
তেহরানের অস্ট্রিয়ান দূতাবাসে সাক্ষাতের পর তোলা ছবির দুই ভার্সন। একটিতে সাত্তার বেহেস্তির মা সহ এবং আরেকটিতে তিনি অনুপস্থিত। জাভান সংবাদপত্র বলছে, তাঁরা বৃদ্ধাকে রক্ষার জন্যই ছবিটি বদলে দিয়েছে। সূত্রঃ বেনামী।
গত শনিবার ৪ মার্চ, ২০১৪ তারিখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন তেহরানের অস্ট্রিয়ান দূতাবাসে বেশ কিছু মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে দেখা করলে ইরানের কট্টরপন্থীরা এর বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা এবং প্রতিবাদ জানায়।
বৈঠকটি সম্পর্কে একটি নেতিবাচক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে রক্ষণশীল সংবাদপত্র জাভান। সেখানে ব্লগার সাত্তার বেহেস্তির মা গোহাড় ইশাঘির ছবি মুছে ফেলে একটি ছবির অদলবদল করা হয়। ব্লগার সাত্তার বেহেস্তি ২০১২ সালে পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনে মারা যান।
জাভান পরে একটি ব্যাখ্যা দিয়ে উভয় ছবিই প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ব্লগারের বয়স্ক মাকে একজন “রাষ্ট্র দ্রোহ স্বার্থ প্রচারকারী” লেখার সমালোচনা এড়াতে ছবিটি সেন্সর করা হয়েছিল।
অর্ধেক সাদ্দাম, অর্ধেক অ্যাস্টন
মোহাম্মদ হাসান নাজমি একটি বিলবোর্ড প্রচারণার ছবি টুইট করেছেন, যেখানে অর্ধেক অ্যাস্টন এর মুখ এবং বাকিটা সাদ্দাম হুসেনের মুখ প্রকাশ পেয়েছে।
نصب پوسترهایی در تهران که نیمی از آن چهره #اشتون و نیم دیگر چهره صدام است. pic.twitter.com/SRFFCcVhZm
— Mohammad Hasan Najmi (@mnajmi64) March 12, 2014
তেহরানের কিছু বিলবোর্ড পোস্টারে অ্যাস্টনের মুখের অর্ধেক সাদ্দাম হুসেন হিসেবে বর্ণনা করছে [ইরানের বিরুদ্ধে ১৯৮০-৮৮ সাল পর্যন্ত যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক ইরাকী প্রেসিডেন্ট]
তারা সেন্সর করে কারণ, তারা ভয় পায়
মেহেদী মোহসেনি সাত্তার বেহেস্তির মাতার এক বিদ্রুপাত্মক ছবি টুইট করেছেন:
سانسورت مىكنند چون از حقيقت مىترسند! #ستار بهشتى #اشتون pic.twitter.com/9XhZ97eOFu
— Mehdi Mohseni (@mehdimohseni) March 12, 2014
তারা সেন্সর করে কারণ, তারা ভয় পায়।
মোহাম্মদ মনি প্রতিবাদ সমাবেশে সরকারের কুকর্মের সহকারিতার সম্ভাবনা সম্পর্কে গত ১১ মার্চ তারিখে টুইট করেছেন:
گروهی از «دانشجویان» در اعتراض به «اقدام خارج از عرف» #اشتون، در برابر سفارت #اتریش تجمع میکنند/توجه: تو این مملکت آببازی هم مجوز میخواد
— محمّد معینی (@mmoeeni) March 11, 2014
বেশ কিছু ছাত্র অস্ট্রিয়ান দূতাবাসের সামনে কর্মীদের সঙ্গে অ্যাস্টন এর সভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। মনে রাখবেন, এখানে এমনকি একটি জল যুদ্ধের জন্যও অনুমতি প্রয়োজন। [২০১১ সালে জনসম্মুখে একটি ক্রীড়নশীল জল যুদ্ধের পরে বেশ কিছু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়]
“মিস অ্যাস্টন, ইরান ইউক্রেন নয়”
চরমপন্থিদের একটি ছোট দল অস্ট্রিয়ান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তাঁদের একটি স্লোগান ছিল: “মিস অ্যাস্টন, এটি ইউক্রেন নয়।”
http://www.youtube.com/watch?v=rhVEqPFb2C4
২০০৮ সালের পরে ইরানে একজন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের প্রথম ভ্রমণ এটি।