সৌদি মানবাধিকার সংস্থার চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন

গত ১২ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে ১১ জন সৌদি সক্রিয় কর্মী একটি মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। সংস্থাটির নাম দ্যা সৌদি সিভিল এ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস এ্যাসোসিয়েশন (এসিপিআরএ)। এটি এ চার বছরে পা দিয়েছে। সৌদিরা এটির বিভিন্ন অর্জন উদযাপন করছে।    

এসিপিআরএ – এর সদস্যরা তাঁদের প্রতিষ্ঠাকালীন ঘোষণাপত্রে বলেছেনঃ

এসিপিআরএ কেন প্রতিষ্ঠা করা হল ?
১. সাধারনত সৌদি আরবে মৌলিক মানবাধিকার, বিশেষকরে রাজনৈতিক অধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত:, উপসাগরীয় যুদ্ধের (উল্লেখ্য ১৯৯০ সালের যুদ্ধ) পর, যখন থেকে জনগণ তাঁদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে, তখন থেকে নাটকীয়ভাবে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বেড়েই চলেছে। তথাপি, অন্যান্য কিছু শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করে শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি তৈরি করায় কয়েক হাজার তরুণ নাগরিককে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকারও তাঁর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে…

প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত এসিপিআরএ বিনা বিচারে শাস্তিপ্রাপ্তদের পরিবারের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। তাঁদের মামলাগুলো নথিভুক্ত করেছে। তাঁদেরকে উঠে দাঁড়াতে উৎসাহ যুগিয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাঁরা বিনাবিচারে শাস্তিপ্রাপ্তদের ওপর জাতিসংঘের কার্যকরী দলের কাছে তাঁদের মামলাটি জমা দিয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘ সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। 

গোড়া রাজতন্ত্রে যেকোন ধরনের স্বাধীন বেসামরিক সমাজ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা নিষিদ্ধ: এটির ওয়েবসাইট এবং এটিকে প্রতিবিম্বকারী ওয়েবসাইটিকেও সবসময় বন্ধ রাখা হয়েছে। এটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাঁদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে আদালতের একটি আদেশের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সংস্থাটিকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদি টুইটার ব্যবহারকারীরা এসিপিআরএ – এর চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। ডাঃ মাদায়ি আল-রাশিদ টুইট [আরবি] করেছেনঃ

আমরা আপনাকে কখনো ভুলবনা। কারন আপনি আমাদের মুক্ত হবার একটি উদাহরণ দান করেছেন। এর জন্য আপনাকে অনেক চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। আপনি নতুন প্রজন্মকে চ্যালেঞ্জের অর্থ শিখিয়েছেন এবং তাঁদেরকে সভ্য উপায়ে সংগ্রাম করতে শিখিয়েছেন।  

সুশীল সমাজ আইন প্রণয়ন পিছিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন। এটি ২০০৭ সালে খসড়া করা হয়। এবং এটিতে স্বাধীন বিধানসভা প্রতিষ্ঠা করার স্বাধীনতা দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করার কথা রয়েছে। কলাম লেখক ফায়েদ আল-ওলাওয়ি টুইট করেছেনঃ

সরকার বিশ্বাস করে যে, সুশীল সমাজ আইনটি পিছিয়ে দেয়ার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিগুলো বন্ধ করা যাবে। কিন্তু এসিপিআরএ – এর মতো যারা ত্যাগ করতে সদা প্রস্তুত তাঁরা তারপরেও থেকে যাবে।

এসিপিআরএ – এর সকল সদস্যদের বিরুদ্ধেই “বিচার বিভাগকে অবমাননার” অভিযোগ আনা হয়েছে। সৌদি টুইটার ব্যবহারকারী রানা আল- মুকাইবল এটি নিয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে টুইট করেছেনঃ

তাঁদের মধ্যে যারা, যখনই ন্যায়পরায়ণতা চেয়েছে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চেয়েছে তখনই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বোকারা তাঁদের নোংরা বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগগুলো নিজেরাই নিশ্চিত করেছে।

ব্লগার হাদিল মোহাম্মাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নায়েফ বিন আব্দুলাজিজ আল- সোউদ এর অপসারন ও বিচার চেয়ে এসিপিআরএ– এর দাবির কথা স্মরণ করেছেনঃ 

এদেশে এসিপিআরএ কে অনেক বাঁধা অতিক্রম করতে হয়েছে। একজন আল-সোউদের অপসারন দাবি করেছে ? এটিকে এখনও অনেকে আত্মহত্যা বলে মনে করে #এসিপিআরএ৪বছর

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .