মেসিডোনিয়ার এক ব্লগার এবং একটিভিস্ট, দুশকো ব্রাঙ্কোভিকজ-এর [ম্যাসেডোনিয়ান ভাষায়]- দুর্দশার কাহিনীর প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করছে। বিগত ৬৫ বছরে রাষ্ট্র দুবার ব্রাঙ্কোভিকজ-এর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে নেয়, যদিও এখন পর্যন্ত সকল মামলায় তার জয় হয়েছে, কিন্তু তারপরে ম্যাসেডোনিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আদালতের রায় বাস্তবায়নে এবং উক্ত ব্যক্তির সম্পত্তি তাকে ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই বয়স্ক ব্যক্তিটি প্রতিদিন স্কোপিয়ের এক নিম্ন আদালতের সামনে প্রতিবাদ করে যাচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে সে স্ট্রাসবুর্গে অবস্থিত ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে আপীল করার পরিকল্পনা করছে।
ম্যাসেডোনিয়ার একটিভিস্ট নিকোলা পিসারেভ একটি ছবি পোস্ট করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি হাতে লেখা একটি পোস্টার ধরে আছে, যেখানে লেখা “কি ভাবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের চেয়ে পৌরসভার সিদ্ধান্ত শক্তিশালী হয়। এই ধরনের বিচার দেশটিকে ইউরোপীয় ইউয়িনের অংশে পরিণত করার বদলে মঙ্গল গ্রহের অংশ পরিণত করবে! সর্বোচ্চ আদালতকে হতে হবে অন্যায় দূর করা একটি প্রতিষ্ঠান, হাস্যকর কোন কিছু নয়।”:
পিসারেভ একই সাথে ছবির বিষয়ে তার ব্লগে আরো ব্যাখ্যা প্রদান করে:
Индивидуалниот активизам често има за цел решавање на лични проблеми што е легитимно, особено кога повеќе луѓе се засегнати од еден ист проблем (како во случајов нефункционланоста и „неправедната“ правда на судството во Македонија). Затоа овој човек заслужува респект и поддршка од сите нас кои веруваме во моќта на активистичкото граѓанско делување.
Во отсаство на медиуми и во отсаство на институционална правда само протестот ни преостанува!
Човеков не го познавам, го запознав некни, индивидуално протестира пред суд скоро секој ден, ја бара правдата уште од 1973. Како што ми објаснуваше и тоа што ми покажа од материјали човеков е во право. За жал нефункционалната локална самоуправа му го загорчува животот и најгрубо му го крши правото на приватна сопственост.Респект за чинот чичко.
একজন ব্যক্তির কর্মকাণ্ড প্রায়শ শুরু হয় ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে, বিশেষ করে যা কিনা বৈধ এক বিষয়, আবার অন্য অনেকে এই একই বিষয়ে (এক্ষেত্রে “অন্যায্য” ন্যায় বিচার ফলে ম্যাসেডোনিয়ার বিচার বিভাগের রায় কার্যকর না হবার কারণে) উদ্বিগ্ন হতে পারে । যার ফলে এই নাগরিক শ্রদ্ধার এবং আমাদের সকলের সমর্থনের দাবীদার, যারা নাগরিকদের কাজের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে।
প্রচার মাধ্যম এবং প্রাতিষ্ঠানিক ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতিতে একজন কেবল যে কাজটি করতে পারে, সেটি হচ্ছে “বিক্ষোভ প্রদর্শন”!
এর আগে আমি এই মানুষটিকে চিনতাম না। কয়েকদিন আগে আমার সাথে তার দেখা হয়েছে। আদালতের সামনে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে যাচ্ছে, যে ১৯৭৩ সাল থেকে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী। তার প্রদান করা ব্যাখ্যা অনুসারে এবং যে সমস্ত দলিল দস্তাবেজ তিনি আমাকে দেখিয়েছেন সে অনুসারে, তিনি সঠিক ছিলেন। দুঃখজনক ভাবে অকার্যকর স্থানীয় সরকার তার জীবনকে তিক্ত করে ফেলেছে এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তার অধিকার নির্মম ভাবে হরণ করেছে।
চাচা, আপনার এই দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
সম্প্রতি ম্যাসেডোনিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বিষয় রিপোর্ট, যা কিনা ২৮ ফ্রেব্রুয়ারির ২০১৪ প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে দেশটির প্রধান সমস্যা হিসেবে নিচের বিষয়গুলোকে উল্লেখ করা হয়:
“ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, অদক্ষতা, উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের সুবিধা প্রদান করা, বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা, এবং দূর্নীতি বিচার ব্যবস্থার চরিত্র হয়ে পড়ে”।
নিজের ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পিসারেভের প্রভাবে, বেশ কিছু সংবাদপত্র ব্রাঙ্কোভিকজ-এর কাহিনী প্রকাশ করে এবং এখন নাগরিকরা কেবল বিশেষ ঘটনার বিষয়ে শুধু মন্তব্য করছে না, সাথে মেসিডোনিয়ার আদালত এবং সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যখানে মন্তব্য করছে।