আগামী বৃহস্পতিবার ২২ মে তারিখ বাসেল খারতাবিল এ. কে. এ. সাফাদি তাঁর ৩৩ তম জন্মদিন পালন করবেন – তাঁর সাথে সাথে উদযাপন করবেন দামাস্কাসের কারাকক্ষে বন্দী থাকার তৃতীয় বর্ষপূর্তি !
দামাস্কাসে গত ১৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে সিরিয়ান বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তিতে বাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সে সময়ে বাসেলের পক্ষের আইনজীবী এবং তাঁর হবু স্ত্রী নোরার সাথে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অবশেষে তিনি কারাগারে থাকা অবস্থাতেই পরে তাকে বিয়ে করেন।
বাসেল একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত সিরিয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি উন্মুক্ত নেটওয়ার্কের সক্ষমতা এবং সহযোগিতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি সিরিয়ার উন্মুক্ত ইন্টারনেট সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন। তিনি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার তৈরির অন্যতম পুরোধা, উন্মুক্ত সংস্কৃতি এবং দামাস্কাসে সহযোগিতা মূলক কর্মস্থল সৃষ্টিতে সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন।
তিনি একজন শ্রদ্ধাভাজন নেতা ছিলেন এবং এখনও আছেন। শুধুমাত্র সিরিয়া নয় বরং সারা অঞ্চল জুড়ে তিনি আরও অনেক লোকের কাজের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে কাজ করতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। সিরিয়ার শাসনতন্ত্র এটা সহ্য করতে পারেনি। পরিণামে বাসেলকে আজ কারাভোগ করতে হচ্ছে। কারন, তিনি তাঁর প্রজন্মের সবচেয়ে মেধাবী এবং অনুপ্রেরণা প্রদানকারী ব্যক্তিদের অন্যতম একজন।
“একটি শান্তিপূর্ণ সিরিয়ান বিপ্লবের সময়ে সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোড়ালো অবস্থান” নেয়ার জন্য ২০১২ সালে ফরেইন পলিসি ম্যাগাজিনটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জন চিন্তাবিদের একটি তালিকা তৈরি করে। তালিকাটিতে বাসেল ১৯ তম অবস্থানে রয়েছেন।
২০১৩ সালের মার্চ মাসে “উন্মুক্ত ওয়েবের প্রতি তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার, অন্যদের প্রযুক্তি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া এবং বিশ্বকে সাহায্য করতে তাঁর অভিজ্ঞতাকে মুক্তভাবে বিলিয়ে দেওয়ার” জন্য তাকে ইনডেক্স অন সেন্সরশিপ ডিজিটাল ফ্রিডম পুরস্কারে পুরষ্কৃত করা হয়।
বাসেল গ্লোবাল ভয়েসেস সম্প্রদায়ের খুব কাছের একজন বন্ধু। ২০০৯ সালে বেইরুতে অনুষ্ঠিত আরব ব্লগারদের দ্বিতীয় সম্মেলনে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর বন্ধুরা একজন বিনয়ী এবং দয়ালু চরিত্রের মানুষ হিসেবে এখনও তাকে মনে রেখেছেন। তাঁর আশেপাশে থাকতে পারা এবং তাঁর নেতৃত্বে কাজ করতে পারাকে তাঁর বন্ধুরা বেশ মস্তো কোন ব্যাপার বলে মনে করেন।
আমরা চাই না বাসেল একা একা প্রিজন সেলে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করুন। আমরা চাই সজোরে এবং পরিষ্কারভাবে আমাদের কণ্ঠস্বর তাঁর কানে পৌঁছে যাক। আমরা চাই তিনি জানুন যে আমরা এখনও তাকে সমর্থন করি।
তাই আমরা সবাইকে ২২ মে রোজ বৃহস্পতিবারে একটি কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। গ্লোবাল ভয়েসেস এডভোকেসি সকল অংশীদারদের নিয়ে এক সাথে বাসেলের মুক্তির সমর্থনে একত্রিত হবে। আমাদের র্যালীতে চিৎকার করে বলা হবেঃ “এটা আমাদের সবার দাবিঃ ২২ মে তারিখে বলুন, #বাসেলকেমুক্তিদাও।”
তিনটি উপায়ে আমাদের সাথে অংশ নেয়া যাবেঃ
১। আমাদের টুইটার ম্যারাথনে (টুইটাথন) অংশ গ্রহণ করুনঃ ২২ মে তারিখে জিএমটি (সময় রূপান্তরের জন্য এখানে ক্লিক করুন) সময় দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমাদের টুইটার ম্যারাথনে অংশ নিন। অনুগ্রহ করে কর্মসূচী পালনের দিনটিতে যতো বেশি বার পারেন ততোবার #ফ্রিবাসেল এবং #ইটসঅ্যাবাউটঅলঅফআস হ্যাশট্যাগ দুইটি ব্যবহার করুনঃ
২। ফ্রিবাসেল টাম্বলারে একটি ছবি জমা দিনঃ তাঁর সাথে #ফ্রিবাসেল বা #ইটসঅ্যাবাউটঅলঅফআস হ্যাশট্যাগ দুইটির যে কোন একটি অথবা দুইটিতে সমর্থন জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান।
৩। শিল্পী ক্যালি টেইলরের আঁকা আসল পোস্টারগুলোর যেকোন একটি পোস্টার প্রিন্ট করুন – পোস্টারটি ধরে ছবি তুলুন অথবা আপনার শহর বা নগরে জনসম্মুখে কোন জায়গাতে ছবিটি লাগিয়ে দিন।