ছবিঃ বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্ব ম্যাচের শিহরণ এবং মর্মবেদনা

২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে যেতে “জিততেই হবে” ধরনের কিছু ম্যাচ গত সপ্তাহে আফ্রিকা এবং ইউরোপে খেলা হয়েছে। এই খেলাগুলো এরকম বলে বার বার দাবি জানানো সত্ত্বেও, কিছু ম্যাচের আগে এবং পরে লোকজনকে কেমন যেন অদ্ভূত আচরণ করতে দেখা যায়। সবাই কম বেশী বাজি ধরেছে। তাতে করে খেলার ফলাফল হিসাবে তারা কি চায়, তাই বোঝা যায়।

এ রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী চারটি ম্যাচের ভিডিও থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়াগুলো এখানে রয়েছে। প্রতিক্রিয়াগুলো আলজেরিয়া, আইভরিকোষ্ট, ক্যামেরুন এবং ফ্রান্সের জন্য পুরোপুরিভাবেই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। অপরদিকে বুরকিনা ফাসো, সেনেগাল, ইউক্রেন এবং তিউনিসিয়ার ব্রাজিলে যাওয়ার আশা শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই শূন্যে মিলিয়ে যায়।

আলজেরিয়া বনাম বুরকিনা ফাসো

অতিরিক্ত সময়ে করা একটি বিলম্বিত গোলে আলজেরিয়া বুরকিনা ফাসোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের জন্য মনোনীত হয়েছে।

আলজেরিয়ার জনতার ঢল বিশ্বকাপ জ্বরে ভুগছে। টুইটার ব্যবহারকারী বিলেল এই ছবিটিতে সেটাই দেখিয়েছেনঃ

আলজেরিয়াতে তোলা ছবি। আমরা পুরোপুরিভাবে #ব্রাজিলআলজেরিয়াতে মগ্ন হয়ে আছি। আহা!

ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য মনোনীত হওয়ার আনন্দে আলজেরিয়ার ব্লগার কিছু হাস্যরস যোগ করেছেনঃ

কি মজা! ব্রাজিলে আলজেরিয়া… 

১২ অক্টোবরে ম্যাচটির প্রথম লেগের উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে কয়েকজন সমর্থক তো শেষ অবলম্বন হিসেবে কৃষ্ণাঙ্গ রেফারিকে সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ করেছে। পাউলিন দিয়াসিভি এই স্ক্রিনশটগুলোতে এটাই তুলে ধরেছেনঃ

আলজেরিয়া বনাম বুরকিনার ম্যাচটির সময়ে আলজেরিয় সমর্থকরা কিছু বর্ণবাদী টুইট করেছে।  

আইভরিকোস্ট বনাম সেনেগাল

বিলম্ব খেলার নাটকীয়তায় আইভরিকোস্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষ করে যখন তারা বিশ্বকাপে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য ডাকারে সেনেগালের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। খেলা শেষে দলটির নাচ দেখেই তাদের চরম আনন্দ অনুভব করা যায়ঃ

আইভরিকোষ্ট ৯০ মিনিটের খেলার পরেই জয়ী হয়। হাতিটি এখন ব্রাজিলে যাবে।

ব্রাজিল, আমরা আসছি। 

ক্যামেরুন বনাম তিউনিসিয়া

তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাই খেলায় ৪-১ গোলে ক্যামেরুনের জয়, সে তুলনায় কিছুটা কম নাটকীয়। যেহেতু তিউনিসিয়া দাবি করেছে যে ক্যামেরুনের দুইজন খেলোয়াড়ের খেলার যোগ্যতা ছিল না। তাই এখনো এই খেলা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়ে গেছে। তথাপি, জয়ী হবার পর ক্যামেরুনের অর্থনৈতিক রাজধানী ইয়াওনদি এখনো গর্বের সাথে জ্বলজ্বল করছেঃ

ক্যামেরুন বিশ্বকাপে যাচ্ছে

তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক ভিন্নমত আছে বলেই কিছু সংখ্যক সমর্থক বিশ্বকাপ থেকে তাদের জাতীয় দলের বাদ পরায় আশানুরূপ দুঃখ নাও পেতে পারেন। দেশটির বর্তমান সরকার তাদের কঠোরতর ধর্মীয় ভাবাদর্শের কারনে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রদায়ের কাছে একেবারেই জনপ্রিয় নয়। তাই দেশটির ফুটবল দলের এই জয় যেন সরকারেরই জয় বলে দেখা হচ্ছেঃ

ক্যামেরুন ৪ গোল, তিউনিসিয়া ১ গোল, মুনাফিকরা “টুইটারে” [ইডিস নোটঃ একদিকে তিউনিসিয়া বাদ পরায় উল্লাস ধ্বনি দিচ্ছে, অন্যদিকে দুঃখ পাওয়ার ভান করছে] বনাম “বাড়িতে” এখন অনেক হাসি

ফ্রান্স বনাম ইউক্রেন

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রথম লেগ ২-০ গোলে হারার পর যোগ্যতা প্রমাণের জন্য ফ্রান্সকে গভীর গর্তের ভেতর থেকে উঠে আসতে হয়েছে। একটি অলৌকিক প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ফ্রান্স একই ম্যাচের দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে জয়ী হয়েছে। ফ্রান্সের ভক্তরা কর্কশ ধ্বনি সহকারে উদযাপন করছে এবং ইউক্রেনের সমর্থকদের মাঝে হতাশা দেখা যাচ্ছেঃ

আজরাতে স্টেডিয়ামটি দুলছে! ভীড়ের একাংশের ছবি #ব্রাজিল 

রয়টার্সের ফটোসাবাদিকের তোলা ছবিতে ইউক্রেইনের সমর্থকদের বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .