ২০১৪ তারিখে তাঁর দাপ্তরিক মেয়াদ সমাপ্তির দিনে এই টুইট করেছেন। রাজনৈতিক ব্লগ মোউলাহাজাত তাঁর দাপ্তরিক মেয়াদের একটি মজার এবং বিস্তারিত মূল্যায়ণ প্রদান করেছে।
“(…) মাইকেল স্লেইম্যান ক্ষমতায় থাকাকালে শতকরা ৩৬ ভাগ সময়ে কার্যকর নির্বাহী ক্ষমতার বেশ অভাব ছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে কোন সরকার না থাকলে লেবানিজ আইনসভা আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা রাখে না। এমনকি লেবানিজ আইনসভা গ্রীষ্মে সম্পূর্ণ অকার্যকর থাকে। এর অর্থ হচ্ছে, স্লেইম্যান ক্ষমতায় থাকাকালীন ৬ বছর সময়ে আইনসভায় আইন পাস করতে এবং সংশোধন করতে সর্বোচ্চ ৩ বছর (প্রায় ক্ষমতাসীন সময়ের শতকরা ৫০ ভাগ সময়) সময় পেয়েছেন।”
মহাসড়কের বিলবোর্ডগুলোতে স্লেইম্যানের প্রশংসা করে প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে বেইরুত রিপোর্ট জানিয়েছে। তিনি তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সুনাম নষ্ট করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেনঃ
“(…) স্লেইম্যানকে কিভাবে স্মরণ করা হবে? আদালতে সম্পন্ন আইনসিদ্ধ বিয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে টুইটের কারণে? নাকি লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী হিজবুল্লাহের সমালোচনার কারণে? অথবা হতে পারে কোন ইন্ডি রকস্টারকে কার্যত ক্ষমা করে দেয়ার কারণে? সেই রকস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারণ, তাঁর গাওয়া একটি গানে তিনি প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করেছিলেন। এ ঘটনার পরেও প্রেসিডেন্টকে অবমাননা করার দায়ে এখন পর্যন্ত অন্যান্য অনেক টুইটার ব্যবহারকারী এবং সাংবাদিককে অপরাধী মামলায় অভিযুক্ত হতে হয়েছে।”
যাইহোক, এসব কিছুই এখন অতীত। সবাই এখন অধীর আগ্রহে জানতে চাচ্ছে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন? নির্ধারিত সাংবিধানিক সময়ের ভেতরে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে সংসদ ব্যর্থ হয়েছে বলে পরবর্তী সময়ে পূর্বাভাস অনুযায়ী লেবাননে একটি পূর্ব ঘোষিত প্রেসিডেন্ট শূন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাবদা (লেবাননের প্রেসিডেন্ট ভবন) যে এই প্রথম বারের মতো খালি রয়ে গেল, তা নয়। ২০০৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাইকেল লাহুদ কোন উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা না করেই পদত্যাগ করেছিলেন। এর ফলে দেশটিতে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে কোন রাষ্ট্রপ্রধান ছিল না।
লেবানিজরা আজ আবারও এক রাষ্ট্রপ্রধানশূন্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। তবে এবার যোগ হয়েছে হতাশা, হাসিঠাট্টা এবং দর্শন। তাঁরা এখন বিচলিত হলেও বছরের পর বছর হতাশ হয়ে লেবানিজরা হয়তোবা শিক্ষা নিয়েছে যে স্থানীয় রাজনীতির কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।
@ডিয়ালাবাদরানের বাস্তবতা বর্ণনা করে পোস্টে করেছেনঃ
We live in fear of a presidential “vacuum” as if what we have now is optimal functionality? #Lebanon#lebanonpresident2014
— Dyala Badran (@dyalabadran) May 24, 2014
আমরা প্রেসিডেন্ট “শূন্য” পরিস্থিতি নিয়ে এমন ভয়ে ভয়ে বাস করছি, যেন মনে হচ্ছে আমরা এখন অনুকূল কার্যকারিতায় ভুগছি।
এমনকি @জর্জেস_সাসিন ধারণা করছেনঃ
Lebanon scenarios: (1) consensual figure elected President after prolonged vacuum; (2) security deteriorates & Military takes over informaly
— Georges Sassine (@georges_sassine) May 25, 2014
লেবানন প্রেক্ষাপটঃ (১) দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পর কোন সম্মতিসূচক ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন; (২) নিরাপত্তা ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে পরা এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল করে নেয়া।
তবে এ পরিস্থিতির উজ্জ্বল কিছু দিক খুঁজে বের করতে আমরা @কার্লরেমার্ক্সের কথাগুলো সব সময় বিবেচনা করতে পারিঃ
Arab President Leaves Office At The End Of His Term. Arab press not sure how to explain this to the people. #Lebanon
— Karl Sharro (@KarlreMarks) May 24, 2014
আরব প্রেসিডেন্টরা তাদের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষে দপ্তর ছেড়ে চলে যান। আরব প্রচার মাধ্যম বুঝতে পারে না বিষয়টিকে তারা জনগণের সামনে কীভাবে তুলে ধরবে।
তবে লেবাননে কি আদৌ কোন প্রেসিডেন্ট দরকার আছে কিনা, সে বিষয়ে ব্লগার এলিয়াস মুহানাবিস্ময় প্রকাশ করেছেনঃ
পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন তাঁর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, লেবাননে আদৌ কোন প্রেসিডেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা? আর তায়েফের চুক্তি হওয়ার ২৫ বছর পর এটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক আলোচনা হওয়া উচিৎ। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা এবং দায়িত্বগুলো (লেবানিজ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ থেকে অনুচ্ছেদ ৬৩ পর্যন্ত) নিয়ে একটু বিবেচনা করে দেখুন। “জাতির একতার একটি প্রতীক” হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়া এবং “লেবাননের সংবিধান, স্বাধীনতা, একতা ও রাষ্ট্রীয় সীমানার অখন্ডতা রক্ষা করা ছাড়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়ার মতো খুব সামান্য দায়িত্বই পালন করে থাকেন। তিনি রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগ দেন এবং আইন সংক্রান্ত ঘোষণা সমূহ প্রদান করেন। তবে মন্ত্রী পরিষদে ভোট প্রদানের কোন এখতিয়ার তাঁর নেই। সংসদের সাথে পরামর্শ না করে তিনি কোন প্রধান মন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেন না। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন ছাড়া সংসদ ভেঙে দিতে পারেন না। এমনকি কোন আইন সংসদে পাস করা থেকে কার্যকরভাবে বন্ধও করতে পারেন না।”
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রেক্ষাপটে দুই সপ্তাহ পরে এখনও রাজনৈতিক অচলাবস্থার দিকে খেয়াল রাখার কোন অবসান ঘটছে না। সাথে সাথে এ বিষয়ে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদের শুন্যতা ইতোমধ্যেই বাসি খবরে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বকাপ আলোচনা ধীরে ধীরে সে জায়গা দখল করে নিচ্ছেঃ
New theory in #Lebanon : World Cup winner in #Brasil2014 will have an impact on who will be the next president.
— mouafac harb (@mouafac) June 7, 2014
#লেবাননে নতুন তত্ত্বঃ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হতে যাচ্ছেন তাঁর উপর #ব্রাজিল২০১৪ বিশ্বকাপ বিজয়ীর একটি প্রভাব পড়বে।