- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইয়াদুয়ার জন্য একটি নতুন গ্রাম

বিষয়বস্তু: ওশেনিয়া, ফিজি, নাগরিক মাধ্যম, রাইজিং ভয়েসেস

রাইজিং ভয়েসেসের বার্তাঃ এটি টুকুনি ইয়াদুয়ার করা একটি প্রকল্পের আপডেট ভার্সন। তিনি ফিজির ইয়াদুয়া দ্বীপে বসবাসকারী রাইজিং ভয়েসেসের একজন প্রদায়ক। জোসেফা রাভুসো অন্যতম একজন প্রকল্প সমন্বয়কারী।

ইয়াদুয়ার জন্য নেওয়া রাইজিং ভয়েসেসের এই প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইয়াদুয়া গ্রামবাসীর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং উদ্যোগকে কাজে লাগানো। ফিজির ইয়াদুয়া দ্বীপে বসবাসকারী গ্রামবাসী মূলত: প্রকৃতি সংরক্ষণ প্রয়োজনীয়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকে। একটি সম্প্রদায় প্রাকৃতিক নিয়ম সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় অভিযোজন প্রক্রিয়ায় নিজেদের কীভাবে জড়িয়ে ফেলতে পারে তার প্রমাণ এই ইয়াদুয়া দ্বীপ। এখানে উচ্চ ভূমিতে একটি নতুন গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পুরাতন গ্রামের নির্ধারিত স্থান থেকে এটি প্রায় ৩০০ মিটার উঁচু। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০১২ সালে সাইক্লোন ইভান [1] গ্রামটিকে যে ধ্বংস স্তূপে পরিণত করেছে, তা থেকে উঠে দাড়াতেই এই নতুন নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। 

ইয়াদুয়া দ্বীপের নতুন গ্রাম। ছবিঃ অংশগ্রহণকারী যুবারা।  

প্রকল্পটির জন্য কেনা ডিজিটাল ক্যামেরাগুলো সেখানে দেরীতে এসে পৌঁছায়। আর তাই প্রকল্পটিতে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের মতবিনিময় সভার এবং নতুন গ্রাম নির্মাণের প্রকৃত স্থানটির ছবি তুলতে পারেননি। এরপরও আমরা নিশ্চিত করেছি, নির্মাণ কাজের সময় সম্প্রদায়ের সদস্যদের তোলা কিছু স্থির ছবি তোলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চিত্র তৈরি করা হবে। প্রামাণ্য চিত্রটির নির্মাণে অর্থায়ন করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

সাম্প্রদায়িক সমর্থন

সমগ্র ২০১৩ সাল এবং ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস জুড়ে গ্রামবাসীরা নির্মাণ কাজ এবং সেই কাজের কর্মীদের খাদ্য সরবরাহে পুরোপুরি ব্যস্ত ছিল। বাইরে থেকে আগতরা, বিভিন্ন সংরক্ষণ সংস্থা এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগগুলো সকল কর্মশালা এবং গুরুত্বপূর্ণ সব মিটিং এর আয়োজন করেছে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা একটি জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প তহবিল ২০১৩ সালেও বহাল রাখা হয়েছে। ফিজি দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী অবশেষে ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে নতুন স্থাপিত গ্রামটির উদ্বোধন করেছেন। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফিজি দ্বীপে বাটি নামের ঐতিহ্যগত পাহারাদার। ছবিঃ অংশগ্রহণকৃত যুবারা। 

যাইহোক, গ্রামের সদস্যদের সাথে তহবিলটি একটি সাধারণ চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে। গ্রামবাসীরা নিজেরা আলাদা আলাদাভাবে কাজের বিরতিতে তাদের বাড়িগুলো ঘুরে দেখে আসতে পেরেছেন। তিনজন তরুনকে ক্যামেরাগুলো হস্তান্তর করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। তাদেরকে এ বছরের শেষ পর্যন্ত দিনে দুই ঘন্টা ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও গ্রামবাসী চুক্তিটিতে বেশ কিছু বিষয়ে তদন্ত করতে এবং রাইজিং ভয়েসেসের প্রকল্পটিতে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছেঃ