ইউক্রেনে ইউরোময়দান [2]প্রতিবাদ আনুমানিক ঠিক ছয় মাস আগে শুরু হয়েছে। গত ২১ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে ইউক্রেনিয়ান সাংবাদিক মুস্তাফা নায়েম ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। ফেসবুকে প্রকাশিত তাঁর এই পোস্ট থেকে ইউরোময়দান প্রতিবাদ শুরুর আদি উৎস খুঁজে পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট ভিকটর ইয়ানুকভিচ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে একটি সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রেসিডেন্টের প্রতি অবমাননা প্রকাশ করে তিনি লেখাটি পোস্ট করেছিলেন।
এ ব্যাপারে ফেসবুক এবং টুইটারে ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করে আরও কয়েক হাজার লেখা পোস্ট করা হয়। কিন্তু এতগুলো মন্তব্যের মাঝে তারটি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে। [3]
রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ করার পেছনে নায়েমের এই পোস্টগুলোই মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে ইউক্রেনের অনেক নাগরিক উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এসব পোস্টে উদ্বুদ্ধ হয়ে কয়েকশ লোক কিয়েভের স্বাধীনতা চত্বরে একত্রিত হয় [4]। খুব শীঘ্রই হয়তোবা আরও কয়েক হাজার লোক এদের সাথে যোগ দিবে। শুরুতেই বিক্ষোভটি কিয়েভের প্রধান শহর চত্বরকে গ্রাস করে নেয় এবং শেষ পরিণামে দেশটিকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলতে বিক্ষোভটি কি করে ফুলে ফেঁপে উঠছে তা সারা বিশ্ব রুদ্ধ নিশ্বাসে চেয়ে চেয়ে দেখছে।
জানা গেছে, ইউরোময়দান প্রতিবাদটি বর্তমানে বিশাল আকার ধারণ করেছে। এর ফলস্বরূপ, রাজপথে ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। সুশীল সমাজ নবযৌবন লাভ করেছে, ত্রৃণমূল পর্যায়ে [5] অনলাইন এবং অফলাইনে মারাত্মক সহিংসতা [6] এবং মৃত্যুর আয়োজন করা হয়েছে। তারা প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর সরকারকে বিতাড়িত করার [7] আয়োজন করেছে।
প্রতিবাদ শুরুর ছয় মাস হয়ে গেল, ইউক্রেন সতর্কভাবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। কিন্তু তাঁর সাথে সাথে তাকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হতে হচ্ছে। ক্রিমিয়া সংযোজনের [8] সাথে সাথে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতা [9] শুরু হয়ে গেছে এবং রাশিয়া ক্রমাগতভাবে চাপের মুখে রেখেছে।
পরবর্তীতে যাইহোক, ইউরোমাইদান বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী অনেকে বিক্ষোভের এই কয়েক মাসের জমানো খারাপ এবং ভালো সবগুলো স্মৃতিই চিরদিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখবেন।
ইউক্রেনের টেটিয়ানা লোকট [10]একজন গবেষক এবং মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিল কলেজ অব জার্নালিজমে অধ্যায়নরত পিএইচডি শিক্ষার্থী। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের পরবর্তিতে যে দেশগুলোর জন্ম হয়েছে, সেখানে ঘটে যাওয়া সামাজিক আন্দোলন, শহুরে প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল প্রচার মাধ্যম নিয়ে তিনি পড়াশোনা করছেন।