
তারিক আল মুবারক – একজন সৌদি লেখক যিনি তাঁর দেশে নারীদের গাড়ি চালানোয় সমর্থন দেবার জন্য গ্রেপ্তার হন। ছবিঃ ইমান আল নাজফান @সৌদিনারী
সৌদি সাংবাদিক এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তারিক আল মুবারাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোঁরা রাজতন্ত্রে নারীদের গাড়ি চালানোর সমর্থনে চালানো প্রচারাভিযানকে সমর্থন করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারীদের গাড়ি চালাতে উৎসাহিত করতে এই সক্রিয় কর্মী গত ২৬ অক্টোবর তারিখে একটি ছবি এঁকেছেন, যার মাধ্যমে গাড়ি চালনার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নারীরা যেন গাড়ি চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সারা দেশ জুড়ে রাস্তায় পুলিশ চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়। নারীদের গাড়ি চালনার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের সামাজিক এবং প্রথাগত রীতিনীতির নিজস্বতাকে দায়ী করা হচ্ছিল। ২৬ অক্টোবরের পর এবং যেসব নারীরা গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেছে তাঁদেরকে শাস্তি প্রদানের পর এটা আরো স্পষ্ট হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের কাজে সরকারের হাত রয়েছে।
কোন সীমানার তোয়াক্কা না করে রিপোর্টাররা আল মুবারাকের দ্রুত এবং নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন। তাঁকে ২৭ অক্টোবর থেকে অপরাধী তদন্ত বিভাগে রাখা হয়েছে। তাঁর লেখা কলামে তিনি তাঁর দেশে নারী চালকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছিলেন।
#أطلقوا_طارق_المبارك [আরবি] নামে একটি হ্যাশট্যাগ টুইটারে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে। হ্যাশট্যাগটির বাংলা অর্থ হচ্ছে তারিক আল মুবারাককে মুক্তি দাও।
মুবারাকের মুক্তির জন্য সৌদি ব্লগার তামাদোর আল ইয়ামি পাঠকদের অনলাইনে একটি আবেদন জানাতে বলেছেনঃ&
A journalist & teacher was detained for supporting #women2drivehttps://t.co/JwG5XtQspI#FreeTariqAlmubarak#أطلقوا_طارق_المبارك
— تماضر اليامي Tamador (@TamadorAlyami) October 31, 2013
#উইম্যান২ড্রাইভ কে সমর্থন করায় একজন সাংবাদিক এবং শিক্ষককে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো [আরবি] বলেছেনঃ
#أطلقوا_طارق_المبارك لا هو طلع خالف قانون ولا هو اعتصم عند الديوان ولا هو طالب بأي مصلحة شخصية! قال رأيه في شأن اجتماعي! معقول اللي بيصير!
— تماضر اليامي Tamador (@TamadorAlyami) October 31, 2013
তিনি কোন আইন ভঙ্গ করেননি। তিনি গভর্নরের আদালতের সামনে প্রতিবাদ জানাননি বা কোন ব্যক্তিগত সাহায্য চাননি। একটি সামাজিক বিষয়ে তিনি শুধুমাত্র তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। যা ঘটছে, তা কি মেনে নেয়া সম্ভব?
ইবতিসাম বলেছেনঃ
#أطلقوا_طارق_المبارك طالب بحقنا واعتقل لذلك والآن يأتي دورنا لنطالب من اجله
— євтιѕαм (@ebtisam_mi) October 31, 2013
তারিক আল মুবারাককে মুক্তি দিন। কারন তিনি আমাদের অধিকার দাবি করেছেন এবং এই কারনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার তাঁর পক্ষে দাবি জানানোর পালা আমাদের।
ডাঃ ওয়ালিদ আলমাজিদ লক্ষ্য করেছেনঃ
#أطلقوا_طارق_المبارك الذي اعتقل في قضية قالت فيها الحكومة أنها شأن مجتمعي لا سياسي :)).
— Dr.Waleed AlMajed (@WaleedMjd) October 31, 2013
তারিক আল মুবারাককে মুক্তি দিন। তাঁকে এমন একটি ইস্যুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যেটিকে সরকার কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং সামাজিক ইস্যু বলে আখ্যায়িত করেছে।
এবং মাদেহা আল আজরুশ প্রশ্ন করেছেনঃ
By detaining Tariq does this mean one can't b part of a progressive way of thinking #أطلقوا_طارق_المبارك#FreeTariqAlMubarak
— madeha al ajroush (@madehaAlajrous) November 1, 2013
তারিককে শাস্তি দেয়া কি এটাই বোঝায় যে, প্রগতিশীল চিন্তা ভাবনাকে কেউ সমর্থন করতে পারবেনা।#أطلقوا_طارق_المبارك#ফ্রিতারিকআলমুবারাক
আবু ৩আসাম পরিশেষে বলেছেনঃ
#أطلقوا_طارق_المبارك سجون هذه البلاد مثل قضبان الرئتين تحبس «الأوكسجين» النقي وتفرج عن «ثاني أكسيد الكربون» المضر!
— أبوعسم (@abo3asam) November 1, 2013
এদেশের কারাগার অনেকটা ফুসফুসের মতোঃ তাঁরা বিশুদ্ধ অক্সিজেনকে কারাগারে ভরে এবং বিপদজনক কার্বন ডাই-অক্সাইডকে মুক্ত করে।
আরএসএফের প্রেসের স্বাধীনতার ইনডেক্স অনুযায়ী, ১৭৯ টি দেশের মধ্যে সৌদি আরব ১৬৩ তম অবস্থানে রয়েছে।