- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সময় কি এখন মধুচন্দ্রিমার ?

বিষয়বস্তু: উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নাগরিক মাধ্যম, রাজনীতি, সরকার
President Hassan Rouhani and President Barack Obama. Via Iran-emrooz.net

ইরান এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্টঃ হাসান রুহানি এবং বারাক ওবামা। ইরান-ইমরোজ ডট নেট থেকে।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং বারাক ওবামার মাঝে একটি ঐতিহাসিক ফোন কলের এক সপ্তাহ পরেই ইরানিরা এখনও সমস্বরে “আমেরিকা নিপাত যাক” বলে চির প্রচলিত স্লোগান দিচ্ছে [1]। তেহরানে গত ৪ অক্টোবর, ২০১৩ তারিখে জুম্মার নামাজের পর তাঁরা মার্কিন এবং ইসরাইলের পতাকাও পুড়িয়েছে। 

কিছু সংখ্যক ইরানি এখনও মনে করেন যে, ফোন কলটি ছিল দু’দেশের শীতল সম্পর্কের বরফ গলানোর জন্য নেওয়া একটি পদক্ষেপ। এতে করে হয়তোবা একদিন মার্কিন মঞ্জুরি তুলে নেয়া হতে পারে। তবে “বিরাট শয়তান” – এর সাথে যেকোন ধরনের সংলাপের বিষয়ে আবার অন্যান্য ইরানিরা বেশ অসন্তুষ্ট। ইরানে বিভিন্ন দাপ্তরিক বক্তৃতায় প্রায়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই নামেই সম্বোধন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র–ইরান সম্পর্ক নিয়ে ইরানিরা কি ভাবছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি তা তৎক্ষণাৎ দু’টি নির্বাচনি সংস্থাকে “খুঁজে বের করতে” বলেছেন [2]। এতে এটাই নির্দেশিত হয় যে, বিষয়টি তাঁর মনেও এসেছে। অতঃপর দু’টি দেশের মধ্যে চলমান রোমাঞ্চিত কাহিনী [3]নিয়ে ইন্টারনেটবাসী তাঁদের নিজেদের ভাবনাগুলো শেয়ার করেছে।

একজন ইরানি নাগরিক ইউটিউবে নিজের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। [4]সেটিতে তিনি দৃঢ়কণ্ঠে পরামর্শ দিয়েছেন যে, রুহানি তাঁর জরিপে তিনটি অতিরিক্ত প্রশ্ন যোগ করেছেনঃ

-“কতজন লোক ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চায়?”

-“সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে তাঁরা কি ভাবে?”

-“আপনি [প্রেসিডেন্ট রুহানি] বলেছেন, ২০০৯ সালের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রতারণা করা হয়নি। চলুন, দেখি ইরানিরা এ বিষয়ে কি চিন্তা করে” 

জেরেবিন তাঁর ব্লগে লিখেছেন [5][ফার্সী], জরীপটি এমনভাবে নির্মিত হবে যেন সর্বোচ্চ নেতার [6] আকাঙ্খা তাতে প্রতিফলিত হয়। যদি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চান, তবে জরিপটিতে তাই প্রতিফলিত হবে এবং যদি না চান, তবে তাও জরিপটিতে প্রতিফলিত হবে। “কি ফাঁদেই না আমরা আটকা পড়েছি। একটি জরিপ চালাতেও নেতার মতামত অনুযায়ী সবকিছু করা হবে”।

কথা বলতে বা না বলতে

ফিরুজাহ টুইট করেছেনঃ 

যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই আমাদের দ্রুত বেগে প্রবেশ করা উচিৎ নয়, তা কূটনৈতিক সম্পর্ক হোক অথবা অকূটনৈতিক ই হোক না কেন।

ব্লগার খাবরনেগার১৩৫১ ইসলামিক শাসনতন্ত্রের পক্ষ নিয়ে লিখেছেন [ফার্সী] [9], ইরান এতোটাই ক্ষমতাবান হয়ে গেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “ইরানকে একটি পরাশক্তি হিসেবে দেখে” এবং “এটিকে ভয় পেয়ে তাঁরা তেহরানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর”।

আরেকজন ব্লগার আহেসতান আমাদের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খামেনির [10]আমেরিকা বিরোধী শিক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন [11] [ফার্সী], “ওবামা-রুহানি ফোনালাপের প্রকৃত বিজয়ী ওবামা”।

এই ব্লগার আরো বলেছেন, ফোন কলটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইমামের [খামেনির] শিক্ষার অনুসারী লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে দেখানো যে, “বিরাট শয়তান” – এর সাথে ইরান সমঝোতা চায়।