সকলের “গাবো”

নিঃসন্দেহে বেদনা সাহিত্যকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ যাকে যিনি সকলের কাছে আদরের গাবো নামে পরিচিত, তিনি ছিলেন যাদু বাস্তবতার এক উত্তরসূরি এবং যদিও তার কিছু লেখা ভালবাসা নিয়ে, তবে তার নিজের গ্রাম আরাকাটাকাকে নিয়ে লেখা ক্রোধ এবং কল্পনা বিষয়ক অন্যান্য গল্পের অনুসারী ছিল চিন ও ইরানের মত দেশের দুর্গম প্রান্তের মানুষও।

Fue tal la reacción de la muerte de Gabo, que incluso diarios como The New York Times dedicaron una buena parte de su espacio en su sitio electrónico. Imagen extraída de nytimes.com

গাবোর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া ছিল এতটাই জোরালো যে এমনকি নিউইয়র্ক টাইমস-এর মত পত্রিকা তাদের ওয়েব সাইটের একটা বড় অংশ তার জন্য উৎসর্গ করে। ছবি এনওয়াইটাইমস.কম থেকে নেওয়া।

তার মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রচণ্ড আঘাত যারা খুব কাজ থেকে তার কাজের অনুসারী ছিল। তার উপস্থিতি ছিল এতটা শক্তিশালী যে স্বনামধন্য অপরাহ উইনফ্রে তার নির্বাচিত বইয়ের তালিকায় “ লাভ ইন দি টাইম অফ কলেরাকে” অর্ন্তভুক্ত করেছে এবং এটিকে তিনি অভিহিত করছেন তার পঠিত অন্যতম সেরা প্রেমের গল্প বলে

১৭ এপ্রিলের বিকেলে যখন জনসম্মুখে তার মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ করা হয়, তখন হোয়াইট হাউস থেকে #গ্রাসিয়াসগাবো (# ধন্যবাদ গাবো) নামক হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে টুইটারে একটি বিবৃতি জারী করা হয়। : 

বেশীর ভাগ টুইটে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, নাগরিকরা লেখকের আলোচিত বাক্য থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরে নিজেদেরকে তার প্রতি উৎসর্গ করছে: শান্তিতে ঘুমাও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ : 

মৃত্যুর সময় নয়, যখন পারা সম্ভব তখনই মৃত্যুবরণ করা উচিত।

সাতাশি বছর বয়সে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ মৃত্যুবরণ করেছেন। সম্ভবত আমাদের সময়ের সেরা লেখক, সম্ভবত সর্বকালের সেরাদের একজন।

শান্তিতে ঘুমাও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, সাহিত্যের এক স্তম্ভ, আমার জীবন আপনার লেখা দিয়ে আলোকিত করার জন্য হে আমার প্রিয় ব্যক্তি, আপনাকে ধন্যবাদ।

যাদু বাস্তবতার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। শান্তিতে ঘুমাও গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।

সাংবাদিক ইয়োন গ্রিলোর মত অন্যরা লেখকের আদর্শিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে কৌতূহলজনক তথ্য প্রদান করেছে।:  

“কমিউনিস্ট” হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ৩০ বছর গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজকে ভিসা প্রদান করেনি। (তার সমর্থক) বিল ক্লিনটন অবশেষে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়। 

অন্য টুইটার ব্যবহারকারীরা গাবো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে কূটনৈতিক সংঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে:: 

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দেশটি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজকে বিপজ্জনক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .