থাইল্যান্ডে বিভিন্ন গ্রুপ এবং ব্যক্তি রাস্তায় হাঁটা কর্মসূচী পালন করে বিতর্কিত রাজ ক্ষমা বিলের বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। গত ১ নভেম্বর তারিখে সংসদে বিলটি অনুমোদন দেয়ার কিছুদিন পরে ব্যাংককে দশ হাজারেরও মতো লোক তাঁদের অসম্মতি জানাতে প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। তাঁরা সেই বিচারাদির মানের প্রতি তাঁদের অসম্মতি জানিয়েছে, যা রাজনীতিবিদদের এবং সেসব নেতাদের রাজ ক্ষমার কম্বলে মুড়ে দিবে, যারা ২০০৬ সাল থেকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিচারাদির মানের সংশোধিত সংস্করণটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অনুকূলে কাজ করবে, এমন একটি রিপোর্ট করার পর বিলটির প্রতি অসন্তোষ ফুঁসে উঠেছে। বিরোধীদল নির্দিষ্ট করে বলেছে, বিলটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার অপরাধগুলোকে “ধবলধোলাই” করবে। তিনি একটি স্থানীয় আদালতে লুণ্ঠনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
২০০৬ সালে একটি সামরিক ক্যু এর মাধ্যমে থাকসিনকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তাঁর ছোট বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। থাকসিনের সমালোচকদের মতে, এই বিলটি সাবেক নেতাকে আবার দেশে ফেরার এবং সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত কৃত তাঁর সকল সম্পত্তি তাঁকে পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগ তৈরি করে দিবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ইন্সটিটিউটও এই বিচারাদির মানের বিরোধীতা করেছে। গত দু’দিনে বিদ্যালয় এবং হাসপাতালগুলোও প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। সবচেয়ে লক্ষনীয় হচ্ছে, চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী এবং এলামনাই বিলটির প্রতি তাঁদের অসম্মতি জানাতে রাস্তায় হাঁটা কর্মসূচী পালন করেছে।
সিনেট আগামী সপ্তাহে বিলটি সমাধান করার চেষ্টা করবে।
টুইটারে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায়, বিচারাদির মানের অজনপ্রিয়তা এবং ব্যাংককে প্রতিবাদের ব্যাপকতা প্রকাশিত হয়েছেঃ
5:50pm Latest picture of the anti-amnesty rally at Democracy Monument #Bangkok (Pic @ter_TRnews) pic.twitter.com/C6ENfxfkIJ
— Richard Barrow (@RichardBarrow) November 4, 2013
বিকাল ৫:৫০, গনতন্ত্র স্মৃতিস্তম্ভে রাজ ক্ষমা বিরোধী র্যালীর সাম্প্রতিক ছবি #ব্যাংকক (পিক @টার_টিআরনিউজ)
รายงานสด…จากสยาม ม็อบเต้มเลยค่า แนะนำหลีกเลี่ยงเส้นทางบริเวณนั้นค่าาา @traffy @fm91trafficpro @js100radio pic.twitter.com/kBxz3Fzeiv
— Palmanee (@Palmy2u) November 5, 2013
সিয়াম থেকে সরাসরি রিপোর্ট করা হচ্ছে। সবদিকে লোকে লোকারণ্য। এই যায়গাগুলো বাদ দিয়ে চলেন।
Chulalongkorn Uni march against Thai amnesty bill panorama #ptcybertalk#redshirt@pouyingluck@thaksinlivepic.twitter.com/frGaSBC528
— issara r (@issarar) November 6, 2013
থাই রাজ ক্ষমা বিল বিরুদ্ধে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় হাঁটা কর্মসূচীর বহু দৃশ্যপূর্ণ সুদীর্ঘ ছবি – ইসারা আর
Credit when its due. Democrat Party has been consistently against Amnesty Bill for months. (Many people ignore) Peaceful protests so far.
— เอม นภพัฒน์จักษ์ (@noppatjak) November 6, 2013
বাকি পরিশোধ করুন। কয়েক মাস ধরে লাগাতারভাবে ডেমোক্রেট পার্টি রাজ ক্ষমা বিলের বিরোধীতা করছে। (অনেকেই অস্বীকার করেছে) এখন পর্যন্ত তাঁরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
@Nganadeeleg Opposing this amnesty bill shud not blur fact that corrupt judiciary has been imposing its perverse version of amnesty 4 years.
— JQ Public (@JQP6) November 6, 2013
@এনগানাডিলেগ এই রাজ ক্ষমা বিল যা বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত করবে, তার বিরোধীতা ভোঁতাভাবে করা উচিৎ নয়। ৪ বছর ধরে এটির বিকৃত স্বভাব সংস্করণকে অনুমোদনের জোর চেষ্টা চলছে।
Chulalongkorn University Against The Amnesty Bill Bangkok Thailand pic.twitter.com/fj2TSFfcSq
— S. Hirunyawanit (@Thaihundred) November 5, 2013
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে রাজ ক্ষমা বিলের বিরুদ্ধে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়।
অনেক টুইটার এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীও বিলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছবি আপলোড করেছেঃ
Against amnesty bill. 사면법안반대. pic.twitter.com/DhTsAyy8bb
— Angel deviL Anlee (@Anlee_Okcat) November 6, 2013
রাজ ক্ষমা বিলের বিরুদ্ধে।
সোময়োট প্রুকসাকাসেমসুক প্রশ্ন করেছেন, কেন লিজ মেজেস্টি (রাজতন্ত্র বিরোধী অপমান) আইন লঙ্ঘনকারীরা রাজ ক্ষমা বিলের আওতায় পরবে নাঃ
পুনরায় বন্ধুত্ব স্থাপনের নামে আইনটি নিজেই নিশ্চিতভাবে কপটাচারী। লক্ষ করলে দেখা যায়, অপরাধী কোড অর্থাৎ দ্যা লিজ মেজেস্টি আইনের ১১২ ধারার অধীনে যারা অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে তাঁদেরকে এটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও তাঁরা রাজনৈতিক দ্বন্দেরও শিকার হয়েছে। দ্যা লিজ মেজেস্টি আইনে কারাবন্দীরা শাস্তি পেয়েছে কারন তাঁরা রাজনৈতিক দ্বন্দের চূড়ান্ত পর্যায়ে তাঁদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছে। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে রাজ ক্ষমা খসড়া বিলটির সমতার নীতিটি নিজেই সমতার বিরোধীতা করছে।
অতঃপর, প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন বিলটিকে “রাজনীতিকরণ” না করা হয়ঃ
…বেশ কিছু গ্রুপ প্রকাশ করেছে যে তাঁরা ক্ষমা করতে প্রস্তুত নয় এবং তাঁদের এই বিভিন্নতা তাঁদেরকে কর্দমাক্ত করেছে।
নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার এবং গণতান্ত্রিক নিয়মকে আরো একবার লাইনচ্যুত করার উদ্দেশ্য নিয়ে বিলটিকে রাজনীতিকরণ করা হোক, আমিতা দেখতে চাই না।
একটি রাজস্ব সম্বন্ধীয় ইস্যু হিসেবে ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে বিলটির প্রকৃত অর্থ বিকৃত করা হচ্ছে।
সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পুনরায় বন্ধুত্ব স্থাপন করা। বিরাজমান মতপার্থক্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সকল দলের মাঝে আরো বিভেদ্যতা তৈরি হওয়া বন্ধ করতে সরকার সাময়িকভাবে সবাইকে থামাতে চাচ্ছে।