দৃশ্যত: মনে হচ্ছে স্পেন খুব একটা সুখী নয়। মাদ্রিদের তৃতীয় কার্লোস বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইউসি৩এম) এক গবেষণা অনুসারে [স্প্যানিশ ভাষায়] বিশ্বে জরিপ চালানো ১১২ টি দেশের মধ্যে সুখী রাষ্ট্রের তালিকায় স্পেনের অবস্থান ৪৯তম।
সুখী রাষ্ট্রের এই তালিকা (পিডিএফ) কিছু বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের উপর নয়, বরঞ্চ তা বেছে নেওয়া পছন্দের ভিত্তিতে করা হয়, যেখানে অভিবাসনকে একটি আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে; আর এটি হচ্ছে নাগরিকরা আসলে কি করে, তার কি বলে সেটা নয়। তৃতীয় কার্লোস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক অধ্যাপক হুয়ান দে দিওস তেনা-এর[স্প্যানিশ ভাষায়] মতে: “অভিবাসন সংক্রান্ত ত্রুটি মানসিক বিষয়ের সাথে গভীর ভাবে সংযুক্ত যা আবার সুখের সাথে সম্পৃক্ত,” যার মানে হচ্ছে নাগরিকদের মাঝে তখনই একটি দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়, যখন দেশটিতে সুখের জন্য শর্তাবলীর অভাব দেখা দেয়, আর এই সমস্ত নাগরিকরা এমন এক এলাকার জন্য দেশ ত্যাগ করে, যেখানে তারা সুখে থাকবে বলে মনে করে।
এই গবেষণায় অর্থনীতি এবং অর্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, সুখের এই উভয় উপাদান ব্যবহার গ্রহণ করা হয়, যা কিনা একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত এবং অভিবাসনের সুনিদিষ্ট উপাদানঃ মৌলিক এবং তুলনামূলক আয়, জনমিতি এবং সামাজিক চরিত্র, সামাজিক উন্নয়ন, অন্যের সাথে সম্পর্ক এবং যেখানে একজন বাস করে উক্ত এলাকার চরিত্র, একই সাথে যেমন দূরত্ব, অথবা একটি সাধারণ সীমান্তরেখা ও ভাষার মত পরিবর্তনশীল উপাদান। .
এই সকল উপাদান বিবেচনা করে এবং হ্ংকং, সিঙ্গাপুর এবং নিউজিল্যান্ডের সুখী রাষ্ট্রের তালিকায় এগিয়ে রয়েছে, সেখানে স্পেনের অবস্থান ১১২টি দেশের মধ্যে ৪৯ তম, অন্যান্য দেশের মধ্যে স্পেনের-এর নীচে অবস্থান করছে মেক্সিকো, ইরান এবং কোস্টারিকা। তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চীনের মত রাষ্ট্র।
তেনা একই সাথে দাবী করেছেন যে অভিবাসন সংক্রান্ত ত্রুটি কেবল কাজ খুঁজে পাওয়ার উপর নির্ভর করে না, যেমনটা সাধারণ ভাবে ভাবা হয়েছিল, কিন্তু তারা একই সাথে দূষণ, সন্ত্রাসবাদ, এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের মত পরিবর্তনশীল উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়, সাধারণত মনোবিজ্ঞানীরা যেগুলোকে সুখের নির্ধারক হিসেব বিবেচনা করে।
এই গবেষণায় উপসংহার টানা হয়েছে এভাবে যে ভালোভাবে টিকে থাকার বিষয়টি কেবল মাথাপিছু আয়ের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায় না এবং সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভালো নীতি নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে বাস করার ইচ্ছেকে বাড়িয়ে দেয়, অন্যদিকে খারাপ নীতি সে ইচ্ছেকে কমিয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে আসা কিছু টুইট এখানে তুলে ধরা হল:
España se aleja de las primeras posiciones del ranking d felicidad d la UC3M..ya ni nos reimos ,,claro q estamos no esta el temita para ello
— Beatriz Bonmatí (@b_bonmati) September 23, 2013
ইউসি৩এম-এর সুখী রাষ্ট্রের তালিকায় সেরা অবস্থান থেকে স্পেনের অবস্থান অনেক নীচে.. এমনকি এতে আমরা হাসছি না। পরিষ্কার ভাবে আমরা এখন এতই অবস্থানের জন্য উপযুক্ত নই।;
— বিয়েত্রিজ বোনমাটি (@বি_বোনমাটি bonmati) ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
@marianorajoy necesitamos más futbol, urgente!: Otro ranking de felicidad aleja a España de las primeras posiciones http://t.co/kNJqZKXZDZ
— Hrœrekr (@iGNUrante) September 23, 2013
@মারিয়ানরাজোই আমাদের আরো ফুটবল খেলা প্রয়োজন, এটা অত্যন্ত জরুরি! আরেকটি সুখী রাষ্ট্রের তালিকা স্পেনের অবস্থান সেরাদের থেকে অনেক দূরে http://t.co/kNJqZKXZDZ
— হোরেরেকার (@আইগুনারান্টে) ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
¿¿¿ A QUIEN LE EXTRAÑA ???? A ESTE PASO ACABAREMOS EN EL PUESTO 112 EN POCOS MESES…. http://t.co/ppWpTHl9TZ
— AutonomosEnLaLucha (@UNI_CAES) September 23, 2013
কে মনে করে যে বিষয়টি অদ্ভুত???? এই হারে চলতে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে আমরা তালিকার ১১২ নম্বরে চলে আসব। …. http://t.co/ppWpTHl9TZ
— অটোনোমাসএনলালাচা (@ইউএনআই_কেস) ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