গত ১৫ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখ মঙ্গলবারে কেন্দ্রীয় ফিলিপাইনের বহল এবং কেবু দ্বীপে রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে দেড়শও বেশী লোক নিহত হয়েছে।
এই শক্তিশালী ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ঘটে বহল দ্বীপ থেকে। সেখানে সকাল ৮ টা ১২ মিনিটে ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রে ভূমিকম্পন রেকর্ড করা হয়। ভূমিকম্পটি এই দ্বীপের রাস্তা-ঘাট, বাড়িঘর, দালানগুলো এবং ঐতিহাসিক গির্জাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।
জাতীয় রাজধানী ম্যানিলার বাইরে বহল দ্বীপের প্রতিবেশী দ্বীপ কেবুই দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহুরে এলাকা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার দ্বীপটির শপিং মল, সরকারি বাজার, বিদ্যালয় এবং অন্যান্য দালানগুলো সহ সমগ্র দ্বীপটিও ভূমিকম্পের আক্রমণের প্রচণ্ডতা বহন করছে।
কেন্দ্রীয় ফিলিপাইন এলাকার অন্যান্য প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। কিন্তু সেখানকার অবকাঠামো বা লোকজনের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভূমিকম্পটি একটি ছুটির দিনের ভোর বেলায় আঘাত হানার কারনে অনেকেই হতভম্ব হয়ে পড়েন। প্রধান ভূমিকম্পটি সংঘটিত হওয়ার পরপরই পরবর্তীতে বিভিন্ন মাত্রার কয়েকশ কম্পন অনুভূত হয়।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং ইন্সটাগ্রামে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ভূমিকম্প কালীন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেনঃ
Funny how my dad came running out the shower trying to put some pants on, and my sister diving in the bed with her laptop in her arms. ????
— Francesca Fua (@francisfua) October 15, 2013
বিষয়টি কতটা কৌতুকপূর্ণ যে, আমার বাবা গোসল করে দৌড়ে বের হয়ে দ্রুত প্যান্ট পরার চেষ্টা করছেন এবং আমার বোন তাঁর কোলে একটি ল্যাপটপ নিয়ে বিছানার ওপর গড়াগড়ি খাচ্ছে ???
Wow, the earthquake shook our plane hard here on the ground at Iloilo International Airport. I thought they were just loading something.
— Lloyd (@lloydthelostboy) October 15, 2013
বাহ, ইলোইলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমিকম্পটি আমাদের প্লেনটিকে জোড়ে জোড়ে ঝাঁকাচ্ছিল। আমি ভেবেছি, কর্তৃপক্ষ বোধ হয় কোন ভারি জিনিস প্লেনে ওঠাচ্ছে।
was jolted awake from deep sleep by a strong quake & dashed outside. blessed to be with my family. on alert for aftershocks #earthquake
— Karollyn Mae Laya-on (@klyme_layaon) October 15, 2013
একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে নড়াচড়ার কারণে আমি গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠি এবং বাইরে ছিটকে পরি। ভাগ্য ভালো যে আমি আমার পরিবারের সাথে ছিলাম। ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনের ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। #ভূমিকম্প
Today is #Heritage National State of Calamity
— Ka Bino Guerrero (@Kabinoguerrero) October 15, 2013
আজ #হেরিটেজ জাতীয় দূর্যোগকাল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারনে হওয়া বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির ছবি তুলেছেন এবং সেগুলো অনলাইনে পোস্ট করেছেনঃ
বহলে ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত কিছু অবকাঠামোর মাঝে চুনাপাথরে তৈরি কিছু ঐতিহাসিক গির্জাও রয়েছে। এগুলো ১৭০০ এবং ১৮০০ শতাব্দীতে স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময় পোলো অথবা ফিলিপাইনের দাস শ্রমিকদের দিয়ে নির্মাণ করানো হয়েছিল। এই গির্জাগুলো দেশটির কিছু মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছিল।