- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

নতুন রুশ ব্লগার প্রবিধানের কিছু স্বচ্ছতা

বিষয়বস্তু: পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, রাশিয়া, আইন, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, প্রযুক্তি, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, রাজনীতি, রুনেট ইকো
Nikita Khruschev and Dmitry Medvedev. Anonymous image found online.

নিকিতা খুরুশেভ এবং দিমিত্রি মেদভেদেভ দুজনই উচ্চ প্রযুক্তিতে আগ্রহী। ছবিঃ বেনামী। 

ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব প্রাপ্ত রাশিয়ান সংস্থা রসকমনাদজর একটি নতুন দলিল প্রকাশ করেছে। আইনের অধীনে ব্লগগুলোকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তা এই দলিলে বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে। এই গ্রীষ্মের পরে যখন ব্লগ নিয়ন্ত্রণ আইন কাজ করতে শুরু করবে তখন দলিলটি প্রকাশের ফলাফল সামনে আসবে। রসকমনাদজর কীভাবে “জনপ্রিয়” ব্লগারদেরকে সনাক্ত করবে তা আগে বেশ অস্পষ্ট ছিল। আগে বলা হয়েছিল, যে সব ওয়েব পেজ সত্ত্বাধিকারী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর ওয়েব পেজে প্রতিদিন ৩ হাজার জনেরও বেশি লোক ভিজিট করে তাদেরকে জনপ্রিয় ব্লগার হিসেবে ধরে নেয়া হবে।

১০ জুন, ২০১৪ তারিখে জনসম্মুখে প্রকাশ করা [1]প্রস্তাবিত প্রবিধান অনুযায়ী রসকমনাদজর থেকে পাঠানো অনুরোধে প্রতিদিন কতজন ভিন্ন ভিন্ন লোক একজন ব্লগারের ব্লগে ভিজিট করেছে সে সম্পর্কে তিনি নিজেই রিপোর্ট করবেন। যদি তারা এই অনুরোধ রাখতে না পারেন বা না চান তবে রসকমনাদজর অনলাইন ট্রাফিক পরিমাপক সেবার (এটিকে এলেক্সা রেটিং এর মতো বলে ধরে নেয়া যায়) সাহায্য নিবে অথবা অন্যান্য মালিকানা “প্রোগ্রামের” আশ্রয় নিবে। এ ধরনের সেবা বা প্রোগ্রাম তাদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম। প্রতিদিন (একটি অভ্যন্তরীণ কমিশনের মাধ্যমে) ভিজিট করা অনন্য লোকের সংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া যেকোন ধরনের দ্বন্দ্ব মেটানোর ক্ষেত্রে রসকমনাদজর কর্তৃপক্ষ নিজেদের শেষ আশ্রয় হিসেবে অভিহিত করে থাকে। সবশেষে, কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যদি কোন ওয়েব পাতায় ১৫ সেকেন্ড বা তাঁর চেয়েও বেশি সময় অতিবাহিত করেন তবে তাকে একজন “অনন্য ভিজিটর” হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

এসব বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করা আসলেই বেশ শোরগোল সৃষ্টিকারী এবং কষ্টসাধ্য। রসকমনাদজর আইনের বর্ননায় থাকা প্রতিটি শব্দকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করছে। আর এ কারণেই আইনটি রাষ্ট্রীয় দুমাতে পাস করার সময় রসকমনাদজর এর সকল প্রযুক্তিগত বর্ননা জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে। একটি ফেসবুক একাউন্টে প্রতিদিন অংশ গ্রহণকারীর সংখ্যা কীভাবে নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাঠকেরা কখনও কোন আপত্তিকর একাউন্টে প্রবেশ না করেই তাদের নিজেদের “টাইমলাইন” থেকে পোস্ট পড়তে পারেন। কোন ওয়েবসাইটের উপর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে, কি ধরনের ভিউয়ারশিপ তথ্যের উপর ভিত্তি করে আইন প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়টি এখনও বেশ ঘোলাটে। যদি সিদ্ধান্ত গ্রহনের এই প্রক্রিয়াটি অস্পষ্ট রাখা হয়, তবে অবশ্যই এই আইন দ্বারা ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটবে। বলতে গেলে গত কয়েক মাসে রাজনৈতিক ব্লগারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা খুব সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।