ফিলিপাইনসের সাত হাজার দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৬০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে, যার মানে হচ্ছে উড়ন্ত সুন্দর এই প্রাণীদের পর্যবেক্ষণের জন্য এখানে অজস্র সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও যেহেতু দেশটি এশীয় প্রশান্ত মহাসাগর উড্ডীন এলাকায় অবস্থিত, তাই এখানে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি দেখতে পাওয়া যায়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কারণে এখানকার পাখির আবাসস্থল হুমকির মুখে । .
সাম্প্রতিক বছর সমুহে, পাখি পর্যবেক্ষণ এক আনন্দদায়ক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে, দেশ জুড়ে শৌখিন ব্যক্তি এবং বিজ্ঞানীরা যার আয়োজক। পাখি পর্যবেক্ষণকারীরা একই সাথে সক্রিয়ভাবে দেশটির বন্য পাখিদের বিষয়ে সচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি পাখির অভয়ারণ্য রক্ষায় সোচ্চার।
কয়েক সপ্তাহ আগে, ফিলিপাইনসের ওয়াইল্ড বার্ড ক্লাব সফলভাবে জামবোয়াঙ্গা সিটিতে পাখি উৎসবের আয়োজন করে, যা মিন্দানাও দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত। হয়ত বিপজ্জনক শহর হিসেবে জামবোয়াঙ্গার সুনাম রয়েছে (গত বছর অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় এবং সাধারণ নাগরিকদের অপহরণ করে, গত বছরের এই বিষয়টি সংবাদে আলোচিত হয় ), কিন্তু এটি শত শত প্রজাতির পাখির আবাসস্থল, যার মধ্যে প্যাসিফিক বার্ন সোয়ালো নামক পরিযায়ী পাখিও অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।
এই উৎসবের অন্যতম আয়োজক মাইয়াবার্ড জামবোয়াঙ্গা-এলাকার দুর্লভ প্রজাতির কয়েকটি পাখি নিয়ে লিখেছে :
পর্যবেক্ষণের সময় আমি সেখানে জীবনযাপনকারীদের খুঁজে পাই! সেখানে আমি প্রথম কালো পালকের বিশিষ্ট ইস্টার্ণ রীফ ইগ্রেট (এক ধরনের বক, যার কালো এবং সাদা দুটি প্রজাতি রয়েছে) দেখি! বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে খোলা আকাশে উড়ে যাবার বদলে তারা ঘন ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে গিয়ে লুকালো। কিন্তু এই এলাকা ছেড়ে উড়ে যাওয়ার সময় পুরো পাখিটার উপর ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হই।
কাজে, পাসোনানকেতে পাখি পর্যবেক্ষণ করে আমি চার ঘণ্টায় সেখানে জীবনযাপন করা তিনটাকে পেলাম। আমি একই সাথে আমি কয়েক দিন আগে এই এলাকায় পেঁচা দেখতে যাওয়ার সময় আমি মিন্দানাও হক আউল (শিকারে পেঁচা) এবং এভারেট্টার স্কুল আউল (নিম পেঁচা)–এর ডাক শুনতে পেলাম। পাসোনানকো ন্যাচারাল পার্ক পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য দারুণ সুন্দর এক জায়গা। এই এলাকা এবং পাখির জীবন অবিশ্বাস্য (আর এই পথে হাঁটা খুব সহজ)। এখানে আমি যে সময় অতিবাহিত করেছি, তা আসলে আমি উপভোগ পছন্দ করেছি। নিশ্চিতভাবে বলা যায় আমি সেখানে ফিরে যাব এবং বনের আরো অনেক কিছু আবিষ্কার করব। এবং এছাড়া, আমি সেখানে দুবার সাদা টেইলবার্ডকে (এক প্রজাতির টুনটুনি) ডুব দিতে দেখছি। !
ভদ্রমহিলা সেখানে গ্রেট ইগ্রেট নামক দুর্লভ পাখির বাসা দেখে রোমাঞ্চিত:
নিসন্দেহে, আমাদের ছুড়ে দেওয়া আবর্জনার পাত্র মাছদের বাসস্থান এই পুকুরে বাসা বানানো গ্রেট ইগ্রেট-এর আপনা আপনি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যা পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা! সেখানে গ্রেট ইগ্রেটদের বাচ্চা জন্মানোর ঘটনা আরো গবেষণার জন্য দারুণ এক বিষয়!
এ্যাঞ্জেলা, যিনি পাখি উৎসব আয়োজনের অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন, তিনি ফেসবুকে ফিলিপাইনের সার্পেন্টে ঈগলের ভিডিও প্রদর্শন করেছে যে পাখিটিকে তিনি জামবোয়াঙ্গার ঘেরা জলের অংশে দেখেছেন।
এদিকে আর্নল্ড নামক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গিটাগাম এবং একই সাথে মিন্দানাও দ্বীপের পাখির ছবি আপলোড করেছে। গিটাগাম শহরটি হচ্ছে লাগুইনডিনগান-এর কাছের একটি এলাকা, উক্ত এলাকা নতুন এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে। নিচে আর্নল্ড-এর ফেসবুকে পাতা থেকে নেওয়া পাখির ছবি তুলে ধরা হল :