একটি সময়ে, যখন গ্রীসে বেকারত্বের অবস্থা টলটলায়মান হয়ে আশঙ্কাজনক ভাবে ২৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছে, তখন একটি টুইটার হ্যাশট্যাগ সে দেশের প্রায় ৩০ জন লোককে নতুন কাজ পেতে দারুণভাবে সহায়তা করে।
অক্টোবর মাসের প্রারম্ভে ব্যবহারকারী @ডিমিট্রিস্করিড সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারীদের দেশে এবং বিদেশে কাজের সুযোগ সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করতে সাহায্য করার জন্য #আগেলিসারগাসিয়াস (চাকরির বিজ্ঞাপন) নামের হ্যাশট্যাগটি চালু করেন। এর সহজে প্রবেশযোগ্য চাকুরীর পোর্টাল ব্যবহারের জন্য টুইটার ব্যবহারকারীদের ধন্যবাদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর তারিখে, ১১ ঘন্টার জন্য গ্রিক টুইটারে হ্যাশট্যাগটি একটি তুমুল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
Did you know that #aggeliesergasias was Trending Topic on Wednesday 11 for 11 hours in Greece? http://t.co/HE05KfTGEB#trndnl
— Τάσεις στην Ελλάδα (@trendinaliaGR) december 12, 2013
আপনি কি জানেন যে, #আগেলিসারগাসিয়াস হ্যাশট্যাগটি গত বুধবার ১১ ডিসেম্বর তারিখে, ১১ ঘন্টার জন্য গ্রিক টুইটারে একটি তুমুল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল ?
দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি সমস্যার বিরুদ্ধে এটা ইন্টারনেটে সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু গ্রিক সংবাদমাধ্যমে এই উদ্যোগের কথা উঠে এসেছে এবং এটিকে তাঁরা সহজ, বুদ্ধিমান এবং কার্যকর হিসেবে তুলে ধরেছে। কিপ টকিং গ্রিস নামক ব্লগটি এই অর্থনৈতিক সংকট দ্বারা প্রভাবিত গ্রীকদের “বাস্তব” গল্প শেয়ারে নিবেদিত। তাঁরা লিখেছে:
কয়েক দিনের মধ্যে, অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছিল: টুইটার ব্যবহারকারীরা তাঁদের জানা মতে বিভিন্ন পেশা সংক্রান্ত প্রস্তাব এখানে পোস্ট করতে শুরু করেন, যেখানে চাকুরিপ্রার্থীরাও তাদের অনুরোধ পোস্ট করতে থাকেন। পুনরায় টুইট এবং পছন্দতে যোগ করার মধ্য দিয়ে এই আধুনিক, সামাজিক মিডিয়া সেটে অথবা জেনেভায়, লন্ডন বা প্রিভেজাতে, এথেন্স বা জান্থিতে কাজের প্রস্তাব খোঁজার পথ দ্রুত সফল করে তোলে।
উদ্ভাবক @ডিমিট্রিস্করিড প্রটাগন খবর ওয়েবসাইটে হ্যাশট্যাগটি এ পর্যন্ত কি ধরণের প্রভাব ফেলেছে তা ব্যাখ্যা করেছেন:
Μέχρι τώρα, που είναι ακόμα πολύ νωρίς και πολλοί δεν γνωρίζουν προς το παρόν αυτόν τον τρόπο εύρεσης εργασίας, μου έχουν στείλει περίπου 30 άτομα μήνυμα που μου είπαν ότι προσλήφθηκαν και θέλησαν να με ευχαριστήσουν για το καλό που τους έκανα. […] Ο καθένας από εμάς μπορεί να φτιάξει ένα hashtag, δεν υπάρχει τρόπος να πληρωθείς ποτέ την επιτυχία του, αλλά η ηθική ανταμοιβή που παίρνω καθημερινά, αξίζει όλα τα λεφτά του κόσμου».
এখনও পর্যন্ত এটা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং চাকরি অনুসন্ধানের জন্য এই পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। প্রায় ৩০ জন ব্যবহারকারি আমার কাছে বার্তা পাঠিয়ে বলেছে যে তার কাজ খুঁজে পেয়েছেন এবং এই জন্য আমাকে তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। […] আমারা প্রত্যেকেই একটি হ্যাশট্যাগ তৈরি করতে পারি। এর সাফল্যের জন্য আমার অর্থ প্রাপ্তির কোন সুযোগ নেই, কিন্তু আমার প্রতিদিনের পাওয়া নৈতিক পুরস্কার বিশ্বের সমস্ত অর্থের সমতুল্য।
এছাড়াও প্রচেষ্টাটি ফেসবুকেও প্রসারিত হয়েছে।