গত শনিবার ৪ মার্চ, ২০১৪ তারিখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন তেহরানের অস্ট্রিয়ান দূতাবাসে বেশ কিছু মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে দেখা করলে [1] ইরানের কট্টরপন্থীরা এর বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা এবং প্রতিবাদ জানায়।
বৈঠকটি সম্পর্কে একটি নেতিবাচক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে রক্ষণশীল সংবাদপত্র জাভান। সেখানে ব্লগার সাত্তার বেহেস্তির [2]মা গোহাড় ইশাঘির ছবি মুছে ফেলে একটি ছবির অদলবদল [3] করা হয়। ব্লগার সাত্তার বেহেস্তি ২০১২ সালে পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনে মারা যান।
জাভান পরে একটি ব্যাখ্যা দিয়ে উভয় ছবিই প্রকাশ করেছে। [4] তারা বলেছে, ব্লগারের বয়স্ক মাকে একজন “রাষ্ট্র দ্রোহ স্বার্থ প্রচারকারী” লেখার সমালোচনা এড়াতে ছবিটি সেন্সর করা হয়েছিল।
অর্ধেক সাদ্দাম, অর্ধেক অ্যাস্টন
মোহাম্মদ হাসান নাজমি একটি বিলবোর্ড প্রচারণার ছবি টুইট করেছেন [5], যেখানে অর্ধেক অ্যাস্টন এর মুখ এবং বাকিটা সাদ্দাম হুসেনের মুখ প্রকাশ পেয়েছে।
نصب پوسترهایی در تهران که نیمی از آن چهره #اشتون [6] و نیم دیگر چهره صدام است. pic.twitter.com/SRFFCcVhZm [7]
— Mohammad Hasan Najmi (@mnajmi64) March 12, 2014 [8]
তেহরানের কিছু বিলবোর্ড পোস্টারে অ্যাস্টনের মুখের অর্ধেক সাদ্দাম হুসেন [9] হিসেবে বর্ণনা করছে [ইরানের বিরুদ্ধে ১৯৮০-৮৮ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ইরাকী প্রেসিডেন্ট]
তারা সেন্সর করে কারণ, তারা ভয় পায়
মেহেদী মোহসেনি সাত্তার বেহেস্তির মাতার এক বিদ্রুপাত্মক ছবি টুইট করেছেন: [10]
سانسورت مىكنند چون از حقيقت مىترسند! #ستار [11] بهشتى #اشتون [6] pic.twitter.com/9XhZ97eOFu [12]
— Mehdi Mohseni (@mehdimohseni) March 12, 2014 [13]
তারা সেন্সর করে কারণ, তারা ভয় পায়।
মোহাম্মদ মনি প্রতিবাদ সমাবেশে সরকারের কুকর্মের সহকারিতার সম্ভাবনা সম্পর্কে গত ১১ মার্চ তারিখে টুইট করেছেন: [14]
گروهی از «دانشجویان» در اعتراض به «اقدام خارج از عرف» #اشتون [6]، در برابر سفارت #اتریش [15] تجمع میکنند/توجه: تو این مملکت آببازی هم مجوز میخواد
— محمّد معینی (@mmoeeni) March 11, 2014 [16]
বেশ কিছু ছাত্র অস্ট্রিয়ান দূতাবাসের সামনে কর্মীদের সঙ্গে অ্যাস্টন এর সভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। মনে রাখবেন, এখানে এমনকি একটি জল যুদ্ধের [17]জন্যও অনুমতি প্রয়োজন। [২০১১ সালে জনসম্মুখে একটি ক্রীড়নশীল জল যুদ্ধের পরে বেশ কিছু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়]
“মিস অ্যাস্টন, ইরান ইউক্রেন নয়”
চরমপন্থিদের একটি ছোট দল অস্ট্রিয়ান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাঁদের একটি স্লোগান ছিল: “মিস অ্যাস্টন, এটি ইউক্রেন নয়।”
২০০৮ সালের পরে ইরানে একজন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের প্রথম ভ্রমণ এটি।