জাম্বিয়ান বংশোদ্ভূত কিন্তু যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পনের বছর বয়সী স্যামকেলিসো কিমবিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিশ্বে এক গুঞ্জন সৃষ্টি করেছেন। এ গুঞ্জনের কারন, তিনি ইউরোপে মাইক্রোসফট যোগ্যতা সম্পন্ন সবচেয়ে কম বয়সী একজন পেশাদার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সবার কাছে স্যাম নামে পরিচিত এই তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কলেজে (ইউটিসি) ১০ম বর্ষে (উচ্চ বিদ্যালয় পর্যায়ে) পড়াশুনা করছেন। কলেজটি লন্ডনের একেবারে পাশের একটি শহরে অবস্থিত। তিনি বর্তমানে মাইক্রোসফট সনদপ্রাপ্ত একজন পেশাদার। তাঁর মাইক্রোসফট প্রযুক্তিগত সহযোগীর (এমটিএ) সনদপত্র রয়েছে। সফটওয়্যার ফান্ডামেন্টালস, উইন্ডোজ ডেভেলপমেন্ট ফান্ডামেন্টালস এবং ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) ফান্ডামেন্টালস সহ সাতটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা রয়েছে।
কিমবিনি “উইন্ডোজ ফোনের জন্য লাইট” নামে একটি এ্যাপও তৈরি করেছেন। এ্যাপটি তৈরি করার জন্য তিনি এ পর্যন্ত যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইন ইমেইল বার্তার মাধ্যমে স্যামের সাথে কথা বলেছে। গ্লোবাল ভয়েসেসই সর্ব প্রথম তাঁর অর্জন সম্পর্কে জানতে পেরেছেঃ
এ বছরের মার্চ মাসে সিয়াটলে অবস্থিত মাইক্রোসফট অফিসের একজন কর্মীর সাথে আমার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন তাদের ইউরোপিয়ান সফরের একটি অংশ হিসেবে তিনি এক দিনের জন্য যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। তারা ইউরোপ সফরে এসেছিলেন মাইক্রোসফট আইটি একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া ক্রেতাদের সাথে কথা বলতে। অভিজ্ঞতা শিক্ষণ দলের সদস্যদের মাঝে ছিলেন – সিনিয়র পরিচালক টিম স্নিথ, একাডেমিক কার্যক্রমের পরিচালক কিথ লোবের এবং প্রচার সূচী পরিচালক ব্রিয়ানা রবার্টস।
উইন্ডোজ ফোন স্টোরে গত ২৬ মে ২০১৪ তারিখে আমি আমার প্রথম এ্যাপ-লাইট-প্রকাশ করেছি। কোন এড [বিজ্ঞাপন] থাকবে না এমন একটি দ্রুত গতি সম্পন্ন লাইটওয়েট ফ্লাশলাইট এ্যাপ খোঁজার জন্য দীর্ঘ সময় নষ্ট করার পর এই এ্যাপটি তৈরি করার বুদ্ধি আমার মাথায় আসে। অনেকক্ষণ পর এমন কোন এ্যাপ খুঁজে না পেয়ে অবশেষে আমি নিজেই নিজের জন্য একটি এ্যাপ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিই। এ্যাপটি তৈরি করার আট দিন পর এবং রেডিট উইন্ডো ফোন সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার সাথে সাথে এই কয়েক দিনেই আমার এ্যাপটি ৩০০ বার ডাউনলোড করা হয়। এটি পাঁচ তারকা বিশিষ্ট একটি পদমর্যাদা অর্জন করে। এর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এ্যাপটি একটি এ্যাপ স্টোরের “নতুন এবং উদীয়মান” বিভাগে জায়গা করে নেয়।
ভবিষ্যতে আমি আরও অনেক এ্যাপ তৈরি করার আশা রাখি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে আমার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চাই।
কিমবিনি তাঁর কলেজের সংবাদ-বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেনঃ
আমরা শ্রেণীতে যা শিখছি তাঁর সাথে এমটিএ প্রশিক্ষণের সম্পৃক্ততা আছে, তবে এ প্রশিক্ষণে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে আমি আরও অনেক বেশি কিছু বুঝতে শিখেছি। এটাও জানতে পেরেছি যে, প্রোগ্রামিং ক্ষেত্রটি আসলে কতোটা বিচিত্র। মাইক্রোসফট নিয়োগকর্তা প্রকল্পের জন্য একটি এ্যাপ তৈরি করার সময় আমি বুঝতে পেরেছি, আমার নতুন জ্ঞান আসলেই কতোটা উপকারী; অবশেষে আমরা আরও উন্নত মানের একটি এ্যাপ তৈরি করার কাজ শেষ করলাম।
মাইক্রোসফট কিমবিনিকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেঃ
Congratulations to Samkeliso Kimbinyi, 15, the first student to gain an MTA qualification in software development pic.twitter.com/8JRfgXNynL
— Microsoft Education (@microsofteduk) January 24, 2014
১৫ বছর বয়সী একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এই প্রথম সফটওয়্যার তৈরিতে বিশেষভাবে পারদর্শী এমটিএ যোগ্যতা অর্জন করায় স্যামকেলিসো কিমবিনিকে অভিনন্দন।