গতকাল [১১ ডিসেম্বর] লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অনুষ্ঠিত কেবল দাঁড়ানোর এক কামরায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের এল মুন্ডো পত্রিকার সাংবাদিক জ্যাভিয়ার এসপিনাসোর স্ত্রী মনিকা প্রেয়তি তার স্বামী এবং একই সাথে ফ্রি ল্যান্স ফোটোগ্রাফার রিকার্ডো গার্সিয়া ভিলানোভার মুক্তির দাবী জানাচ্ছে এবং তার জন্য এক প্রচারণা শুরু করেছে।
এল মুন্ডো পত্রিকা অনুসারে ১৬ সেপ্টেম্বর, সিরিয়ার রাক্কা এলাকায় যাওয়ার পথে এসপিনাসো এবং ভিলানোভা অদৃশ্য হয়ে যায়, পরে জানা যায় যে ফ্রি সিরিয়া বাহিনীর চারজন সদস্য সহ তারা ইসলামিক স্টেটস অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) দ্বারা অপহৃত হয়েছে। এর ১২ দিন পরে উক্ত চার যোদ্ধাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত উক্ত সাংবাদিকেরা আইএসআইএস-এর কাছে বন্দী, যারা বিশ্বাস করে এই দুই সাংবাদিক আদতে গুপ্তচর, এক্ষেত্রে স্পেনের পত্রিকায় যোগ করা হয়:
প্রিয়েতো, যে কিনা একজন সাংবাদিক, সে বর্ণনা করেছে যে অপহরণকারীদের “কাছ থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায়”- তারা কেবল সাধারণ মানুষের সাহায্য কামনা করবে। ভিলানোভার পরিবারও সাহায্যের আবেদন করেছে, যেমনটা ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা টুইট করেছে:
Families of Javier Espinosa and Ricardo Garcia Vilanova endorse public campaign for his release from ISIS jail in Syria. #FreeJavier_Ricardo
— Richard Spencer (@RichardJSpencer) December 10, 2013
সিরিয়ার আইএসআইএস-এর কারাগার থেকে মুক্তির জন্য জ্যাভিয়ার এসপিনোসা এবং রিকার্ডো গার্সিয়ার পরিবার গণ আন্দোলন শুরু করেছে।
সিরিয়ার নাগরিকরা অপহৃত সাংবাদিক এবং ফটোগ্রাফার –এর প্রতি তারা একাত্মতা প্রদর্শন করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সাংবাদিক যেমন টম বারিজ একটি টুইটে বিবৃতি প্রদান করেছে:
Packed room full of journalistic solidarity for 2 Spanish journalists kidnapped in Syria. #FreeJavier_Ricardo pic.twitter.com/JEaH1iI4qo
— Tom Burridge (@TomBurridgebbc) December 10, 2013
সিরিয়ায় অপহৃত হওয়া দুই স্প্যানিশ সাংবাদিকের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে হল ভর্তি হয়ে যায়।
সংঘর্ষ শুরু হবার পর এটাই এসপিনাসোর প্রথম সিরিয়া যাত্রা নয়, ফেব্রুয়ারি ২০১২-এ বাবা আমরোয় যে বোমা বিস্ফোরণে সানডে টাইমসের সাংবাদিক মারিয়া কোলভিন নিহত হয়েছিল, সে ঘটনায় এসপিনাসোও আহত হয়েছিল। টুইটার ব্যবহারকারী দি ৪৭থ, বলছে যে যখন বিশ্ব শাসক আসাদের প্রথম গণহত্যা উপেক্ষা করেছে, তখন সত্যের পাশে এসে দাঁড়াতে এসপিনাসো একটুও দ্বিধা করেনি:
Javier Espinosa was almost killed along with Marie Colvin in Baba Amr, he was one of the FEW voices that reported on Assad's 1st massacres.
