Palestinian family in #Gaza rescued by boat from flooded homes. More: http://t.co/3IlcwTUy40pic.twitter.com/kzUKdnNil4
— Yousef Munayyer (@YousefMunayyer) December 13, 2013
#গাজায় বন্যাকবলিত বাড়ি থেকে নৌকা দিয়ে ফিলিস্তিনের এক পরিবারকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরো জানতেঃ http://t.co/3IlcwTUy40
চার দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনী নাগরিক বাস্তুহারা হয়েছে। তারা যেসব সমস্যায় জর্জরিত সেসব সমস্যার আসল কারন হচ্ছে, গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রটি গত ৫০ দিন যাবত বন্ধ হয়ে আছে।
গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৮ লক্ষ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। গত সাত সপ্তাহ ধরে তাদেরকে দিনের মধ্যে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছাড়া কাটাতে হয়। কিছুদিন আগে এই অঞ্চলে আঘাত হানা আলেক্সা ঝড়ের কারণে বন্যার সৃষ্টি হওয়ার পরে জাতিসংঘ গাজার উত্তরাঞ্চলকে “একটি দূর্যোগ কবলিত এলাকা” হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রটিতে কাতার জ্বালানী খরচ প্রদানে এগিয়ে এসেছে।
গাজা থেকে ওমার ঘ্রাইয়েব উল্লেখ করেছেনঃ
#Gaza: Electricity crisis eases up a bit after nearly 50 days of very minimal power!Power outages reached & sometimes topped 21 hrs per day!
— Omar Ghraieb (@Omar_Gaza) December 16, 2013
#গাজাঃ প্রায় ৫০ দিন নূণ্যতম বিদ্যুৎ শক্তি দিয়ে চালানোর পর, অবশেষে বিদ্যুৎ সংকট সমস্যায় কিছুটা স্বস্তি আসছে! বিদ্যুৎ স্বল্পতা চরমে পৌঁছে গিয়েছে এবং কখনো কখনো দৈনিক ২১ ঘন্টাও বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয়েছে!
তিনি আরো লিখেছেনঃ
The New electricity schedule in #Gaza: 8 hours of electricity followed by 8 hours of a power outage per day everyday!
— Omar Ghraieb (@Omar_Gaza) December 16, 2013
#গাজাতে নূতন বিদ্যুৎ সময়সূচী: দৈনিক ৮ ঘন্টা করে লাগাতার বিদ্যুৎ থাকবে এবং পরবর্তী ৮ ঘন্টা লাগাতার বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে!
ফিলিস্তিনের নুর অদেহ ব্যাখ্যা করেছেনঃ
In '07 north #Gaza drowned in sewage, now all of Gaza drowns in rain & world still debates if there is a #siege! http://t.co/PnIGUQslOk
— Nour Odeh (@nour_odeh) December 15, 2013
#গাজার ’০৭ উত্তরাঞ্চল নর্দমার পানিতে ডুবে আছে। বর্তমানে সমগ্র গাজা বন্যার পানিতে ডুবে আছে। অথচ গাজা #অবরুদ্ধ কিনা, তা নিয়ে বিশ্ব বিতর্ক করছে!
অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য সমঝোতার জন্য ইন্সটিটিউটের শেয়ার করা জেহাদ সাফতায়ির এই ভিডিওটির শুরুতেই খালি পায়ে একটি ফিলিস্তিনি শিশুকে বরফের উপর (সিসি বিওয়াই এর অনুমতিক্রমে ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়েছে) দৌড়াতে দেখা যাচ্ছেঃ
এই ভিডিওটির সাথে দেয়া ধারাভাষ্যে পরিবারগুলোকে অনুত্তপ্ত আশ্রয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ধারাভাষ্যটি পড়তে অনেকটা এই রকমঃ
গাজা শহরের আন নাফাকে বসবাসকারী প্রতিবেশীরা সবজায়গাতেই আশ্রয়ের খোঁজ করছিলো। আজকের এই ভিডিও ফুটেজটিতে যেমনটি দেখা যাচ্ছে, তারা আব্দেল রহমান বিন আউফ বিদ্যালয়েও আশ্রয় চেয়েছে। সেখানের কিছু কিছু দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে কংক্রিটের অনুত্তপ্ত শ্রেণীকক্ষে একটি শিশু শীতে কাঁপছে। এই বিষয়টি আরো বিরক্তিকর হয়ে ওঠে, যখন দেখা যায় আজকের গাজায় এ ধরনের দৃশ্য একটি কঠিন অথচ নিত্য নৈমিত্তিক নিয়মে পরিনত হয়েছে। ২৫ মেইল দীর্ঘ উপত্যকার বেশীরভাগ জায়গার মতোই আন নাফাকও ইসরালের শ্বাসরুদ্ধকর অবরোধের পাশাপাশি বন্যার কারনে একেবারেই বিধ্বস্ত হয়ে পরছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র ক্রিস গানেস আজ যখন এ বিষয়ে কায়দা করে চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলছিলেন, তখন অবরোধের অবসান দাবি করে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননিঃ গানেস বলেছেন, “এই দূর্যোগ সামলে উঠতে যেকোন সাধারন সম্প্রদায়কে সংগ্রাম করতে হয়। কিন্তু এমন একটি জাতিগোষ্ঠী যাদের মানব ইতিহাসের অন্যতম একটি দীর্ঘ সময় ধরে অবরোধের অধীনে আছে, যাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংসের দিকে এবং যেখানে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি সুবিস্তৃত, সেখানে এই মানব সৃষ্ট বাঁধা থেকে তাঁদেরকে মুক্তি দিতে হবে…”
আইএমইইউ এর জন্য এই দ্বিতীয় ভিডিওটিও সাফতায়ি তৈরি করেছেন। ভিডিওটিতে ফিলিস্তিনের ছিটমহলটির প্লাবিত অঞ্চলগুলো দেখা যাচ্ছে। গাজার অধিবাসীদেরকে এই চরম মানবেতর পরিস্থিতিতে যেসব দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, এই ভিডিওটি, তাঁর খুব সামান্য অংশই তুলে ধরতে পেরেছেঃ