বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনিয়াতে গ্রাম থেকে অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন শহরে বিদ্যালয়ে যেতে বাসে যাতায়াত করে থাকে। এই সমস্ত তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রায়ই দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সে সময়টাতে তাদের কিছুই করার থাকে না।
জাভিদোভিকি গণ গ্রন্থাগারটি বাস স্টেশনের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। এ কারণে এই গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিকেরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, বিদ্যালয় শেষ হয়ে যাওয়ার পরের সময়টা এসব শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে অনুৎপাদনশীল উপায়ে ব্যয় করতে হয়।

গ্রন্থাগারটির আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার একটি বিজয়ী ছবি। ছবিটি তুলেছে এলদার মুহিক। গ্রন্থাগারটির ফেসবুক পাতা থেকে পুনরায় প্রকাশিত হল।
এই উপলব্ধি থেকে গ্রন্থাগারিকেরা স্থানীয় পাঠাগারটিতে এসব শিশুদের জন্য কিছুটা জায়গা বরাদ্দ করেছেন। বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাটানোর সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তরুণদেরকে আকৃষ্ট করতে এবং নুতন নুতন দক্ষতা অর্জন করা শেখাতে তারা একটি মাল্টি মিডিয়া কেন্দ্র চালু করেছেন। এখানে বিভিন্ন সৃজনশীল প্রোগ্রামিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যালয় শুরু হওয়ার আগে এবং পরের সময়টাতে এটি খোলা থাকে। এখানে কম্পিউটারে ইন্টারনেটে প্রবেশের সুবিধা পাওয়া যাবে, প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক এনজিও ইআইএফএল এটিতে সহায়তা দিয়েছে। তাদের আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার মতো কিছু উদ্যোগ রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা অংশও নিতে পারবে এবং প্রকল্পটিকে প্রচারও করতে পারবে।
গ্রন্থাগারিকেরা এই যুবকর্ণারটিকে শিশুদের জন্য তাদের “দ্বিতীয় বাস কক্ষ” হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীকে এটি আকৃষ্ট করেছে। তাদের মাঝে আছে সিরিয়া থেকে আসা তরুণ শরণার্থীও। তারা স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সাথে সময় কাটাচ্ছে এবং তাদের কাছ থেকে বসনিয়ান ভাষা শিখছে। এই পাঠাগারটির মাধ্যমে এই শিক্ষার্থীরা আরও সহজেই সামাজিকও হতে শিখছে।

যুব কর্নার – জাভিদোভিকি গ্রন্থাগারের অনুমতিক্রমে পুনরায় প্রকাশিত।
যুবকর্ণারটি চালুর পর থেকে এক বছরের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে আসা গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ৫০ জন থেকে ২৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় পরিস্থিতি এবং যুব কর্ণারের প্রতি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও এখানে উপস্থাপন করা হলঃ
আপনি এই গ্রন্থাগারটিকে তাদের ফেসবুক পাতাতেও অনুসরণ করতে পারেন।