— The 47th (@THE_47th) December 10, 2013
বাবা আমর এলাকায় মারিয়া কোলভিনের সাথে জ্যাভিয়ার এসপিনাসো মরতে বসেছিল, আসাদের প্রথম গণহত্যার বিষয়ে যারা সংবাদ প্রদান করেছিল, সে ছিল অল্প কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে একজন।
সে পরোক্ষ ভাবে জানায় যে আইএসআইএস এবং আসাদের শত্রু একই:
ISIS hate Javier Espinosa as much as Assad did. They hate what he stands for..freedom, liberty and accountability.
— The 47th (@THE_47th) December 10, 2013
জ্যাভিয়ার এসপিনাসোকে আসাদ সরকার যে পরিমাণ ঘৃণা করে, আইএসআইএস ঠিক সে পরিমাণ ঘৃণা করে। তারা সেই সব বিষয়কে ঘৃণা করে যার জন্য সে লড়াই করে…মুক্তি,স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতা।
টুইটার ব্যবহারকারী ইয়াল্লা সোরিয়া একই সাথে উল্লেখ করেছে যে ফাদার পাওলোর মত, এসপিনাসো এবং ভিলানোভাকে একই সাথে আইএসআইএস এবং শাসক আসাদের অনুগতরা ধরে নিয়ে গেছে:
#AbunaPaolo, @javierespinosa2 and all prisoner of conscience held in Assad's and ISIS's slum jails. One more day is too much
— yalla souriya (@YallaSouriya) December 10, 2013
ফাদার পাওলো, জ্যাভিয়ার এসপিনাসো এবং চেতনার বন্দী সকলের আসাদ এবং আইএসআইএস-এর হাতে বন্দী। এখন একটা দিনও অনেক বেশী
আরেকজন ব্যবহারকারী তার মুক্তির দাবী করেছে:
Courageous Spanish reporter @javierespinosa2 has been kidnapped in #Syria by ISIS. Make noise. Bring him back to his family and loved ones.
— Aubergine أوبرجين (@oh_bergine) December 9, 2013
আইএসআইএস, সিরিয়াতে সাহসী স্প্যানিশ সাংবাদিককে অপহরণ করেছে। এই বিষয়ে আওয়াজ তুলুন। তার পরিবার প্রিয়জনদের কাছে তাকে ফিরিয়ে আনুন
একই সাথে পুরো আরব বসন্ত জুড়ে লিবিয়া, মিশর, এবং সিরিয়ার ঘটনা বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নথি তৈরীর কারণে ভিলানোভা পরিচিত।
তাদের মুক্তির দাবীর জন্য যে আনুষ্ঠানিক আন্দোলন, সাংবাদিক অপহরণ বিপ্লবী নীতির পরিপন্থী এই বাক্যটি যুক্ত করে নীচের বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে:
#ফ্রিজ্যাভিয়ার_রিকার্ডো, #ফ্রিপ্রেসসিরিয়া
জ্যাভিয়ার এবং রিকার্ডোর অপহরণের ১১ সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। অজস্র সিরীয় একটিভিস্ট এবং সাংবাদিকের মত তারা ইসলামিক স্টেস্টস অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া নামের সংগঠনের হাতে বন্দী হয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০১২-এ শাসকদের দ্বারা পরিচালিত হোমসের বাবা আমার এলাকার হামলার সময় জ্যাভিয়ার সেখানে ছিল।মারিয়ে কোলভিন এবং রেমি অচলিক নামের তার দুই সহকর্মীকে সে তার চোখের সামনে নিহত হতে দেখেছে। এরপরেও সে বাবা আমার এলাকা ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখান থেকে একজন সভ্য মানুষকে অপসারণ না করা হয়।
বিপ্লব শুরুর পর থেকে রিকার্ডো অসংখ্য বার সেখানে কাজ করেছে, আর যুদ্ধের সময় এর শিকার সাধারণ নাগরিকদের যে সমস্ত ডাক্তার সাহায্য করছে তাদের জন্য সে ওষুধ সংগ্রহের কাজ করত।
তাদের মুক্তির দাবীতে চলা অনলাইন আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।