তিউনিসিয়ার ব্লগার এবং মানবাধিকার সক্রিয় কর্মী আজিজ আমামিকে গত ১৩ইমে ২০১৪ রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ লা গাউলেটে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ৭০০ গ্রাম গাাঁজা সাথে রাখার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমামিকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ কর্মকর্তারা মরধর করেছেন এই খবরটি আমামির বাবা নিশ্চিত করেছেন। তাঁর বন্ধু সাবরি বেন মলোউকাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক দ্রব্য ব্যবহারের কারণে তিউনিসিয়ার কুখ্যাত আইনে কঠোর শাস্তি হিসেবে উভয় যুবককেই হয়তোবা নূন্যতম এক থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হতে পারে।
বর্তমানে আমামিকে কারথেজ পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর মামলার বিচারের প্রথম শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৫ মে তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন এবং যে কোন ধরনের দলিল পত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তিউনিস শহরতলীতে আমামির সমর্থনে ১৩ মে তারিখে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
২০১০-১১ সালে তিউনিসিয়াতে বিদ্রোহের সময়ে শহীদ হওয়া লোকদের পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষে তাদের অধিকার আদায়ের যুদ্ধে আমামি অন্যতম এক জোরালো প্রতিবাদকারী সমর্থক ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৬ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁর উপর বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পুলিশের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে আমামি ২০০৮ সাল থেকে ব্লগ লিখে আসছেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তির উপর রাষ্ট্রীয় পাহার এবং সেন্সরশিপ বন্ধের দাবি জানিয়ে তিউনিসিয়ার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী সাইবার সক্রিয় কর্মীদের সাথে একত্রিত হয়ে তিনি আম্মার ৪০৪ প্রচারাভিযানেও কাজ করেছেন। তিউনিসিয়াতে সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনে তিনি বরাবরই সামনের সারিতে থেকেছেন। তাকে অনেকেই বিপ্লবের অন্যতম স্মারক বলে মনে করে।
মারিজুয়ানা মাদক বহনের নীল নকশার গ্রেপ্তার অভিযোগ একটি প্রচলিত ধারার চর্চা যা তিউনিসিয়ার ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ বিদ্রোহের আগে এবং পরে উভয় সময়েই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিভিন্ন গ্রেপ্তারের কারন দেখাতে চর্চা করে এসেছে।
আজিজের বন্ধুরা তিউনিস উপশহরের আল-হামরা থিয়েটারে একটি অবস্থান কর্মসূচী পালনের আয়োজন করেছে। সেখানে আজিজের বাবা, আইনজীবী এবং সমর্থকেরা আজিজের প্রতি সমর্থন এবং সংহতির বাণী শুনিয়েছেন।