“আমার শরীরই আমার অস্ত্র!”, স্পেনে গর্ভপাতের অধিকার দাবি করল ফিমেন

Fuente: FEMEN

সূত্রঃ ফিমেন

আইনমন্ত্রী আলবার্তো রুইজ-গ্যালার্ডোন [স্প্যানিশ] এর বক্তৃতায় ব্যাঘাত ঘটানোর পর ফিমেন নামের একটি সংস্থা কংগ্রেসে “গর্ভপাত পবিত্র!” বলে চিৎকার শুরু করে। গত ১২ অক্টোবর তারিখে প্রথমবারের মতো এটি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের রাস্তায় নেমে আসে। সেখানে তখন কলাম্বাস দিবস পালন করা হচ্ছিল।

স্পেনে ফিমেন আন্দোলনের নেতা লারা আলকাজার বলেছেন, “অবশ্যই, আমরা আরো সামনে যাবো এবং অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করতেই থাকবো”। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে বিচ্ছৃঙ্খল আচরণ করার অভিযোগ আনা হয় এবং তা থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সামরিক প্যারেড এবং অন্যান্য দেশপ্রেমিক প্রতীকের মাঝে আরো একবার মহিলারা তাঁদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সহ প্রতিমূর্তি বিবস্ত্র করেছে। স্পেনে এভাবেই তাঁরা তাঁদের প্রথম দাপ্তরিক প্রতিবাদ জানায়। তাঁদের ব্যানারের সাথে সাথে তাঁদের বুকে এবং তাঁদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসহ বিবস্ত্র প্রতিমূর্তিতে স্লোগান লিখে তাঁরা প্রতিবাদ জানায়। যেমন “আমি মুক্ত”, “ফিম্যান লিঙ্গ-চরমপন্থী” এবং “আমার শরীরই আমার অস্ত্র” প্রভৃতি বলে তাঁরা স্লোগান দিয়েছে।

Fuente: FEMEN

সূত্রঃ ফিমেন 

এই বিতর্কিত সংস্থা থেকে সক্রিয় কর্মীদের প্রতিবাদ জানাতে যে কারনটি ইন্ধন জুগিয়েছে, তা হচ্ছে আইনমন্ত্রীর সংস্কার [স্প্যানিশ] সিদ্ধান্ত। তিনি জোর দিয়েছেন, বর্তমান আইনের সংস্কার করা হবে। পুরনো আইনে মহিলাদের গর্ভধারনকালের ১৪ তম সপ্তাহ পর্যন্ত কোন কারন দাবি করা ছাড়াই তাঁদের গর্ভাবস্থার সমাপ্তি ঘটানোর অনুমতি দেয়া হয়। তবে বর্তমান আইনে তা থাকবে না। বর্তমান আইনটি অপ্রাপ্তবয়স্কদের, ১৬ বা ১৭ বছর বয়সে পিতামাতার অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত ঘটানোর অধিকারটিকেও বাতিল করে দিবে।

ফিমেন সংস্থাটি স্প্যানিশ সরকারকে লিঙ্গবাদী বলে অভিযোগ করেছে, যারা গির্জার চিন্তাধারার মধ্যেই আবদ্ধ এবং তাঁরা নারী বিদ্বেষী আচরণ করছে। এটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, স্পেন সরকার নারীদের স্বাধীনতার চেয়ে বিপদের উপর বেশী জোর দিচ্ছে। পরিশেষে তাঁরা বলেছে, যদি নৈতিকতা এবং ধর্মই গ্যালার্ডনের কাছে পবিত্র হয়ে থাকে, তবে তাঁদের উদ্দেশ্যে আমরা বলছি, নিজের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একমাত্র নারীরই আছে।

শেষে মাদ্রিদে একটি ফিমেন সেন্টার খোলার তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপের কথা তাঁরা নিশ্চিত করেছে। এতে করে স্পেনে সংস্থাটির আরো শক্তিশালী একটি ঘাঁটি তৈরি হবে এবং তাঁরা উন্নতির পথে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে দেবে।

Fuente: FEMEN

সূত্রঃ ফিমেন 

টুইটার ব্যবহারকারীদের কিছু মন্তব্য নিচে দেয়া হলঃ

এটি যেন একটি বিশেষ গর্ভপাত আইন। যাদের অর্থসম্পদ নেই, তাদেরকে দমানো হয়েছে। আর যাদের টাকা আছে, তাঁরা গর্ভপাত করাতে অ্যারোপ্লেনে চড়ে দেশের বাইরে যাবে।

সত্য কথা হল, গর্ভপাত-বিরোধী আইনটি ততটা খারাপ নয়। আমাদের যদি টাকা না থাকে, তবে আমরা সব সময় আমাদের বাচ্চাদের যাদুর স্যান্ডউইচ খাওয়াতে পারি।

তাঁরা সে সব লোকেদের ভোট দেয়, যারা একটি সংকটের মাঝখানে এসে গর্ভপাত নিয়ে ভাবে। তাঁরা তাঁদের জন্য ভাবে, যারা স্পেনকে আবার ফ্রাঙ্কো বছরগুলোতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়…এবং সেভাবেই এটি এগোচ্ছে।

তাঁরা আমাকে ফ্যাসিবাদী বলে। যদি স্পেনকে ভালোবাসা এবং দেশের একতা ও জীবনকে বাঁচানো আমার “পাপ” হয়, তবে আমি গর্ভপাতকে না বলবো! আমি একাই তা করবো!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .