[অন্যকোনভাবে উল্লেখ করা ব্যতীত সবগুলো লিঙ্ক স্প্যানিশ ভাষার উৎসকে নির্দেশ করে]
পেরুর কংগ্রেসম্যান মাইকেল আরটেকোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। [2] অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে আছে, কংগ্রেস কর্মচারীদের বেতনের একটি বড় অংশ নিজের পকেটে ঢুকানো, অক্ষমদের জন্য হুইলচেয়ার কেনার জন্য প্রদত্ত অনুদানের হিসাবে গড়মিল করা, মিথ্যাচারিতা এবং খরচের রসিদগুলোর অদলবদল (এবং বিভিন্ন “ভূতুড়ে কোম্পানিকে” টাকা পরিশোধ) করা ইত্যাদি। তিনি দ্রুত তাঁর অর্থ-সম্পদ বাড়াতে এসব ভূতুড়ে কোম্পানিকে টাকা দিয়েছেন, যা কোম্পানিগুলো আবার তাঁকে ফেরত দিয়েছে।
নৈতিক কমিশন আরটেকোর বিরুদ্ধে যে নিয়ম তান্ত্রিক অভিযুক্তের নির্দেশ দিয়েছে গত সপ্তাহে কংগ্রেস তাঁর সাময়িক বরখাস্তকরণ এবং সেই নির্দেশটি মঞ্জুর [3]করেছে। তিনি নিজেও কংগ্রেসে একসময় একই কমিশনের একটি অংশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আরটেকোকে তাঁর পদ থেকে ১২০ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হবে এবং চারটি অপরাধের জন্য তাঁকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শাস্তি প্রদান করা হবে। তাছাড়াও তিনি ন্যাশনাল সলিডারিটি [4] [ইংরেজি] নামক একটি কেন্দ্রীয় অধিকার দলের সাথে জড়িত আছেন। দলটি বলেছে, [5] যদি তাঁকে বরখাস্তকরণ মঞ্জুর করা হয় তবে এই কংগ্রেসম্যানকে তাঁদের দল থেকে বাদ দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে পেরুর বিভিন্ন প্রেসে গত দু’সপ্তাহ ধরে তাঁর কিছু নির্দিষ্ট মামলা উল্লেখ করা হয়েছে। কংগ্রেস বরখাস্ত মঞ্জুর করায় এসব মামলাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই মামলাটি নিয়ে আলোচনা করছেন। কংগ্রেসে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করতে যা অনুমান করা হয়েছে, তাঁকে কেন্দ্র করে তাঁরা আলোচনা করছে। কংগ্রেসম্যানের ন্যায়পরায়ণতার অভাব [6] এবং এই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার [7] প্রয়োজনীয়তার কথা তাঁরা তাঁদের আলোচনাতে উল্লেখ করেছেন।
মারিও সি. রোজিনা এই বিষয়টি নিয়ে টুইটারে মন্তব্য করেছেনঃ
Lo de M.Urtecho parece ser solo la punta del iceberg de una costumbre delictiva instalada en el Congreso de la República desde hace mucho.
— Mario C. Rosina (@MarioRosinaB) October 11, 2013 [8]
প্রজাতন্ত্রের কংগ্রেসে বহু বছর ধরে এ ধরনের অপরাধের রীতিনীতি চলে আসছে। তাই এম. আরটেকোর দুর্নীতির বিষয়টি যেন বরফখন্ডের একটি ক্ষুদ্র চূড়া বলে মনে হচ্ছে।
কার্লোস ফ্রান্সিসকো হেরেরা ডায়াজ ফেসবুকে [9] তাঁর সন্দেহ প্রকাশ করেছেনঃ
El caso Urtecho ha incrementado las dudas sobre el Congreso en general, por lo que mal haría una gestión que ha ofrecido un trabajo con manos limpias, no adoptar medidas que ayuden en algo a pensar que todavía se puede creer en los congresistas.
আরটেকোর এই মামলাটির কারনে কংগ্রেসের ছোট বড় সবার প্রতি সর্বোতভাবে সন্দেহের আঙ্গুল উঠেছে। যদি কোন প্রশাসন পরিষ্কার হাতে ব্যবস্থাপনা করার কথা প্রস্তাব করে, তবে সেটি একটি ভুল হবে। কেননা এই প্রশাসন এমন কোন তত্ত্বাবধায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেনি, যা একজন কংগ্রেসম্যানের বিশ্বাস-যোগ্যতার ওপর আস্থা রাখতে সাহায্য করে।
পামেলা (@পামেলা) এক অন্য ধরনের বদমাশের কথা চিন্তা করেছেনঃ
Los ex trabajadores de #Urtecho [10] también deben ser sancionados por complicidad, a menos que demuestren que fueron engañados.
— Pamela (@Pamelof) October 11, 2013 [11]
আরটেকোর সাবেক কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকেও তাঁদের কুকর্মের অংশীদারিতার জন্য শাস্তি দেয়া উচিৎ। অথবা কমপক্ষে দেখানো উচিৎ যে তাঁদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
যদি প্রমাণিত হয় যে কংগ্রেসম্যান এই ধারাগুলোতে (পেরুর আইন অনুযায়ী সাধারণ ভুলে ভরা বর্ণনা, অবৈধ সম্পদ বর্ধিতকরণ এবং গচ্ছিত ধন অন্যায়ভাবে আত্মসাৎকরণ মামলার আওতায় আনা হয়েছে) জড়িত ছিলেন, তবে আরটেকোর (তিনি মাসকুলার হাইপোটনিয়া [12][ইংরেজি] রোগে ভুগছেন) জন্য পনের বছরের কারাদণ্ডের রায় [13] অপেক্ষা করছে।