তাজিকিস্তানের জাতীয় পতাকার অপব্যবহার দেশটিতে উত্তেজনার সঞ্চার করেছে

The controversial photo. Image by Ahrullo Dadaboev, used with permission.

তাজিকিস্তানের পতাকার বিতর্কিত ছবি। ছবি আহরুলো দাদাবয়েভের। অনুমতিক্রমে প্রকাশিত।

মাটিতে পড়ে থাকা এবং খানিকটা ভিন্নভাবে আবর্জনার পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা তাজিকিস্তানের জাতীয় পতাকার ছবি দেশটির সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আহরুলো দাদাবয়েভ, যিনি এই ছবি তুলেছেন এবং ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, তিনি জানান দেশটির উত্তরের শহর খুজন্দের এক রাস্তার ঝাড়ুদার ময়লা সংগ্রহের জন্য পতাকাটি ব্যবহার করে।

অনেক নেট নাগরিক যারা এই ছবিটি দেখেছে তারা জাতীয় পতাকার এই অপব্যবহারের অপমানিত বোধ করে। এই পোস্টের বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে রুসলান, রুসলান লিখেছে [তাজিক ভাষায়]:

ХАМИ РИДАНШОН НАМЕРАСИД ЭЭЭЭЭЭЭЭ ВОЯ

ওহ, পতাকার উপর তারা কেবল [মলত্যাগ] করতে বাকি রেখেছে।

ওজোদ ওরজুয়েভ বলছে [তাজিক]:

Ин хузновар мебошад. Сад дарег..

এটা খুবই দুঃখজনক, এটা সত্যি বেদনাদায়ক।

কিন্তু আমারুলো ফাইজুল্লাজোদা পরামর্শ প্রদান করেছে [তাজিক ভাষায়] যে ব্যক্তি এই ছবিটি তুলেছে তার কেবল ক্যামেরা বাটন টেপা ছাড়া আরও কিছু করার ছিল:

Ватандусти асил дар ин холат парчамро гирифта, тоза карда мегирифт, ин аз руи эхтироми парчам, ватан ва милат аст.

একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক এই পরিস্থিতিতে পতাকাটা মাটি থেকে তুলে নিত এবং তা পরিষ্কার করত, পতাকা, মাতৃভূমি, এবং জাতির প্রতি শ্রদ্ধা থেকে।

এই ছবিটি টুইটারেও প্রদর্শিত হয়েছে, যেখানে মার্দিকর প্রশ্ন করেছে [তাজিক ভাষায়]:

এটা কি “আমাদের প্রিয় স্বদেশ” [ জাতীয় সঙ্গীতের একটি লাইন]? এটা কি স্বদেশ প্রেম? যদি জাতীয় পতাকা পায়ের তলে লুটায়, তাহলে কি জাতীর অবস্থান পায়ের তলে নয় কি?

খায়রিকভ, যিনিও এই ছবিটি টুইটারে প্রদর্শন করেছে, তিনি লিখেছেন [তাজিক ভাষায়]:

হায়, আল্লাহ, ওহ… যদি আমরা আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করি, তাহলে কে আমাদের শ্রদ্ধা করবে???

এবং বাচাই সাকো আরেকটি ঘটনা উল্লেখ করেছে [রুশ ভাষায়] যেখানে জাতীয় পতাকার যথাযথ ব্যবহার হয়নি:

@মার্দিকর সম্প্রতি আমি আইয়ানিতে [উত্তর তাজিকিস্তানের এক বড় আকারের গ্রাম] একদল তরুণ ক্রীড়াবিদকে দেখেছি, যারা রাষ্ট্রপতির [রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রাহমন] সাথে সাক্ষাতের পর বাড়তি যে সব জাতীয় পতাকা ছিল, তা দিয়ে হাফপ্যান্ট তৈরী করেছে।

তাজিকিস্তানের তেরঙা পতাকার জন্ম ১৯৯২ সালে। এরপর কর্তৃপক্ষ দেশপ্রেমের আবেগ জোরালো করার জন্য সফলভাবে পতাকাকে জনপ্রিয় করতে সক্ষম হয়। তাজিকিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পতাকার নির্মাতা এবং দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম পতাকার রেকর্ড ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ব্লগার দেশটির পরিবর্তিত চরিত্র আনুযায়ী দেশটির জাতীয় পতাকা এবং অন্য সব জাতীয় প্রতীক পরিবর্তনের পরামর্শ প্রদান করেছে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .