এ্যালিস রিফ এবং লুসিয়ানো ওনচা, আর মূল লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল ].
ডেনিলসন মামামি, যার বয়স ১৫ বছর, সে সাও পাওলোর কেন্দ্রীয় এলাকা বোম রেটিরোতে বাস করে। তার বয়সী সকল কিশোরের মত সেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মত স্বপ্ন দেখার সাহস করে, যার একটা ভালো পেশা হবে, যে তার মাকে গর্বিত করবে, যে বিয়ে করবে এবং যার ছেলেমেয়ে হবে। সে জুলিও প্রেস্টেস স্টেশন থেকে কয়েক মিটার দূরে শহরের কেন্দ্রের মাঝে অবস্থিত জোয়াও কোপচেকে স্টেট স্কুলে পড়ালেখা করছে। সে তার বান্ধবীর সাথে বেরিয়ে পড়তে আর বন্ধুদের সাথে দেখা করতে এবং রোমান্টিক এবং হিপহপ সঙ্গীত সুরারোপ করতে ভালোবাসে। কিন্তু ডেনিলসন, যে কিনা চকো নামে পরিচিত- তার স্কুলের এক তৃতীয়াংশ ছাত্রের মত বলিভিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছে। নয় বছর বয়স থেকে সে ব্রাজিলে বাস করছে, আর তার মত হাজার হাজার বলিভিয়ান কিশোর অথবা শিশু অভিবাসী বর্তমানে সাও পাওলোতে বাস করছে।
প্যাস্টাটোরাল দো ইমিগ্রান্টস নামক সংগঠন হিসেব করে দেখেছে যে সাও পাওলোতে বলিভীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০,০০০ থেকে ২০০,০০ জনের মত (এই সংখ্যাটি নিশ্চিত করা যাবে না যেহেতু এর মধ্যে অনেকেই অনিয়মিত এক পরিবেশে অবস্থান করে)। এদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পোষাক কারখানায় কাজ করে, কিন্তু তারা এখানকার কেন্দ্রীয় এলাকা, যেমন ব্রাস এবং বোম রেটিরোয় বাস নামক এলাকায় একত্রিত হয়ে বাস করে। ধারণা করা হয় যে ব্রাজিলে বাস করা ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ সম্প্রদায় হচ্ছে বলিভিয়ান সম্প্রদায়। ২০১০ সালে যখন ব্রাজিলের লুলা সরকার দেশের অনিয়মিত অভিবাসীর জন্য সাধারণ ক্ষমার নিশ্চয়তা প্রদান করে, তাতে ৪২, ০০০ জন নাগরিক এখানে বসবাসের জন্য আবেদন করে, যাদের মধ্যে ১৭,০০০ জন বলিভীয় নাগরিক।
এখন থেকে ১৫ বছর আগে চকোর পরিবার কাজের সন্ধানে ব্রাজিলে আসে। চকোর শৈশবে বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজে তার দাদি তার যত্ন নেয়। এদিকে তার বাবা মা দর্জি হিসেবে সাও পাওলোতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করতে থাকে। যখন চকোর বয়স নয় বছর তখন তা মা চকোকে নিজের সাথে বোম রেটিরো এলাকায় রাখার জন্য ব্রাজিলে নিয়ে আসেন, তার মার সাথে তার পিতার বর্তমানে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। ব্রাজিলে তারা পুরোনো এক বহুতলা বিশিষ্ট ভবনের একই কামরায় বাস এবং কাজ করত, আর উক্ত ভবনটিতে অন্য অনেক বলিভীয় পরিবারের সাথে মিলে তারা বসবাস করত। সে বাড়ির ঘুমানোর কামরায় একটা সেলাই কারখানা ছিল, যেখানে পূর্ণবয়স্কা ব্যক্তির দিনের দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করত।
সাও পাওলো নগরীর বলিভীয় দর্জিরা প্রচার মাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, কারখানার ব্যাপারে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করে যেখানে অভিবাসী এমন কে পরিবেশে রাখা যা প্রায় দাসত্বের সমতুল্য। কিন্তু শতভাগ বলিভিয়ানো, মনো নামক ছোট আকারের এই তথ্যচিত্র সাও পাওলো শহরে বাস করা দ্বিতীয় প্রজন্মের বলিভীয় নাগরিকদের জীবন যাপনের বিষয়ে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য তৈরী করা। প্রাত্যহিক গঞ্জনার জীবনের প্রেক্ষাপটে তাদের “ইন্ডিয়ান” অথবা “বলিভিয়ান” বলে গালি দিয়ে ডাকা হয়। তারা তাদের প্রতিদিনের শারীরিক এবং মৌখিক আক্রমণের বিষয়ে বর্ণনা করেছে- তারা ব্রাজিলে থেকে যাওয়ার এবং পোষাক কারখানায় কাজ না করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে।
পর্তুগীজ ভাষার সাবটাইটেল সহ এই ভিডিওটি, দেখুন যেটি গ্রাইয়ো ফ্লিমসের সাথে মিলে পুব্লিকা তৈরী করেছে, এবং কানাল ফিউচুরা-এর সালা দে নোটিসিয়াসের চতুর্থ সংস্করণে তা প্রদর্শন করা হয়।