[অন্যকোনভাবে উল্লেখ না করা পর্যন্ত সব লিংকগুলো পর্তুগিজ ভাষার লেখা নির্দেশ করে।]
৩৮ বছর বয়সী ক্লডিয়া সিলভা গত ১৬ মার্চ, ২০১৪ তারিখ রোজ রবিবারে রুটি কিনতে বাড়ির বাইরে বের হয়েছিলেন। রিও ডি জেনিরো শহরের মরো ডা কঙ্গনহার নিকটবর্তী এলাকায় যেখানে তিনি বসবাস করতেন, হঠাৎ করে সিলভা ফেরেইরা সেখানে নবম সামরিক পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং মাদকদ্রব্য চোরাকারবারিদের মাঝে চলা গোলাগুলির মধ্যে পরে যান। এতে করে তাঁর গায়ে গুলি লাগে এবং তাকে কারলোস চাগাস হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তাঁর আঘাতের কাছে হার মানেন এবং মারা যান।
পুলিশ ক্লডিয়ার ব্যাপারে যেমন আচরণ করেছে, তা যদি না করতো, তবে এই ঘটনাটি শহরাঞ্চলে ঘটে যাওয়া আর দশটি সহিংস ঘটনার আরেকটি পর্ব হতো মাত্র। সামরিক পুলিশের শেভ্রোলেট ব্লেজার গাড়ির পেছনে মালামাল রাখার জায়গায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ যখন গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন গাড়ির পেছনের ট্রাংকটি কোন না কোন কারনে খুলে যায়। এ সময়ে তাঁর পরনের কাপড়টি ট্রাংকের সাথে আটকে যায়। এরপর তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং পাথরের রাস্তার উপর দিয়ে ২৫০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত গাড়িটি তাকে আছড়ে টেনে নিয়ে যায়।
এই দৃশ্যটি অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রতিক্রিয়ার স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে যাচ্ছে। থিংক ওলগা নামের একটি ব্লগের মাধ্যমে দৃশ্যটিতে শ্রদ্ধাঞ্জলিও নিবেদন করা হয়েছে। এই দৃশ্যটি সিলভা ফেরেইরাকে তাঁর জীবনের শেষ কিছু মুহূর্তের প্রেক্ষিতে তাকে মর্যাদাপূর্ণ ভাবে উপস্থাপন করতে বিভিন্ন চিত্রশিল্পী এবং ইন্টারনেটবাসীদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেঃ
A mulher arrastada pela Polícia Militar tinha nome – Cláudia Silva Ferreira. Cláudia também tinha família. E sonhos, coragem, dores e medos como qualquer ser humano. As denúncias da barbárie ocorrida são importantes e elas não devem cessar. Mas fugir do sensacionalismo e humanizar esse momento também é. Por isso, nos propusemos a retratar Cláudia com mais carinho do que o visto nos últimos dias.
সামরিক পুলিশ যে মহিলাকে গাড়িতে করে আছড়ে টেনে নিয়ে চলেছিল, তাঁর নাম – ক্লডিয়া সিলভা ফেরেইরা। ক্লডিয়ারও একটি পরিবার আছে। তারও যেকোন মানুষের মতো কিছু স্বপ্ন, মনোবল, দুঃখ এবং ভয় ছিল। এই বিভীষিকার নিন্দা করা অত্যন্ত জরুরি এবং এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করা উচিৎ নয়। তথাপি এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা থেকে পালানো এবং এই মুহূর্তটির প্রতি আরও একটু হৃদয়বান হওয়াটাও বেশ [জরুরি] হয়ে পরেছে। অতঃপর আমরা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যেমনটি দেখেছি, তাঁর চেয়ে আরও বেশি মমত্ব নিয়ে আমরা ক্লডিয়াকে চিত্রিত করতে চলেছি।
১০০ ভেজেস ক্লডিয়া (ক্লডিয়ার ১০০ গুন) শিরোনামের একটি প্রকল্পে মাত্র ২৪ ঘন্টায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্লডিয়াকে নিয়ে ১০০ টিরও বেশি ছবি আঁকা হয়েছে। এত পরিমান ছবি পাঠানো হয়েছে যে, মাইস ১০০ ভেজেস ক্লডিয়া (ক্লডিয়ার ১ শতেরও বেশি গুন) নামে দ্বিতীয় আরেকটি পেজ তৈরি করা হয়েছে। এই পেজটিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করে কয়েক ডজনেরও বেশি ছবি দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে। এই প্রকল্প চালনাকারীদের নানা পরিকল্পনার একটি হচ্ছে এই ছবিগুলো দিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা এবং তাঁর মধ্যে কয়েকটি ছবি ক্লডিয়ার পরিবারকে পাঠানো।
ছবিগুলো এক ঝলক এখানে দেখুনঃ
লুকাস টরেস মাটুডা একটি ভিডিও তৈরি করেছেন। #১০০*ক্লডিয়া হ্যাশট্যাগটিতে পাঠানো কিছু ছবি সংগ্রহ করে তিনি এই ভিডিওটি তৈরি করেছেনঃ
এই মামলাটি সম্পর্কে আরও কিছু জানতে গ্লোবাল ভয়েসেসে প্রকাশিত রাফায়েল টিসাভক্কোর পোস্টটি পড়ুন। পোস্টটির শিরোনাম হচ্ছে “আছড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া এবং ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের হাতে মারা যাওয়া নারী”।