- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

প্রথম বারের মতো পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ায় আইসল্যান্ডে শোক

বিষয়বস্তু: আইসল্যান্ড, আইন, নাগরিক মাধ্যম, সরকার
Police in Reykjavik, Iceland [1]

আইসল্যান্ডের রিকজাভিকে পুলিশ সদস্য। ছবিটি ক্রিস্টোফার পোর্টারের ফ্লিকার থেকে নেওয়া। 

ট্রেসি টঙ্গের এই কলাম এবং রেডিও রিপোর্টটি প্রকৃতপক্ষে পিআরআই ডট ওআরজি [2]তে গত ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে সারা বিশ্বের জন্য প্রকাশিত হয়। লেখা শেয়ার করা চুক্তির একটি অংশ হিসেবে এটি পুনরায় প্রকাশিত হল।

এ সপ্তাহে আইসল্যান্ডে একটি নজিরবিহীন শিরোনাম হচ্ছে – একজন লোককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে।

দ্যা আইসল্যান্ডিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিস, আরইউভি’র খবরের সম্পাদক থরা আরনর্সডটির বলেছেন, “জাতি হতবাক। এ রকম ঘটনা আমাদের দেশে কখনো ঘটেনি।”

তিনি ৫৯ বছর বয়সী বৃদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন, যাকে সোমবারে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। বৃদ্ধের বাড়িতে পুলিশ ঢোকার সাথে সাথে সে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। লোকটির মানসিক অসুস্থতায় ভোগার পুরনো ইতিহাস আছে।

আইসল্যান্ড ১৯৪৪ সালে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্রে পরিনত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রথম কেউ সশস্ত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন। এমনকি সেখানে সাধারণত পুলিশ অস্ত্র বহন করে না। আইসল্যান্ডে হিংস্র অপরাধের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে।

আরনর্সডটির বলেন, “এদেশের মানুষ চায় না দেশীয় পুলিশ অস্ত্র বহন করুক। কারণ, এটি খুব বিপদজনক, খুব ভীতি প্রদর্শনকারী।” “এটি এদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ। খেলাধূলার ক্ষেত্রে শিকার করতে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই কখনো অস্ত্র দেখেননি।”

তবে আইসল্যান্ড কিন্তু অস্ত্র-বিরোধী নয়। মাথাপিছু অস্ত্র মালিকানার ক্ষেত্রে আইসল্যান্ড সারা বিশ্বে ১৫ তম অবস্থানে রয়েছে। এখানে এই ধরনের ঘটনা এতো দূর্লভ যে নিহত লোকটির প্রতিবেশীরা এই গোলাগুলির ঘটনাটিকে আমেরিকার কোন চলচ্চিত্রের দৃশ্যের সাথে তুলনা করেছেন।

আইসল্যান্ডের পুলিশ বিভাগ বলেছে, এ ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদেরকে প্রচন্ড দুঃখ পীড়িত ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়ায় উপদেশ দান প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে। মৃত লোকটির পরিবারের কাছে ইতোমধ্যেই পুলিশ বিভাগ ক্ষমা চেয়েছে। যদিও প্রাসঙ্গিকভাবে তারা কোন অপরাধ করেনি।

আরনর্সডটির বলেছেন, “আমি মনে করি, তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। কারন অন্যকে হত্যা করতে কেউই চায় না।”

আরো অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর জানা বাকি রয়ে গেছে। তাঁর মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশ কেন লোকটির বাড়িতে ঢোকার আগে তাঁর সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করল না।

“এই দেশটিতে বাস করার বেশ কিছু বড় কারণের একটি হচ্ছে, আপনি যেকোন সময় সংসদে প্রবেশ করতে পারবেন এবং এ কারনে শুধুমাত্র আপনার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখতে বলা হবে। যখন সাংসদেরা কথা বলছেন, তখন যেন আপনার কারনে তারা বিরক্ত না হন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের পেছনে কখনো সশস্ত্র দেহরক্ষী থাকে না। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজে বসবাসের জন্য এটি একটি বড় অংশ। আমরা এগুলো পরিবর্তন করতে চাই না।”