মর্যাদাপূর্ণ প্রকাশনা নৈতিক পর্যটক [1] এর মতে, টানা চার বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দশটি নৈতিক গন্তব্যস্থলের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে।
নৈতিক পর্যটকদের দল প্রতি বছর সামগ্রিক গবেষণার পরে, উন্নয়নশীল বিশ্বে ভ্রমণ করার জন্য দশটি শ্রেষ্ঠ দেশের একটি তালিকা প্রস্তুত করে। এই গন্তব্যস্থল নির্বাচনে বিবেচনায় থাকে আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সংস্কৃতি। এই ক্ষেত্রে দেশগুলোর তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের একটি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করাও আবশ্যক থাকে। এই নির্বাচনগুলির লক্ষ্য হচ্ছে, এই সব দেশগুলোর প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের উদাহরণ অনুসরণ করার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে উত্সাহিত করা।
বর্তমানে পর্যটন বিশ্বের প্রধান একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটি স্বাগতিক সম্প্রদায় এবং তাঁদের বাস্তু তন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বিশ্ব পর্যটন সংস্থা [2]পর্যটনের জন্য নৈতিকতার একটি গ্লোবাল কোড তৈরি করেছে, যেটি মূলত “কি করা যাবে এবং কি করা যাবে না” এর একটি তালিকা। দায়িত্বপূর্ণ পর্যটনের মাধ্যমে উন্নত জীবনকে বেগবান এবং পৃথিবী নামক গ্রহকে রক্ষা করাই হচ্ছে এই তালিকার লক্ষ্য।
অনেক দেশ তাদের ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে এই কোড গ্রহণ করেছে। ভ্রমণকারী, হোস্ট সম্প্রদায়, পর্যটন কর্মী ও পরিবেশের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তাদের পর্যটন শিল্পের চর্চা পুনঃনির্দেশিত হয়েছে।
উরুগুয়ে হচ্ছে সেই সব দেশের একটি যারা তাদের পর্যটন শিল্পকে এই উপায়ে পরিচালনা করে এবং এভাবেই টানা চার বছর তাঁরা এই স্বীকৃতি অর্জন করল। ২০১১, [3] ২০১২, [4] ২০১৩ [5]এবং ২০১৪ [6]সালে বিশ্বের সেরা ১০ টি নৈতিক গন্তব্যস্থলের মধ্যে উরুগুয়ে অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
এই অর্জন উরুগুয়ের পর্যটন শিল্পের কর্মীদের প্রচেষ্টার একটি পুরস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে, যারা ভিয়াজে এ উরুগুয়ে [7][স্প্যানিশ ভাষায়] পোর্টালে উল্লেখ অনুযায়ী বিশ্ব পর্যটন সংস্থার নীতিশাস্ত্র কোড মেনে চলার অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেছে।
এদিকে, সে দেশের পর্যটন ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের [8][স্প্যানিশ ভাষায়] ওয়েবসাইটে সংবাদটির প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে তা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের জন্য নির্বাচিত অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে বাহামা, বার্বাডোজ, কেপ ভার্দ, চিলি, ডোমিনিকা, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মরিশাস এবং পালাউ।