
আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিও মেসি'র ফেসবুক পেজ।
এবার “ডিজিটাল মাস্তানি”র শিকার হলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। ইরানের হাজারখানেক মানুষ মেসি'র ফেসবুক পেজে গিয়ে তাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ ও অপমানজনক পোস্ট করেন। গত শনিবার বিশ্বকাপ ফুটবলের গ্রুপ নির্ধারণী ড্রয়ের পর এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে। বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনা, ইরান, নাইজেরিয়া এবং বসনিয়া-হার্জেগোভিনা একই গ্রুপে পড়েছে।
মেসির পেজে গিয়ে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে, তার বেশিরভাগই ছিল আপত্তিকর।
ইরানের অনেক নাগরিক মেসির প্রতি এই সাইবার আক্রমণকে লজ্জাকর বলে অভিহিত করেছেন।
কারগান টুইট করেছেন:
به نظر من دولت ایران و مارک زاکربرگ باید دست به دست هم بدن و فیسبوک رو از هموطنان عزیز پاکسازی کنن که این وسط آبروی بقیه ملت نره! #مسی
— ـكرگـ ـدنـ (@Rhino_x) December 7, 2013
ইরানের সম্মান বাঁচাতে জুকারবার্গ [ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা] এবং ইরানি সরকারকে হাতে হাত মিলিয়ে ফেসবুক থেকে এইসব আপত্তিকর মন্তব্য মুছে ফেলতে হবে।
সুসকাক টুইট করেছেন:
همون بهتر فیسبوک فیلتره
#مسی
— سوسکِ قاچاقچی (@Sooskak) December 7, 2013
এটা ভালো যে ইরানে ফেসবুক ফিল্টার করা হয়।
বারডিয়া টুইট করেছেন:
اگر همین فردا هم جمهوری اسلامی سقوط کنه خیلی سریع یه حکومت عالی جایگزین بشه باز هم 15-20سال طول میکشه تا فرهنگ این مردم درست بشه!
#مسی
— Bardiya (@1Bardiya) December 7, 2013
আজ যদি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটে, এই লোকগুলোকে সাংস্কৃতিকভাবে অগ্রসর করে তুলতে ১৫-২০ বছর লেগে যাবে।
ব্লগার ৫চার একটি আপত্তিকর মন্তব্যের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে বলেছেন, এই প্রজন্ম ইসলামী প্রজাতন্ত্রে বেড়ে উঠেছে।
আরেকজন ব্লগার আন্দারবাব বলেছেন:
এ ধরনের স্লোগান এবং আপত্তিকর মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তারা তাদের অযোগ্যই প্রমাণ করলো। এরা হলেন সেই মানুষ, যারা আমেরিকাকে ধুলায় মিশিয়ে দেয়ার জন্য চিত্কার করে। আবার আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্যও মুখিয়ে থাকে। তারা এখন মেসিকে অপমান করছে। কালকেই দেখা যাবে, মেসির হাত থেকে সুভেনিয়'র ফ্যান ফটো নেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।